শিক্ষকদের কথা
গবেষণার সুযোগ তৈরি হোক
প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে পাবিপ্রবির অগ্রযাত্রার সারথি হয়ে আছি অনেক দিন থেকে। ১৬ বছরে পদার্পণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আছি শিক্ষক হিসেবে। প্রত্যাশা এই যে শিক্ষার মানোন্নয়ন, আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন, যুগোপযোগী পাঠদান, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হোক। এগুলো করতে পারলেই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সংকট কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন
দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে ২০২১ সালে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়েছি। হামাগুড়ি দিয়ে পথ চলতে শুরু করা পাবিপ্রবি এখন হাঁটতে শিখেছে। একঝাঁক মেধাবী শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাবিপ্রবিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীরা আমাজন, ইন্টেল ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এখন। তবে এখানে গবেষণা সরঞ্জামাদি এবং অপর্যাপ্ত আবাসন সংকট রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন।
নিজস্ব গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ চাই
২০১৭ সালের ৭ মার্চ এক ঐতিহাসিক দিনে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের সব সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি। যার কারণে সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশ ও দেশের বাইরে পাবিপ্রবির সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য প্রতিটি বিভাগে নিজ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য থেকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।
মৌলিক ও ফলিত গবেষণায় দৃঢ় হোক
দেশের ২৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গৌরব ও সাফল্যের ১৫ বছর পেরিয়ে ১৬ বছরে পদার্পণ করছে পাবিপ্রবি। শুরুর দিকে বেশ সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও গ্র্যাজুয়েটরা দেশে ও বিদেশে নিজেদের সুদৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করছেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও রিসোর্স নিশ্চিত হচ্ছে। একই সঙ্গে মানসম্মত ও উচ্চমানের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মৌলিক ও ফলিত গবেষণায় দৃঢ় হোক পাবিপ্রবি, সেই প্রত্যাশা করছি।
শিক্ষার্থীদের কথা
সংকটের সমাধান দরকার
প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর আবেগ ও ভালোবাসার নাম পাবিপ্রবি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ বছরে পা রাখলেও এখনো শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক-সংকট রয়েছে। গবেষণার সুযোগ একেবারেই অপ্রতুল। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য নেই পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব সংকটের সমাধান হোক, এটাই চাওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় হোক মুক্তচিন্তার প্রাণকেন্দ্র
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের প্রত্যাশার অন্ত নেই। কিন্তু এখানে সবকিছুতে আমরা কেন জানি সংকীর্ণ। আমরা কাউকে পড়া বুঝিয়ে দিতে চাই না, কাউকে নোট-খাতা দিতে চাই না। বইয়ের বাইরে যে একটা পৃথিবী আছে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা অপারগ। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্কটাও কেমন জটিল! বইয়ের বাইরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আলোচনা খুবই সামান্য। তাই মুক্তবুদ্ধির চর্চার প্রয়োজন।
সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা চাই
দীর্ঘ পনেরো বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এখন সাংস্কৃতিক কর্মীদের পদচারণে মুখর থাকে। কখনো গান, কখনো কবিতা কিংবা বিতর্ক। এগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে সব সময় উৎসবের আমেজ বিচরণ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই সংগঠনগুলোর আয়ের কোনো উৎস নেই, এগুলো চলে কর্মীদের অর্থ দিয়ে; যেটা আমাদের জন্য হতাশার। প্রশাসন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করুক, এটাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের চাওয়া।
লাইব্রেরি আধুনিক করা উচিত
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ সময় কাটে লাইব্রেরিতে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির আধুনিকায়ন জরুরি। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় একাডেমিক বইয়ের সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বই জমা দেওয়া-নেওয়াটাও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন। পড়ার যে জায়গা আছে, সেটাও সেকেলে, এটাকে উন্নত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি খবরের কাগজ পড়ার নির্দিষ্ট স্থান ও ডেস্ক না থাকায় প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। লাইব্রেরির আধুনিকায়ন তাই সময়ের দাবি।
শিক্ষকদের কথা
গবেষণার সুযোগ তৈরি হোক
