মো. আশিকুর রহমান
১৯৫৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কবির নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গৃহীত হয় এবং একই বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৬১ পাস করে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি পায় ১৯৬২ সালের ১০ জানুয়ারি। ওই বছরের ৮ মে যাত্রা শুরু হয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা প্রাঙ্গণটি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে অবস্থিত। দ্বিতীয় শিক্ষা প্রাঙ্গণটি রয়েছে কাশীপুরে ব্যারাকপুর ট্রাংক রোডের ধারে মরকতকুঞ্জে। মূলত কলা বিভাগের পাঠ দেওয়া হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনটি মূল পাঠন অনুষদ রয়েছে—কলা, চারুকলা
ও দৃশ্যকলা। এ ছাড়া একটি বিইএড অনুষদ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান যেন সংগীত, নৃত্য, তবলা, বাঁশি, অভিনয়সহ সব শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর থাকে।
১৯৬১ সালের ৮ মে (২৫ বৈশাখ) ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির যে ভবনে রবীন্দ্রনাথ থাকতেন, সেখানে রবীন্দ্রভারতী প্রদর্শনশালা উদ্বোধন করেন। পরে এই প্রদর্শনশালা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত হয়। বর্তমানে সংগ্রহশালাটি ছড়িয়ে পড়েছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্র-স্মৃতিধন্য তিনটি ভবনেই। এই তিনটি ভবন হলো সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ঠাকুরবাড়ির প্রাচীনতম অংশ, মহর্ষি ভবন ও সবশেষে নির্মিত বিচিত্রা ভবন। তিনটি ভবনের মোট আয়তন প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট। প্রদর্শনশালায় শুধু রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সামগ্রীই রাখা নেই, আছে ঠাকুর পরিবার ও বাংলা নবজাগরণের সাক্ষ্য বহনকারী অনেক স্মারক, অসংখ্য শিল্পকীর্তি, বিভিন্ন শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ দুষ্প্রাপ্য নথিপত্র।
ভারতের সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে দুই বাংলার এক মিলনক্ষেত্রে। প্রতিবছর বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারি বৃত্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন।
ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপের মাধ্যমে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশের নেত্রকোনার মো. জুবায়েদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের উৎসভূমি এই ভারতবর্ষের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে অধ্যয়ন আমাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আমার মেধা ও কর্মদক্ষতা সমাজ বা দেশের বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে দেশের অগ্রগতিতে সামান্য হলেও অবদান রাখতে পারব।’
কথা হয় আঁখি রানী দাস নামের বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়া অপর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। বাংলাদেশে পপুলেশন সায়েন্সে স্নাতক করে বর্তমানে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন মানব উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার পঠিত বিষয় দীর্ঘদিনের পছন্দের ও ভালো লাগার। এখানকার বৈচিত্র্য, নান্দনিকতা ও ভিন্নতা উপভোগ করতে পেরে আমি যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত।’
১৯৫৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবীন্দ্র-জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে রবীন্দ্রনাথের নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নেয়। ১৯৬১ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে কবির নামাঙ্কিত এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ গৃহীত হয় এবং একই বছর পশ্চিমবঙ্গ সরকার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৬১ পাস করে। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় আইন রাষ্ট্রপতির সম্মতি পায় ১৯৬২ সালের ১০ জানুয়ারি। ওই বছরের ৮ মে যাত্রা শুরু হয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষা প্রাঙ্গণটি জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে অবস্থিত। দ্বিতীয় শিক্ষা প্রাঙ্গণটি রয়েছে কাশীপুরে ব্যারাকপুর ট্রাংক রোডের ধারে মরকতকুঞ্জে। মূলত কলা বিভাগের পাঠ দেওয়া হয় এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনটি মূল পাঠন অনুষদ রয়েছে—কলা, চারুকলা
ও দৃশ্যকলা। এ ছাড়া একটি বিইএড অনুষদ রয়েছে। এই প্রতিষ্ঠান যেন সংগীত, নৃত্য, তবলা, বাঁশি, অভিনয়সহ সব শিক্ষার্থীর পদচারণে মুখর থাকে।
১৯৬১ সালের ৮ মে (২৫ বৈশাখ) ভারতের তখনকার প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়ির যে ভবনে রবীন্দ্রনাথ থাকতেন, সেখানে রবীন্দ্রভারতী প্রদর্শনশালা উদ্বোধন করেন। পরে এই প্রদর্শনশালা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্গীভূত হয়। বর্তমানে সংগ্রহশালাটি ছড়িয়ে পড়েছে জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির রবীন্দ্র-স্মৃতিধন্য তিনটি ভবনেই। এই তিনটি ভবন হলো সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ঠাকুরবাড়ির প্রাচীনতম অংশ, মহর্ষি ভবন ও সবশেষে নির্মিত বিচিত্রা ভবন। তিনটি ভবনের মোট আয়তন প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট। প্রদর্শনশালায় শুধু রবীন্দ্রনাথের ব্যবহৃত সামগ্রীই রাখা নেই, আছে ঠাকুর পরিবার ও বাংলা নবজাগরণের সাক্ষ্য বহনকারী অনেক স্মারক, অসংখ্য শিল্পকীর্তি, বিভিন্ন শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ দুষ্প্রাপ্য নথিপত্র।
ভারতের সরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয় পরিণত হয়েছে দুই বাংলার এক মিলনক্ষেত্রে। প্রতিবছর বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থী সরকারি বৃত্তি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি হচ্ছেন।
ভারত সরকারের আইসিসিআর স্কলারশিপের মাধ্যমে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে পড়াশোনা করছেন বাংলাদেশের নেত্রকোনার মো. জুবায়েদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের উৎসভূমি এই ভারতবর্ষের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ে অধ্যয়ন আমাকে আরও সমৃদ্ধ করবে এবং আমার মেধা ও কর্মদক্ষতা সমাজ বা দেশের বাস্তব ক্ষেত্রে প্রয়োগ করে দেশের অগ্রগতিতে সামান্য হলেও অবদান রাখতে পারব।’
কথা হয় আঁখি রানী দাস নামের বাংলাদেশ থেকে পড়তে যাওয়া অপর এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে। বাংলাদেশে পপুলেশন সায়েন্সে স্নাতক করে বর্তমানে তিনি রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন মানব উন্নয়ন অধ্যয়ন বিষয়ে। তিনি বলেন, ‘আমার পঠিত বিষয় দীর্ঘদিনের পছন্দের ও ভালো লাগার। এখানকার বৈচিত্র্য, নান্দনিকতা ও ভিন্নতা উপভোগ করতে পেরে আমি যারপরনাই উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত।’
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৮ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে