রুবায়েত হোসেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা কে এম সালিম আন্দালিবের। সেই সূত্রে গবেষণায় আগ্রহ জন্মে তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সে জন্য জিতেছেন অনেক পুরস্কারও। আন্দালিব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের শিক্ষার্থী।
২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন আন্দালিব। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। গ্রামের বাড়ি ফেনী। বাবা রহিম উল্লাহ এবং মা সালেহা খাতুন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আন্দালিব বড়।
২০২২ সালে নেটওয়ার্ক অব ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্টস অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ফিউচার রিসার্চার্স চ্যালেঞ্জ ২০২২’-এ ক্যানসার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন সালিম আন্দালিব। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশের প্রায় ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। চূড়ান্ত পর্বে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর একটি নতুন কার্যকর গবেষণা প্রবন্ধ খুঁজে বের করে ৫ মিনিটে বাংলায় উপস্থাপন এবং সেটির ভালো ও দুর্বল দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন আন্দালিব। স্তন ক্যানসার নিয়ে উপস্থাপন করা আন্দালিবের সেই প্রকল্প ক্যানসার ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর পায়। একই সঙ্গে তিনি সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হন।
২০২০ সালের করোনাকালে জৈব তথ্যবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং সে-সম্পর্কিত কাজ শিখতে শুরু করেন সালিম আন্দালিব। ওই বছরই দেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কম্পিউটেশনাল বায়োলজি’র দেশভিত্তিক শিক্ষার্থীদের একটি অনলাইন গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। ধীরে ধীরে তিনি জৈব তথ্যবিজ্ঞানে নিজের গবেষণার পরিধি বাড়িয়েছেন। তাঁর বেশি আগ্রহ ছিল ক্যানসার বিষয়ে। একজন সুস্থ মানুষ ও ক্যানসার রোগীর জিনে কোন ধরনের পরিবর্তন আছে, সেটা বোঝা ও তাকে কোনো কম্পিউটেশনাল মডেল দিয়ে ব্যাখ্যা করা তাঁর আগ্রহের জায়গা। একই সঙ্গে পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে জটিল এসব রোগের থেরাপিউটিক টার্গেট এবং নির্দিষ্ট ওষুধের মলিকুল চিহ্নিত করাও তাঁর অন্যতম আগ্রহের জায়গা।
মানুষের ফুসফুসের কোষ যদি একই সঙ্গে ক্যানসার এবং সার্স-কোভি-২ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়, তাহলে ফুসফুসের মাইক্রো এনভায়রনমেন্টে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে, এটি নিয়ে এখন গবেষণা করছেন আন্দালিব। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর যৌথ গবেষণাকর্মটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত প্রথম জাতীয় ক্যানসার গবেষণা সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। সেই গবেষণার বিষয় ছিল ‘হোমবক্স বি-৭’ নামের একটি জিন কীভাবে একই সঙ্গে ক্যানসারে ছড়িয়ে পড়ে ড্রাগ রেজিস্টেন্স নিয়ন্ত্রণ করছে।
ইতিমধ্যে আন্দালিব ছয়টি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন। সম্প্রতি তাঁর গবেষণাপত্র একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল জৈব তথ্যবিজ্ঞান ও রসায়নবিদ্যার জ্ঞান ব্যবহার করে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের প্যাথলজিক্যাল মেকানিজম বোঝার চেষ্টা করা।
এই গবেষণায় চারটি নতুন প্রোটিনের কথা উঠে আসে, যেগুলো এ ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কে এম সালিম আন্দালিব দেশ ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এসব কৃতিত্বের জন্য গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপাচার্যের কাছ থেকে সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
ভবিষ্যতেও ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করে যেতে চান কে এম সালিম আন্দালিব। ক্যানসারের আণবিক রহস্য বুঝতে আরও গভীর গবেষণায় যুক্ত থাকতে চান তিনি।
