রিমন রহমান, রাজশাহী
ঢাকায় কলেজ হলো, চট্টগ্রামেও হলো। রাজশাহী পিছিয়ে থাকবে কেন? নেওয়া হলো উদ্যোগ। রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন, দুবলহাটি ও বলিহার জমিদার; দিঘাপতিয়া ও পুঠিয়ার রাজপরিবার এগিয়ে এল কলেজ প্রতিষ্ঠায়। ১৮৭৩ সালের ১ এপ্রিল বাউলিয়া হাইস্কুল (এখনকার রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ভবনে এফ এ ক্লাস চালুর মাধ্যমে শুরু হলো রাজশাহী কলেজের যাত্রা। গত এপ্রিলে ১৫১ বছরে পা রাখল কলেজটি।
দেশের তৃতীয় প্রাচীন এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন বহু কীর্তিমান মানুষ। কীর্তিমানদের সেই কলেজটি এখন দেশসেরা। একবার, দুবার নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে টানা চারবার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে কলেজটি। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে।
ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীর ভবন
রাজশাহী কলেজের সামনের রাস্তায় দাঁড়ালে ব্রিটিশ স্থাপত্যরীতিতে তৈরি গাঢ় লাল রঙের প্রশাসনিক ভবন নজর কাড়বে প্রথমে। ৬১ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে ১৮৮৪ সালে নির্মিত হয় এটি। প্রশাসন ভবন থেকে একটু এগিয়ে গেলে ডানে শহীদ মিনার। বাঁয়ে শানবাঁধানো পদ্মপুকুর। এগোতে থাকলে চোখে পড়বে বিশাল খেলার মাঠ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা হাজী মুহম্মদ মুহসীন ভবন। এটি প্রথম বিজ্ঞান ভবন।মাঠের আরেক পাশে ফুলার মোহামেডান হোস্টেল। বর্তমানে কলা ও বাণিজ্য অনুষদের কয়েকটি বিভাগের ক্লাস হয়। এই ভবনের নির্মাণকাল ১৯০৯। মাঠের একেবারে দক্ষিণে অধ্যক্ষের দোতলা বাসভবন। এই ভবনগুলোর প্রায় সব নির্মিত হয়েছে ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীতে।
বিভাগ ও শিক্ষার্থী
শুরুতে কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন ছয়জন। পরে আট মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭। এটিকে উন্নত কলেজে রূপ দিতে দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায় দেড় লাখ টাকা দেন। তারপর বাউলিয়া স্কুলের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ের ৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস। কলেজটিতে এখন উচ্চমাধ্যমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। শিক্ষক ও কর্মচারী ২৩৭ জন। বিভাগের সংখ্যা ২৫। এগুলোর মধ্যে উর্দু ও আইসিটি ছাড়া বাকি সব বিভাগেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
পড়েছেন বহু কীর্তিমান
পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য স্যার যদুনাথ সরকার, ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান, পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ আলী মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাদার বখশ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান, প্রখ্যাত গবেষক ও ঔপন্যাসিক প্রমথনাথ বিশী, পঞ্চকবির একজন রজনীকান্ত সেন, ভাষাসৈনিক ও নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ, নাট্যকার নাজমা জেসমিন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি তৈয়ব উদ্দীন আহমেদ, এ কে খন্দকার, ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মতো বরেণ্য ব্যক্তিরা ছিলেন এই কলেজের ছাত্র।
এক অধ্যক্ষই বদলে দেন অনেক কিছু
বাউলিয়া হাইস্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক হরগোবিন্দ সেন কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তারপর এফ টি ডাউডিং, এ সি এডওয়ার্ড, ড. স্নেহময় দত্তসহ ১৯ জন অধ্যক্ষ দেশভাগের আগে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের অবদানে পূর্ব বাংলায় একমাত্র রাজশাহী কলেজ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সমমর্যাদা লাভ করে। হালে এগিয়ে চলার পালে হাওয়া লাগান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান। তিনি পুরো ক্যাম্পাসকে সাজিয়ে তোলেন নতুন করে। ২০০৯ সালে উপাধ্যক্ষ এবং ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। ২০২১ সালে অবসর নেন। তাঁর সময়কালেই সব সূচকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা হতে শুরু করে কলেজটি। শুধু পড়ালেখাই নয়, এই কলেজে রয়েছে সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতা চর্চার সাংগঠনিক কার্যক্রম।
প্রথম শহীদ মিনার
বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হলে সেদিন রাতেই রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ইট, বালু ও কাদা মাটি দিয়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে। পরে সংস্কারের পর এখন এটি ছোট একটি স্মৃতিস্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে। বড় আকারের শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
অন্ধকারে সংগ্রহশালা, আবাসনের সমস্যা
রাজশাহী কলেজে রয়েছে গেজেট, প্রাচীন পাণ্ডুলিপিসহ দুর্লভ বইপত্রে ঠাসা বিশাল এক গ্রন্থাগার। এখানে শুধু বই-ই আছে প্রায় ৭৮ হাজার। কিন্তু এখনো অন্ধকারে রয়ে গেছে কলেজের সংগ্রহশালাটি। কলেজের একটি কক্ষে থাকা এই সংগ্রহশালায় রয়েছে বহু পুরোনো নিদর্শন। বহু বছর ধরে এই সংগ্রহশালা তালাবদ্ধ বলে শিক্ষার্থীরা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। কলেজের ছেলে ও মেয়েদের দুটি হোস্টেলে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন আবাসিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই সুবিধা যে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীর তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল, সেটা বলাই বাহুল্য।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মো. আবদুল খালেক প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান। সমাধান করতে চান আবাসন সমস্যার। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছরে রাজশাহী কলেজ ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছে। ১০-১২ বছরে এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রমেও পরিবর্তন এসেছে। তারপরও থেকে যাওয়া শ্রেণিকক্ষ কিংবা আবাসন-সংকটের মতো সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা চলছে।
ঢাকায় কলেজ হলো, চট্টগ্রামেও হলো। রাজশাহী পিছিয়ে থাকবে কেন? নেওয়া হলো উদ্যোগ। রাজশাহী অ্যাসোসিয়েশন, দুবলহাটি ও বলিহার জমিদার; দিঘাপতিয়া ও পুঠিয়ার রাজপরিবার এগিয়ে এল কলেজ প্রতিষ্ঠায়। ১৮৭৩ সালের ১ এপ্রিল বাউলিয়া হাইস্কুল (এখনকার রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল) ভবনে এফ এ ক্লাস চালুর মাধ্যমে শুরু হলো রাজশাহী কলেজের যাত্রা। গত এপ্রিলে ১৫১ বছরে পা রাখল কলেজটি।
দেশের তৃতীয় প্রাচীন এই কলেজে পড়াশোনা করেছেন বহু কীর্তিমান মানুষ। কীর্তিমানদের সেই কলেজটি এখন দেশসেরা। একবার, দুবার নয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে টানা চারবার শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে কলেজটি। আর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরেছে।
ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীর ভবন
রাজশাহী কলেজের সামনের রাস্তায় দাঁড়ালে ব্রিটিশ স্থাপত্যরীতিতে তৈরি গাঢ় লাল রঙের প্রশাসনিক ভবন নজর কাড়বে প্রথমে। ৬১ হাজার ৭০০ টাকা ব্যয়ে ১৮৮৪ সালে নির্মিত হয় এটি। প্রশাসন ভবন থেকে একটু এগিয়ে গেলে ডানে শহীদ মিনার। বাঁয়ে শানবাঁধানো পদ্মপুকুর। এগোতে থাকলে চোখে পড়বে বিশাল খেলার মাঠ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা হাজী মুহম্মদ মুহসীন ভবন। এটি প্রথম বিজ্ঞান ভবন।মাঠের আরেক পাশে ফুলার মোহামেডান হোস্টেল। বর্তমানে কলা ও বাণিজ্য অনুষদের কয়েকটি বিভাগের ক্লাস হয়। এই ভবনের নির্মাণকাল ১৯০৯। মাঠের একেবারে দক্ষিণে অধ্যক্ষের দোতলা বাসভবন। এই ভবনগুলোর প্রায় সব নির্মিত হয়েছে ব্রিটিশ স্থাপত্যশৈলীতে।
বিভাগ ও শিক্ষার্থী
শুরুতে কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন ছয়জন। পরে আট মাসের মধ্যে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৭। এটিকে উন্নত কলেজে রূপ দিতে দিঘাপতিয়ার রাজা প্রমথনাথ রায় দেড় লাখ টাকা দেন। তারপর বাউলিয়া স্কুলের পাশে পদ্মা নদীর পাড়ের ৩৫ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় রাজশাহী কলেজের নিজস্ব ক্যাম্পাস। কলেজটিতে এখন উচ্চমাধ্যমিক থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ২২ হাজার। শিক্ষক ও কর্মচারী ২৩৭ জন। বিভাগের সংখ্যা ২৫। এগুলোর মধ্যে উর্দু ও আইসিটি ছাড়া বাকি সব বিভাগেই স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা কার্যক্রম চলছে।
পড়েছেন বহু কীর্তিমান
পশ্চিমবঙ্গের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু, চলচ্চিত্রকার ঋত্বিক কুমার ঘটক, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য স্যার যদুনাথ সরকার, ইতিহাসবিদ অক্ষয়কুমার মৈত্রেয়, সাবেক প্রধান বিচারপতি হাবিবুর রহমান, পরমাণুবিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ আলী মিয়া, শিক্ষানুরাগী মাদার বখশ, জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ এ এইচ এম কামারুজ্জামান, প্রখ্যাত গবেষক ও ঔপন্যাসিক প্রমথনাথ বিশী, পঞ্চকবির একজন রজনীকান্ত সেন, ভাষাসৈনিক ও নাট্যকার অধ্যাপক মমতাজউদদীন আহমদ, নাট্যকার নাজমা জেসমিন চৌধুরী, সাবেক আইজিপি তৈয়ব উদ্দীন আহমেদ, এ কে খন্দকার, ভাষাসৈনিক গোলাম আরিফ টিপু, প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের মতো বরেণ্য ব্যক্তিরা ছিলেন এই কলেজের ছাত্র।
এক অধ্যক্ষই বদলে দেন অনেক কিছু
বাউলিয়া হাইস্কুলের তৎকালীন প্রধান শিক্ষক হরগোবিন্দ সেন কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তারপর এফ টি ডাউডিং, এ সি এডওয়ার্ড, ড. স্নেহময় দত্তসহ ১৯ জন অধ্যক্ষ দেশভাগের আগে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁদের অবদানে পূর্ব বাংলায় একমাত্র রাজশাহী কলেজ কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের সমমর্যাদা লাভ করে। হালে এগিয়ে চলার পালে হাওয়া লাগান কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান। তিনি পুরো ক্যাম্পাসকে সাজিয়ে তোলেন নতুন করে। ২০০৯ সালে উপাধ্যক্ষ এবং ২০১৪ সালে অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। ২০২১ সালে অবসর নেন। তাঁর সময়কালেই সব সূচকে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও মন্ত্রণালয়ের র্যাঙ্কিংয়ে দেশসেরা হতে শুরু করে কলেজটি। শুধু পড়ালেখাই নয়, এই কলেজে রয়েছে সংস্কৃতি ও সাংবাদিকতা চর্চার সাংগঠনিক কার্যক্রম।
প্রথম শহীদ মিনার
বায়ান্নর একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হলে সেদিন রাতেই রাজশাহী কলেজ মুসলিম ছাত্রাবাসে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ইট, বালু ও কাদা মাটি দিয়ে একটি শহীদ মিনার তৈরি করে। পরে সংস্কারের পর এখন এটি ছোট একটি স্মৃতিস্তম্ভের মতো দাঁড়িয়ে আছে। বড় আকারের শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
অন্ধকারে সংগ্রহশালা, আবাসনের সমস্যা
রাজশাহী কলেজে রয়েছে গেজেট, প্রাচীন পাণ্ডুলিপিসহ দুর্লভ বইপত্রে ঠাসা বিশাল এক গ্রন্থাগার। এখানে শুধু বই-ই আছে প্রায় ৭৮ হাজার। কিন্তু এখনো অন্ধকারে রয়ে গেছে কলেজের সংগ্রহশালাটি। কলেজের একটি কক্ষে থাকা এই সংগ্রহশালায় রয়েছে বহু পুরোনো নিদর্শন। বহু বছর ধরে এই সংগ্রহশালা তালাবদ্ধ বলে শিক্ষার্থীরা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। কলেজের ছেলে ও মেয়েদের দুটি হোস্টেলে প্রায় ১ হাজার ৩০০ জন আবাসিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। এই সুবিধা যে প্রায় ২২ হাজার শিক্ষার্থীর তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল, সেটা বলাই বাহুল্য।
ভবিষ্যতের পরিকল্পনা
কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মো. আবদুল খালেক প্রতিষ্ঠানের ঐতিহ্য ধরে রাখতে চান। সমাধান করতে চান আবাসন সমস্যার। তিনি জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠার ১৫০ বছরে রাজশাহী কলেজ ধীরে ধীরে এগিয়ে গেছে। ১০-১২ বছরে এর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। বাহ্যিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি একাডেমিক কার্যক্রমেও পরিবর্তন এসেছে। তারপরও থেকে যাওয়া শ্রেণিকক্ষ কিংবা আবাসন-সংকটের মতো সমস্যাগুলো দূর করার চেষ্টা চলছে।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৪ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে