সৈয়দ আকিব হোসেন
ইউনিভার্সিটি অব ডেবরেসেন হাঙ্গেরির একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত। হাঙ্গেরির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি অবস্থান হাঙ্গেরির ডেবরেসেন শহরে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভবনে সুবিশাল ক্যাম্পাস। সবুজে ঘেরা বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাসের বিষয়ে জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের শিক্ষার্থী সৈয়দ আকিব হোসেন।
এই ক্যাম্পাসের ক্লাস, ল্যাব, আড্ডা—সবকিছুই প্রাণবন্ত। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিশাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে হয় ক্লাস। মেডিকেল বিষয়ের শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখার জন্য কিছু ক্লাস হয় হাসপাতালে। বিশাল এই ক্যাম্পাসে চলাচল কিছুটা কষ্টকর হলেও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সেটা মেনে নেওয়া যায়।
আমাদের কখনো ক্লাস ছিল লাইফ সায়েন্স বিল্ডিংয়ে, কখনো অ্যানাটমি কিংবা কখনো থিওরিটিক্যাল বিল্ডিংয়ে। মলিকুলার বায়োলজির শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে কখনো ফিজিওলজি বিভাগ, কখনো শিশু বিভাগ কিংবা অর্থোপেডিকস বিভাগের লেকচার হলেও আমাদের ক্লাসগুলো হতো। কিছু কিছু কোর্স মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও করতে হয়েছে। লেকচার হলগুলোতে একসঙ্গে দেড় শ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারে। এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যাওয়া, ক্লাসের বিরতিতে আড্ডা কিংবা ক্যাফেটেরিয়ায় কাটানো সময়গুলো সত্যিই স্মৃতিমধুর। এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক হওয়ায় এ কাজগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। পাশাপাশি ভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে পেরেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচীন হওয়ায় এর গ্রন্থাগার বেশ সমৃদ্ধ। মূল ভবনের গ্রন্থাগারটিতে প্রাচীন ঐতিহ্যের ছাপ পাওয়া যায়। ওখানকার পড়াশোনার কক্ষগুলো প্রাচীন আমলে নকশা করা। গ্রন্থাগারে দলগত শিক্ষা ও আলাদাভাবে নিজে পড়ার জন্য জায়গা ছিল। গ্রন্থাগারটিতে পুরোনো ঐতিহাসিক অনেক বইও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং এতে প্রচুর বই, সাময়িকী, মানচিত্র ও অন্যান্য উপকরণের সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরির ডেটাবেইস, ই-বুক, ই-জার্নালসহ অসংখ্য ইলেকট্রনিক রিসোর্সে প্রবেশাধিকার রয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রধান গ্রন্থাগার ছাড়াও ক্যাম্পাসে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান গ্রন্থাগার, কৃষি ও পরিবেশবিজ্ঞান গ্রন্থাগার এবং প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তি গ্রন্থাগারসহ বেশ কিছু বিশেষ গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রুপ স্টাডির জন্য আমরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা বেছে নিতাম।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাস
এবং অফ-ক্যাম্পাস অ্যাপার্টমেন্টসহ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি আবাসন ভবন রয়েছে ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। হলগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ফলে সহজেই শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্লাস এবং অন্যান্য ক্যাম্পাস-সুবিধা নিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তোরাঁ, কফি শপসহ শিক্ষার্থীদের জন্য
বেশ কয়েকটি খাবারের জায়গা রয়েছে। স্ন্যাকস ও পানীয়ের জন্য ক্যাম্পাসজুড়ে ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ হলে থাকে।
এখানে খেলাধুলার সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। রয়েছে একটি ইনডোর সুইমিংপুল, বাস্কেটবল ও ভলিবল কোর্ট, ফিটনেস সেন্টার ও রানিং ট্র্যাক। শীতকালে তীব্র ঠান্ডার কারণে কেউ বাইরে থাকতে পছন্দ করে না। তবে গ্রীষ্ম ও বসন্তে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ায়। ক্যাম্পাসের পাশেই একটি পার্ক আছে। ক্লাস শেষে আমরা সেখানে আড্ডা দিতাম কিংবা মন খারাপ থাকলে সময় কাটাতাম। ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয় কনসার্ট, পারফরম্যান্স, সাংস্কৃতিক উৎসবসহ পুরো শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এই ইভেন্টগুলো শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণ, ফান ও বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন লার্নিং সেন্টার নির্মিত হয়েছে। এতে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন লেকচার থিয়েটার, ক্লাসরুম, স্টাডি হল ও ক্যাফেটেরিয়া। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরামর্শ কেন্দ্র, ক্যারিয়ার কেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসবিষয়ক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এই পরিষেবাগুলো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ও ব্যক্তিগতভাবে সফল হতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বৈচিত্র্যময় ও আনন্দদায়ক ক্যাম্পাস-জীবনের সুযোগ করে দেয়। সেই সঙ্গে রয়েছে সামাজিকীকরণ শেখা এবং ব্যক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর বিভিন্ন সুযোগ।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
ইউনিভার্সিটি অব ডেবরেসেন হাঙ্গেরির একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ১৯১২ সালে প্রতিষ্ঠিত। হাঙ্গেরির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বড় বিশ্ববিদ্যালয়। এটি অবস্থান হাঙ্গেরির ডেবরেসেন শহরে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ভবনে সুবিশাল ক্যাম্পাস। সবুজে ঘেরা বৈচিত্র্যময় ক্যাম্পাসের বিষয়ে জানাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের শিক্ষার্থী সৈয়দ আকিব হোসেন।
এই ক্যাম্পাসের ক্লাস, ল্যাব, আড্ডা—সবকিছুই প্রাণবন্ত। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বিশাল ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে হয় ক্লাস। মেডিকেল বিষয়ের শিক্ষার্থীদের হাতেকলমে শেখার জন্য কিছু ক্লাস হয় হাসপাতালে। বিশাল এই ক্যাম্পাসে চলাচল কিছুটা কষ্টকর হলেও অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সেটা মেনে নেওয়া যায়।
আমাদের কখনো ক্লাস ছিল লাইফ সায়েন্স বিল্ডিংয়ে, কখনো অ্যানাটমি কিংবা কখনো থিওরিটিক্যাল বিল্ডিংয়ে। মলিকুলার বায়োলজির শিক্ষার্থী হওয়ার কারণে কখনো ফিজিওলজি বিভাগ, কখনো শিশু বিভাগ কিংবা অর্থোপেডিকস বিভাগের লেকচার হলেও আমাদের ক্লাসগুলো হতো। কিছু কিছু কোর্স মেডিকেলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গেও করতে হয়েছে। লেকচার হলগুলোতে একসঙ্গে দেড় শ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারে। এক ক্লাস থেকে আরেক ক্লাসে যাওয়া, ক্লাসের বিরতিতে আড্ডা কিংবা ক্যাফেটেরিয়ায় কাটানো সময়গুলো সত্যিই স্মৃতিমধুর। এখানকার বেশির ভাগ শিক্ষার্থী আন্তর্জাতিক হওয়ায় এ কাজগুলোর মধ্য দিয়ে আমাদের বন্ধন দৃঢ় হয়েছে। পাশাপাশি ভিন্ন দেশের সংস্কৃতির সঙ্গেও পরিচিত হতে পেরেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রাচীন হওয়ায় এর গ্রন্থাগার বেশ সমৃদ্ধ। মূল ভবনের গ্রন্থাগারটিতে প্রাচীন ঐতিহ্যের ছাপ পাওয়া যায়। ওখানকার পড়াশোনার কক্ষগুলো প্রাচীন আমলে নকশা করা। গ্রন্থাগারে দলগত শিক্ষা ও আলাদাভাবে নিজে পড়ার জন্য জায়গা ছিল। গ্রন্থাগারটিতে পুরোনো ঐতিহাসিক অনেক বইও রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ক্যাম্পাসে অবস্থিত এবং এতে প্রচুর বই, সাময়িকী, মানচিত্র ও অন্যান্য উপকরণের সংগ্রহ রয়েছে। লাইব্রেরির ডেটাবেইস, ই-বুক, ই-জার্নালসহ অসংখ্য ইলেকট্রনিক রিসোর্সে প্রবেশাধিকার রয়েছে শিক্ষার্থীদের। প্রধান গ্রন্থাগার ছাড়াও ক্যাম্পাসে চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞান গ্রন্থাগার, কৃষি ও পরিবেশবিজ্ঞান গ্রন্থাগার এবং প্রকৌশল ও তথ্যপ্রযুক্তি গ্রন্থাগারসহ বেশ কিছু বিশেষ গ্রন্থাগার রয়েছে। গ্রুপ স্টাডির জন্য আমরা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গা বেছে নিতাম।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রাবাস
এবং অফ-ক্যাম্পাস অ্যাপার্টমেন্টসহ শিক্ষার্থীদের জন্য বেশ কয়েকটি আবাসন ভবন রয়েছে ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয়ে। হলগুলো ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ফলে সহজেই শিক্ষার্থীরা তাঁদের ক্লাস এবং অন্যান্য ক্যাম্পাস-সুবিধা নিতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ক্যাফেটেরিয়া, রেস্তোরাঁ, কফি শপসহ শিক্ষার্থীদের জন্য
বেশ কয়েকটি খাবারের জায়গা রয়েছে। স্ন্যাকস ও পানীয়ের জন্য ক্যাম্পাসজুড়ে ভেন্ডিং মেশিন রয়েছে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বেশির ভাগ হলে থাকে।
এখানে খেলাধুলার সুন্দর পরিবেশ রয়েছে। রয়েছে একটি ইনডোর সুইমিংপুল, বাস্কেটবল ও ভলিবল কোর্ট, ফিটনেস সেন্টার ও রানিং ট্র্যাক। শীতকালে তীব্র ঠান্ডার কারণে কেউ বাইরে থাকতে পছন্দ করে না। তবে গ্রীষ্ম ও বসন্তে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ায়। ক্যাম্পাসের পাশেই একটি পার্ক আছে। ক্লাস শেষে আমরা সেখানে আড্ডা দিতাম কিংবা মন খারাপ থাকলে সময় কাটাতাম। ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয় কনসার্ট, পারফরম্যান্স, সাংস্কৃতিক উৎসবসহ পুরো শিক্ষাবর্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। এই ইভেন্টগুলো শিক্ষার্থীদের সামাজিকীকরণ, ফান ও বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানার সুযোগ করে দেয়।
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি নতুন লার্নিং সেন্টার নির্মিত হয়েছে। এতে রয়েছে আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন লেকচার থিয়েটার, ক্লাসরুম, স্টাডি হল ও ক্যাফেটেরিয়া। এখানে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বাস্থ্য কেন্দ্র, পরামর্শ কেন্দ্র, ক্যারিয়ার কেন্দ্রসহ ক্যাম্পাসবিষয়ক বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। এই পরিষেবাগুলো শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ও ব্যক্তিগতভাবে সফল হতে সাহায্য করে। সামগ্রিকভাবে ডেবরেসেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বৈচিত্র্যময় ও আনন্দদায়ক ক্যাম্পাস-জীবনের সুযোগ করে দেয়। সেই সঙ্গে রয়েছে সামাজিকীকরণ শেখা এবং ব্যক্তিগত দক্ষতা বাড়ানোর বিভিন্ন সুযোগ।
অনুলিখন: জুবায়ের আহম্মেদ
দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সিলেট যেন এক মহারানি। চা-বাগান, পাহাড়, নদী, ঝরনা, বিল কী নেই এ জেলায়। এ জেলারই এক উপজেলা জৈন্তাপুর। এখানে দেখা যাবে নীল পানির সারি নদী, চা-বাগান আর লাল শাপলার বিল। শীতে বেরিয়ে পড়বেন না কি?...
৮ ঘণ্টা আগেদিগন্তবিস্তৃত ধানখেতের মাথার ওপর নীল আকাশে উঁকি দেবে সাদা মেঘ। শরৎকাল বলে ভুল হতে পারে। ভুল ভাঙলে দেখতে পাবেন, মেঘের ভেলা সূর্যের আলোয় ক্ষণে ক্ষণে রং বদলে হয়ে উঠছে গোলাপি কিংবা লাল। বুঝবেন, আপনি শরতের সাদা মেঘ নয়, দেখছেন তুষারে ঢাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা।
৪ দিন আগেকোনো কিছু ওপর থেকে নিচে পড়ে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির কারণে। স্কুলের পদার্থবিজ্ঞান বইয়ে আমরা সবাই এ বিষয়ে পড়েছি। কিন্তু এমন কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে স্যার আইজ্যাক নিউটনের সূত্র কাজ করে না। অর্থাৎ সেসব জায়গায় কোনো মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই। যেতে চান সেই সব জায়গায়?
৪ দিন আগেশীত, বসন্ত আর বর্ষায় বাংলার নীল নদ সারির রূপ বদলে ফেলে। বর্ষায় পাহাড়ি ঢল নামলে দক্ষ মাঝিরাও ভয়ে ভয়ে বইঠা চালান। আর শীতে সারি নদীর নীল পানি দেয় অপার্থিব জগতের খোঁজ। নদীটি ধরে কিছুদূর উজান বাইলেই পাওয়া যাবে লালাখাল জিরো পয়েন্ট।
৪ দিন আগে