প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী হওয়ার সুবাদে পাবিপ্রবির অগ্রযাত্রার সারথি হয়ে আছি অনেক দিন থেকে। ১৬ বছরে পদার্পণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আছি শিক্ষক হিসেবে। প্রত্যাশা এই যে শিক্ষার মানোন্নয়ন, আধুনিক ল্যাবরেটরি স্থাপন, যুগোপযোগী পাঠদান, গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা হোক। এগুলো করতে পারলেই বিশ্ববিদ্যালয় অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
সংকট কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন
দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা শেষে ২০২১ সালে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হয়েছি। হামাগুড়ি দিয়ে পথ চলতে শুরু করা পাবিপ্রবি এখন হাঁটতে শিখেছে। একঝাঁক মেধাবী শিক্ষকের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পাবিপ্রবিকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছে। শিক্ষার্থীরা আমাজন, ইন্টেল ইত্যাদির মতো প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে এখন। তবে এখানে গবেষণা সরঞ্জামাদি এবং অপর্যাপ্ত আবাসন সংকট রয়েছে। এগুলো কাটিয়ে ওঠা প্রয়োজন।
নিজস্ব গ্র্যাজুয়েটদের নিয়োগ চাই
২০১৭ সালের ৭ মার্চ এক ঐতিহাসিক দিনে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করি। নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমাদের জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির জন্য শিক্ষকদের সব সময় অক্লান্ত পরিশ্রম করতে দেখেছি। যার কারণে সাবেক শিক্ষার্থীরা দেশ ও দেশের বাইরে পাবিপ্রবির সুনাম ছড়িয়ে দিচ্ছেন। বর্তমান প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করার জন্য প্রতিটি বিভাগে নিজ গ্র্যাজুয়েটদের মধ্য থেকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হোক।
মৌলিক ও ফলিত গবেষণায় দৃঢ় হোক
দেশের ২৯তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গৌরব ও সাফল্যের ১৫ বছর পেরিয়ে ১৬ বছরে পদার্পণ করছে পাবিপ্রবি। শুরুর দিকে বেশ সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও গ্র্যাজুয়েটরা দেশে ও বিদেশে নিজেদের সুদৃঢ় অবস্থান প্রকাশ করছেন। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন প্রশংসনীয় উদ্যোগে শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার জন্য পর্যাপ্ত অবকাঠামো ও রিসোর্স নিশ্চিত হচ্ছে। একই সঙ্গে মানসম্মত ও উচ্চমানের শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে মৌলিক ও ফলিত গবেষণায় দৃঢ় হোক পাবিপ্রবি, সেই প্রত্যাশা করছি।
শিক্ষার্থীদের কথা
সংকটের সমাধান দরকার
প্রায় পাঁচ হাজার শিক্ষার্থীর আবেগ ও ভালোবাসার নাম পাবিপ্রবি। কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৬ বছরে পা রাখলেও এখনো শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ নিশ্চিত হয়নি। বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত শিক্ষক-সংকট রয়েছে। গবেষণার সুযোগ একেবারেই অপ্রতুল। শিক্ষার্থীদের থাকার জন্য নেই পর্যাপ্ত আবাসনের ব্যবস্থা। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব সংকটের সমাধান হোক, এটাই চাওয়া।
বিশ্ববিদ্যালয় হোক মুক্তচিন্তার প্রাণকেন্দ্র
বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমাদের প্রত্যাশার অন্ত নেই। কিন্তু এখানে সবকিছুতে আমরা কেন জানি সংকীর্ণ। আমরা কাউকে পড়া বুঝিয়ে দিতে চাই না, কাউকে নোট-খাতা দিতে চাই না। বইয়ের বাইরে যে একটা পৃথিবী আছে, সেটা নিয়ে আলোচনা করতে আমরা অপারগ। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সম্পর্কটাও কেমন জটিল! বইয়ের বাইরে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আলোচনা খুবই সামান্য। তাই মুক্তবুদ্ধির চর্চার প্রয়োজন।
সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা চাই
দীর্ঘ পনেরো বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেকগুলো সাংস্কৃতিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ এখন সাংস্কৃতিক কর্মীদের পদচারণে মুখর থাকে। কখনো গান, কখনো কবিতা কিংবা বিতর্ক। এগুলো নিয়ে ক্যাম্পাসে সব সময় উৎসবের আমেজ বিচরণ করে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, এই সংগঠনগুলোর আয়ের কোনো উৎস নেই, এগুলো চলে কর্মীদের অর্থ দিয়ে; যেটা আমাদের জন্য হতাশার। প্রশাসন সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করুক, এটাই বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের চাওয়া।
লাইব্রেরি আধুনিক করা উচিত
বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাসের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ সময় কাটে লাইব্রেরিতে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরির আধুনিকায়ন জরুরি। লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় একাডেমিক বইয়ের সংকট থাকায় শিক্ষার্থীদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বই জমা দেওয়া-নেওয়াটাও আধুনিক হওয়া প্রয়োজন। পড়ার যে জায়গা আছে, সেটাও সেকেলে, এটাকে উন্নত করা প্রয়োজন। পাশাপাশি খবরের কাগজ পড়ার নির্দিষ্ট স্থান ও ডেস্ক না থাকায় প্রতিনিয়ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হচ্ছে। লাইব্রেরির আধুনিকায়ন তাই সময়ের দাবি।
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৪ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে