মুহাম্মদ মাসুদ আলম, চাঁদপুর
মো. নাফিস উল হক সিফাত। বাবা নাসির উদ্দিন ও মা কামরুন নাহার—দুজনই কলেজশিক্ষক। বাবা-মায়ের সঙ্গেই সিফাত থাকেন চাঁদপুর শহরের ষোলোঘর পাবলিক লাইব্রেরি এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। শহরের হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা শেষ করেন। এখন পড়ছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। কিন্তু এরই মধ্যে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজ শহরে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি)। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে আগ্রহী।
চাঁদপুরের মতো একটি ছোট্ট শহর থেকে এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ কীভাবে পেলেন, এ বিষয়ে জানার কৌতূহল থেকেই সিফাতের সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা হলো এক বিকেলে। বিশ্বের
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা কীভাবে এমআইটিতে ভর্তি হন, সেটা জানতেন না তিনি। সুযোগটি এনে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এই মাধ্যমে অলিম্পিয়াড কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি এমআইটিতে আবেদন এবং তাদের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এ ছাড়া ফেসবুক কমিউনিটি গ্রুপটিতে এসে আগে যাঁরা এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদেরও সাক্ষাৎ পান সিফাত। তাঁদের সঙ্গে অনেক তথ্য আদান-প্রদান করেন তিনি। আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাঁরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশ্বের কোনো না কোনো অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিলেন। সিফাতও ২০২২ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকসে (আইওআই) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন।
ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ছিল সিফাতের। জন্মদিনে সব সময় তাঁর বোন বই উপহার দিতেন। উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় একবার তাঁর জন্মদিনে বড় বোন জাফর ইকবালের গণিতের মজার মজার বই উপহার দেন। সেসব বই পড়ে গণিতের সমাধান যেভাবে বুঝতে পেরেছেন, তাতে আরও বই পড়ার আগ্রহ জন্মে; পাশাপাশি কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেন। এ সবকিছুর পাশাপাশি তিনি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জপদক পান।
প্রতিদিন কত ঘণ্টা একাডেমিক পড়াশোনা করেন সিফাত—এ প্রশ্ন শুনে একগাল হেসে নিলেন তিনি। হাসি থামিয়ে জানালেন, আসলে পরীক্ষার আগে টানা পড়াশোনা করতেন সিফাত। নিয়মিত পড়তেন খুবই কম; বরং সে সময়গুলো তিনি অলিম্পিয়াডে দিয়েছিলেন। অলিম্পিয়াড কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থেকে সিফাত জেনেছিলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়ার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান জানা প্রয়োজন। যাঁরা এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে সিলেবাসের বাইরের বই বেশি পড়েছেন।
অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ ছাড়া কি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নেই? সিফাত জানালেন, যাঁরা এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় ভালো থাকেন। তবে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করার জন্য অতিরিক্ত বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। এগুলোর মধ্যে আছে বিতর্ক, ছবি আঁকা, বিজ্ঞানবিষয়ক কার্যক্রম, গবেষণা ইত্যাদি। এ ছাড়া যাঁর যে বিষয়টি পছন্দ, তিনি সে বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। তার মানে হচ্ছে, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে; পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিতেও যুক্ত রাখতে হবে।
নাফিস উল হক সিফাত এমআইটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য এ বছরের ৪ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন করেন। ভর্তির বিষয়টি ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ১৫ মার্চ। তাঁর এই সাফল্যে শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। সিফাত ভাসছেন শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সংবর্ধনার বন্যায়। ১৭ মার্চ শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে সিফাতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ ছাড়া তাঁর বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকেরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
মো. নাফিস উল হক সিফাত। বাবা নাসির উদ্দিন ও মা কামরুন নাহার—দুজনই কলেজশিক্ষক। বাবা-মায়ের সঙ্গেই সিফাত থাকেন চাঁদপুর শহরের ষোলোঘর পাবলিক লাইব্রেরি এলাকার একটি ভাড়া বাসায়। শহরের হাসান আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং হাসান আলী সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকে পড়াশোনা শেষ করেন। এখন পড়ছেন চাঁদপুর সরকারি কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে। এ বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দেবেন। কিন্তু এরই মধ্যে স্নাতক শ্রেণিতে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের কেমব্রিজ শহরে অবস্থিত বিশ্ববিখ্যাত ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এমআইটি)। তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়তে আগ্রহী।
চাঁদপুরের মতো একটি ছোট্ট শহর থেকে এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ কীভাবে পেলেন, এ বিষয়ে জানার কৌতূহল থেকেই সিফাতের সঙ্গে দীর্ঘ আড্ডা হলো এক বিকেলে। বিশ্বের
বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা কীভাবে এমআইটিতে ভর্তি হন, সেটা জানতেন না তিনি। সুযোগটি এনে দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। এই মাধ্যমে অলিম্পিয়াড কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকায় তিনি এমআইটিতে আবেদন এবং তাদের পরীক্ষাগুলোতে অংশগ্রহণের সুযোগ পান। এ ছাড়া ফেসবুক কমিউনিটি গ্রুপটিতে এসে আগে যাঁরা এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদেরও সাক্ষাৎ পান সিফাত। তাঁদের সঙ্গে অনেক তথ্য আদান-প্রদান করেন তিনি। আগের বছরগুলোতে বাংলাদেশ থেকে যাঁরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন, তাঁরা বিশ্বের কোনো না কোনো অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়েছিলেন। সিফাতও ২০২২ সালের অক্টোবরে ইন্দোনেশিয়ায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিয়াড ইন ইনফরমেটিকসে (আইওআই) বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেন।
ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানের প্রতি আগ্রহ ছিল সিফাতের। জন্মদিনে সব সময় তাঁর বোন বই উপহার দিতেন। উচ্চবিদ্যালয়ে পড়ার সময় একবার তাঁর জন্মদিনে বড় বোন জাফর ইকবালের গণিতের মজার মজার বই উপহার দেন। সেসব বই পড়ে গণিতের সমাধান যেভাবে বুঝতে পেরেছেন, তাতে আরও বই পড়ার আগ্রহ জন্মে; পাশাপাশি কম্পিউটার এবং প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করেন। এ সবকিছুর পাশাপাশি তিনি অলিম্পিয়াডে অংশ নিয়ে ব্রোঞ্জপদক পান।
প্রতিদিন কত ঘণ্টা একাডেমিক পড়াশোনা করেন সিফাত—এ প্রশ্ন শুনে একগাল হেসে নিলেন তিনি। হাসি থামিয়ে জানালেন, আসলে পরীক্ষার আগে টানা পড়াশোনা করতেন সিফাত। নিয়মিত পড়তেন খুবই কম; বরং সে সময়গুলো তিনি অলিম্পিয়াডে দিয়েছিলেন। অলিম্পিয়াড কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থেকে সিফাত জেনেছিলেন, প্রাতিষ্ঠানিক পড়ার পাশাপাশি সাধারণ জ্ঞান জানা প্রয়োজন। যাঁরা এমআইটিতে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তাঁদের অনেকে সিলেবাসের বাইরের বই বেশি পড়েছেন।
অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ ছাড়া কি এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ নেই? সিফাত জানালেন, যাঁরা এ ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান, তাঁরা প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনায় ভালো থাকেন। তবে ভর্তির যোগ্যতা অর্জন করার জন্য অতিরিক্ত বিষয়ে জ্ঞান থাকতে হয়। এগুলোর মধ্যে আছে বিতর্ক, ছবি আঁকা, বিজ্ঞানবিষয়ক কার্যক্রম, গবেষণা ইত্যাদি। এ ছাড়া যাঁর যে বিষয়টি পছন্দ, তিনি সে বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারেন। তার মানে হচ্ছে, ভালোভাবে পড়াশোনা করতে হবে; পাশাপাশি এক্সট্রা কারিকুলাম অ্যাকটিভিটিতেও যুক্ত রাখতে হবে।
নাফিস উল হক সিফাত এমআইটিতে ভর্তি হওয়ার জন্য এ বছরের ৪ জানুয়ারি অনলাইনে আবেদন করেন। ভর্তির বিষয়টি ই-মেইলের মাধ্যমে নিশ্চিত হন ১৫ মার্চ। তাঁর এই সাফল্যে শিক্ষক ও পরিবারের সদস্যদের মধ্যে বইছে আনন্দের জোয়ার। সিফাত ভাসছেন শুভেচ্ছা, অভিনন্দন ও সংবর্ধনার বন্যায়। ১৭ মার্চ শুক্রবার চাঁদপুর সরকারি কলেজের এক অনুষ্ঠানে সিফাতকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ ছাড়া তাঁর বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকেরা অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
৪ ঘণ্টা আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
৪ ঘণ্টা আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
৪ ঘণ্টা আগেএই ফুলের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিখ্যাত ফরাসি আবিষ্কারক লুই অটোইন ডি বোগেনভিলিয়ার নাম। তাঁর নামেই এ গাছের নাম রাখা হয়েছিল বোগেনভিলিয়া। আর এটিকে বাংলায় প্রথম বাগানবিলাস বলে ডেকেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। কমবেশি সারা বছর ফুল দেখা গেলেও
৫ ঘণ্টা আগে