ছোটবেলা থেকে বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা কে এম সালিম আন্দালিবের। সেই সূত্রে গবেষণায় আগ্রহ জন্মে তাঁর। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এসে ক্যানসার নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। সে জন্য জিতেছেন অনেক পুরস্কারও। আন্দালিব খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং (বিজিই) বিভাগের শিক্ষার্থী।
২০১৯ সালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হন আন্দালিব। বর্তমানে তিনি চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। গ্রামের বাড়ি ফেনী। বাবা রহিম উল্লাহ এবং মা সালেহা খাতুন। দুই ভাইয়ের মধ্যে আন্দালিব বড়।
২০২২ সালে নেটওয়ার্ক অব ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্টস অব বাংলাদেশ আয়োজিত ‘ন্যাশনাল ফিউচার রিসার্চার্স চ্যালেঞ্জ ২০২২’-এ ক্যানসার ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হন সালিম আন্দালিব। এই প্রতিযোগিতায় সারা দেশের প্রায় ২১টি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োটেকনোলজি, বায়োকেমিস্ট্রি ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন। চূড়ান্ত পর্বে নির্দিষ্ট বিষয়ের ওপর একটি নতুন কার্যকর গবেষণা প্রবন্ধ খুঁজে বের করে ৫ মিনিটে বাংলায় উপস্থাপন এবং সেটির ভালো ও দুর্বল দিকগুলো ব্যাখ্যা করেন আন্দালিব। স্তন ক্যানসার নিয়ে উপস্থাপন করা আন্দালিবের সেই প্রকল্প ক্যানসার ক্যাটাগরিতে সর্বোচ্চ নম্বর পায়। একই সঙ্গে তিনি সবাইকে পেছনে ফেলে চ্যাম্পিয়ন হন।
২০২০ সালের করোনাকালে জৈব তথ্যবিজ্ঞানের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন এবং সে-সম্পর্কিত কাজ শিখতে শুরু করেন সালিম আন্দালিব। ওই বছরই দেশে ‘ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কম্পিউটেশনাল বায়োলজি’র দেশভিত্তিক শিক্ষার্থীদের একটি অনলাইন গ্রুপে যুক্ত হন তিনি। ধীরে ধীরে তিনি জৈব তথ্যবিজ্ঞানে নিজের গবেষণার পরিধি বাড়িয়েছেন। তাঁর বেশি আগ্রহ ছিল ক্যানসার বিষয়ে। একজন সুস্থ মানুষ ও ক্যানসার রোগীর জিনে কোন ধরনের পরিবর্তন আছে, সেটা বোঝা ও তাকে কোনো কম্পিউটেশনাল মডেল দিয়ে ব্যাখ্যা করা তাঁর আগ্রহের জায়গা। একই সঙ্গে পরিসংখ্যানের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে জটিল এসব রোগের থেরাপিউটিক টার্গেট এবং নির্দিষ্ট ওষুধের মলিকুল চিহ্নিত করাও তাঁর অন্যতম আগ্রহের জায়গা।
মানুষের ফুসফুসের কোষ যদি একই সঙ্গে ক্যানসার এবং সার্স-কোভি-২ ভাইরাসে সংক্রমিত হয়, তাহলে ফুসফুসের মাইক্রো এনভায়রনমেন্টে কেমন পরিবর্তন আসতে পারে, এটি নিয়ে এখন গবেষণা করছেন আন্দালিব। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাঁর যৌথ গবেষণাকর্মটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত প্রথম জাতীয় ক্যানসার গবেষণা সম্মেলনে উপস্থাপন করেন। সেই গবেষণার বিষয় ছিল ‘হোমবক্স বি-৭’ নামের একটি জিন কীভাবে একই সঙ্গে ক্যানসারে ছড়িয়ে পড়ে ড্রাগ রেজিস্টেন্স নিয়ন্ত্রণ করছে।
ইতিমধ্যে আন্দালিব ছয়টি গবেষণা প্রকল্পে কাজ করছেন। সম্প্রতি তাঁর গবেষণাপত্র একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। এর মূল বিষয় ছিল জৈব তথ্যবিজ্ঞান ও রসায়নবিদ্যার জ্ঞান ব্যবহার করে সার্ভিক্যাল ক্যানসারের প্যাথলজিক্যাল মেকানিজম বোঝার চেষ্টা করা।
এই গবেষণায় চারটি নতুন প্রোটিনের কথা উঠে আসে, যেগুলো এ ধরনের ক্যানসারের চিকিৎসা উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
কে এম সালিম আন্দালিব দেশ ও দেশের বাইরে বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। এসব কৃতিত্বের জন্য গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপাচার্যের কাছ থেকে সম্মানসূচক পুরস্কার লাভ করেন তিনি।
ভবিষ্যতেও ক্যানসার নিয়ে গবেষণা করে যেতে চান কে এম সালিম আন্দালিব। ক্যানসারের আণবিক রহস্য বুঝতে আরও গভীর গবেষণায় যুক্ত থাকতে চান তিনি।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৪ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে