তানভীর হাসান, শাবিপ্রবি
হাড়কাঁপানো শীতে রেলস্টেশনে কাঁপতে থাকা পথশিশুদের শীতের পোশাক পরিয়ে দেওয়াটা তাদের কাছে ‘শো অফ’ নয়, দায়িত্ব। রক্তের অভাবে প্রসববেদনায় কাতরানো কোনো মায়ের জন্য রক্ত সংগ্রহ কিংবা শিক্ষাবঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে পড়ানোটাও তাদের কাছে দায়িত্ব। এমন অনেক ‘দায়িত্ব’ নিজেদের কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’।
কিনের স্লোগান ‘আত্মার কাছে দায়বদ্ধতায় হাতে রাখি হাত’। ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি মো. এমদাদুল করিমকে আহ্বায়ক করে ৯ জন স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে গড়ে উঠেছে শাবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সামাজিকভাবে অবহেলিত, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। বিনা মূল্যে শিক্ষাদান, স্বেচ্ছায় রক্তদান, চ্যারিটি প্রোগ্রাম, সামাজিক সচেতনতা, শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিসহ বছরব্যাপী বিভিন্ন কাজে ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ান কিনের সদস্যরা।
সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত রক্ত সরবরাহ করে থাকে কিন। ক্যানসারসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আয়োজন করা হয় বইমেলা, চলচ্চিত্র উৎসব, পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। এসব আয়োজন থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই ব্যয় হয় সেই রোগীর চিকিৎসায়। শুধু শিক্ষা, চ্যারিটি বা রক্তদানই নয়, এর বাইরে যেকোনো উৎসব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দুই ঈদে, কখনোবা চা-শ্রমিক কিংবা বেদেপল্লির দরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয় ঈদপোশাক।
সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যাওয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণও করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি ঠিক করে দেওয়ার জন্য পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের সামাজিক অধিকার নিয়েও কাজ করে কিন।
‘চেনা হোক প্রতি মুখ শিক্ষার আয়নায়’ স্লোগানে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ শাবিপ্রবির পাশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তৈরি করা হয় ‘কিন স্কুল’। ধীরে ধীরে এর কার্যক্রম বিস্তৃত হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের নাচ, গান, কবিতা, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রভৃতি সহশিক্ষা কার্যক্রম যুক্ত করা হয় স্কুলটিতে। প্রয়োজনমতো বিনা মূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয় এখানে। তাদের স্বাস্থ্যের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া হয় এবং বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়।
সংগঠনটির সহসভাপতি মো. সালমান আসাদ্দু জানান, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাদের প্রস্তুত করাই কিনের প্রধান লক্ষ্য।
কিনের সভাপতি মাধুর্য চাকমা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কিন আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. জায়েদা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষাজীবন থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে জড়িত থাকলে ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য দায়িত্ববোধের জায়গা তৈরি হয়। আমি মনে করি, মানবিক জায়গায় সব শিক্ষার্থীরই এমন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা দরকার।’
হাড়কাঁপানো শীতে রেলস্টেশনে কাঁপতে থাকা পথশিশুদের শীতের পোশাক পরিয়ে দেওয়াটা তাদের কাছে ‘শো অফ’ নয়, দায়িত্ব। রক্তের অভাবে প্রসববেদনায় কাতরানো কোনো মায়ের জন্য রক্ত সংগ্রহ কিংবা শিক্ষাবঞ্চিত শতাধিক শিক্ষার্থীকে বিনা মূল্যে পড়ানোটাও তাদের কাছে দায়িত্ব। এমন অনেক ‘দায়িত্ব’ নিজেদের কাঁধে নিয়ে এগিয়ে চলেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘কিন’।
কিনের স্লোগান ‘আত্মার কাছে দায়বদ্ধতায় হাতে রাখি হাত’। ২০০৩ সালের ৩০ জানুয়ারি মো. এমদাদুল করিমকে আহ্বায়ক করে ৯ জন স্বপ্নবাজ তরুণের হাত ধরে গড়ে উঠেছে শাবিপ্রবির স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠন। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই সামাজিকভাবে অবহেলিত, দুস্থ ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। বিনা মূল্যে শিক্ষাদান, স্বেচ্ছায় রক্তদান, চ্যারিটি প্রোগ্রাম, সামাজিক সচেতনতা, শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিসহ বছরব্যাপী বিভিন্ন কাজে ক্যাম্পাস দাপিয়ে বেড়ান কিনের সদস্যরা।
সিলেটের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে নিয়মিত রক্ত সরবরাহ করে থাকে কিন। ক্যানসারসহ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে আয়োজন করা হয় বইমেলা, চলচ্চিত্র উৎসব, পিঠা উৎসবসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। এসব আয়োজন থেকে পাওয়া অর্থের পুরোটাই ব্যয় হয় সেই রোগীর চিকিৎসায়। শুধু শিক্ষা, চ্যারিটি বা রক্তদানই নয়, এর বাইরে যেকোনো উৎসব ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ায় সংগঠনটি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দুই ঈদে, কখনোবা চা-শ্রমিক কিংবা বেদেপল্লির দরিদ্র পরিবারের কাছে পৌঁছে দেয় ঈদপোশাক।
সিলেটের ভয়াবহ বন্যায় ডুবে যাওয়া প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ বিতরণও করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কিন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের ঘরবাড়ি ঠিক করে দেওয়ার জন্য পুনর্বাসন প্রকল্পের মাধ্যমে সহায়তা করেছেন সংগঠনটির সদস্যরা। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের সামাজিক অধিকার নিয়েও কাজ করে কিন।
‘চেনা হোক প্রতি মুখ শিক্ষার আয়নায়’ স্লোগানে ২০০৪ সালের ২৬ মার্চ শাবিপ্রবির পাশে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য তৈরি করা হয় ‘কিন স্কুল’। ধীরে ধীরে এর কার্যক্রম বিস্তৃত হয়। পড়ালেখার পাশাপাশি শিশুদের নাচ, গান, কবিতা, অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রভৃতি সহশিক্ষা কার্যক্রম যুক্ত করা হয় স্কুলটিতে। প্রয়োজনমতো বিনা মূল্যে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয় এখানে। তাদের স্বাস্থ্যের প্রতিও বিশেষ নজর দেওয়া হয় এবং বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা করা হয়।
সংগঠনটির সহসভাপতি মো. সালমান আসাদ্দু জানান, সমাজের সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের শিশুদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করে বর্তমান সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য তাদের প্রস্তুত করাই কিনের প্রধান লক্ষ্য।
কিনের সভাপতি মাধুর্য চাকমা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই কিন আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
সংগঠনটির উপদেষ্টা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হলের প্রভোস্ট ড. জায়েদা শারমিন বলেন, ‘শিক্ষাজীবন থেকে এ ধরনের স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে জড়িত থাকলে ভবিষ্যতেও মানুষের জন্য দায়িত্ববোধের জায়গা তৈরি হয়। আমি মনে করি, মানবিক জায়গায় সব শিক্ষার্থীরই এমন স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করা দরকার।’
ভারতে এক জুনিয়র আইনজীবীর ওভারটাইম কাজের পরদিন অফিসে দেরিতে হবে জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান সিনিয়র আইনজীবীকে। বার্তাটি সহজভাবে নেননি সিনিয়র আইনজীবী। তিনি প্রকাশ্য জুনিয়র আইনজীবীর সমালোচনা করেছেন। এতে দেশটিতে কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
১ দিন আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
১ দিন আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
১ দিন আগে