আনিকা জীনাত, ঢাকা
খোলামেলা জায়গা আপনার খুব পছন্দ। তাই কক্সবাজারে গিয়ে এমন একটি হোটেলে থাকতে চান, যেখান থেকে চোখ ঘোরালেই সমুদ্র দেখা যায়। এই সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ের গর্জনে যদি ঘুম ভাঙে, তবে হোটেলভাড়া বেশি দিতেও আপত্তি নেই আপনার। অনেকে আবার সাশ্রয়ীভাবে ঘোরাঘুরি সারতে আগ্রহী। তাঁরা হয়তো দাম দিয়ে ‘সি সাইড’ ভিউয়ে তেমন কোনো আকর্ষণ খুঁজে পান না। থাকতে চান প্রকৃতির কাছাকাছি। সারা দিন ঘোরাঘুরি করে খুব সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখাই তাঁদের কাছে মুখ্য। আরামের জন্য বেশি কিছু না হলেও চলে।
পরিবারসহ ঘুরতে গেলে আবার অনেকে বাজেটের মধ্যে সবটুকু সুবিধা চান, যেমন ভালো সার্ভিস, সুন্দর দৃশ্য, উন্নত মানের খাবার। সবকিছু ব্যাটে-বলে মেলাতে হলে ট্র্যাভেল ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারার বিকল্প নেই। যত বেশি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্রাউজ করবেন হোটেলকক্ষের ভাড়া ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তত ভালো ধারণা তৈরি হবে। এতে লাভ হবে দুটি। এক. ভালো সেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। দুই. অফার বা ডিসকাউন্টে খরচ কমাতে পারবেন। বছরের যে সময় পর্যটক কম আসে, সে সময়টা বেছে নিলে বাড়তি কী কী সুবিধা পাবেন, তা-ও জানতে পারবেন।
অনলাইনের যুগ শুরু হওয়ার আগে হোটেল বুকিং হতো ফোনে ফোনে। রুম কেমন, সেবা কেমন তা অন্যদের মুখে শুনে অনেকেই বেড়াতে যেতেন। হোটেলকক্ষের চেহারা দেখার সুযোগ ছিল না। ফলে হোটেলরুমে ঢোকার পর অনেকেই হতাশ হতেন। এখন এ সমস্যা নেই। হোটেল কেমন সে ধারণা ছবি দেখেই পাওয়া যায়। সেবা কেমন তা জানতে রেটিংয়ে চোখ বোলানোই যথেষ্ট।
হোটেল বুকিংয়ের ওয়েবসাইট হিসেবে বুকিং ডটকম ব্যবহার করা বেশ সহজ। এখানে হোটেলকক্ষ, প্লেন ও কার ভাড়া করা যাবে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো সম্পর্কেও এখানে বিস্তারিত জানা যাবে।
ওয়েবসাইটে ঢুকে কোথায় যাবেন, কবে চেক ইন ও চেক আউট করবেন এবং পরিবারের সদস্যসংখ্যা দিয়ে সার্চ দিলেই হোটেলকক্ষের বিস্তারিত চলে আসবে। সেখানে দিনপ্রতি রুমের ভাড়া, বিছানার সংখ্যা দেওয়া থাকবে। আগে যাঁরা হোটেলটিতে থেকে গেছেন, তাঁদের দেওয়া রেটিংও দেখা যাবে। এতে হোটেলের সেবার মান সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, সেগুলো জানা যাবে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বিভিন্ন হোটেলের সেবা ও ভাড়া যাচাই করা যায় অ্যাপে। ফলে সাশ্রয়ী দামে হোটেল বুক করতে গলদঘর্ম হতে হয় না।
অনেকেই আছেন, যাঁরা জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট নয়; বরং কিছুটা প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখতে পছন্দ করেন। চেখে দেখতে চান ওই অঞ্চলের বিখ্যাত কোনো খাবার। ঐতিহ্যবাহী পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া দেখতেও তাঁরা পছন্দ করেন। আপনিও এই দলের মানুষ হলে ফোনে ডাউনলোড করতে পারেন ‘বাংলাদেশ ট্র্যাভেল গাইড অ্যাপ’টি। এতে সাতটি বিভাগের এক হাজার জায়গার ম্যাপ, ছবি, পথনির্দেশনা, খরচ ও আবহাওয়া-সম্পর্কিত তথ্য আছে। বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস, কীভাবে সেখানে যাওয়া যাবে, কোন বাস কখন যাবে, শহর থেকে অবস্থান কত দূরে, তা জানা যাবে। গুগল প্লে-তে অ্যাপটির রেটিং ৪.৪।
আবার চাইলে সরাসরি হোটেলের নাম গুগলে সার্চ করেও বুকিং দিতে পারেন। সার্চ রেজাল্টের ডান দিকে ‘চেক অ্যাভেইলেবিলিটি’ অপশনে ক্লিক করলে হোটেল বুকিংয়ের পেজ চলে আসবে।
বিদেশে গিয়ে সুন্দর জায়গায় ঘুরতে চাইলে ঢুঁ মারতে পারেন শেয়ারট্রিপের ওয়েবসাইটে। সেখানে প্রাইস রেঞ্জ দেওয়া আছে। প্রাইস রেঞ্জ ব্যবহার করে আপনার বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণে গেলে তারাই দর্শনীয় স্থানে নিয়ে যাবে। গাড়ি ভাড়া করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্লেনের টিকিটের ব্যবস্থাও তারা করে দেবে। প্যাকেজ অনুযায়ী কোন দিন কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে, তা ওয়েবসাইটেই লেখা থাকে।
আরেক ওয়েবসাইট ‘অবকাশ ডটকমে’ গিয়ে ওমরাহ প্যাকেজে ক্লিক করতে পারেন। সেখানে ৭ থেকে শুরু করে ১৫ দিনের প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন। ট্যুর প্যাকেজের আওতায় ১০ দিনেও ভারত থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। কোভিডের কারণে সব দেশ এখনো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত নয়। কোন দেশ কোন শর্তে ভিসা দিচ্ছে, তা জানতে ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে পারেন।
যাঁরা সোলো ট্র্যাভেলার, তাঁদের জন্য সুবিধাজনক হলো স্থানীয় ট্র্যাভেল এজেন্সি বুক করা। কয়েকটি গ্রুপ ভ্রমণে যায় বলে জনবল বাড়ে, অন্যদিকে খরচও কমে।
এ বিষয়ে ট্র্যাভেল এজেন্সি হিলি হ্যাভেন ট্যুরিজমের প্রধান ওয়াজিব দিপু বলেন, গাইডের খরচ বহন, বিখ্যাত খাবার, সাশ্রয়ী ভাড়ায় থাকার জায়গা–সবকিছুর ব্যবস্থা করে ট্র্যাভেল এজেন্সি। ফেসবুকের কারণে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছে। নির্দিষ্ট একটি জায়গায় একসঙ্গে অনেক গ্রুপ ভ্রমণে যায়। ফলে কেউ একা গেলেও গ্রুপ ট্যুরের কারণে খরচ কম পড়ে।
অনলাইনে বুকিং দেওয়ার আগে
খোলামেলা জায়গা আপনার খুব পছন্দ। তাই কক্সবাজারে গিয়ে এমন একটি হোটেলে থাকতে চান, যেখান থেকে চোখ ঘোরালেই সমুদ্র দেখা যায়। এই সমুদ্রের বিশাল ঢেউয়ের গর্জনে যদি ঘুম ভাঙে, তবে হোটেলভাড়া বেশি দিতেও আপত্তি নেই আপনার। অনেকে আবার সাশ্রয়ীভাবে ঘোরাঘুরি সারতে আগ্রহী। তাঁরা হয়তো দাম দিয়ে ‘সি সাইড’ ভিউয়ে তেমন কোনো আকর্ষণ খুঁজে পান না। থাকতে চান প্রকৃতির কাছাকাছি। সারা দিন ঘোরাঘুরি করে খুব সুন্দর সুন্দর জায়গা দেখাই তাঁদের কাছে মুখ্য। আরামের জন্য বেশি কিছু না হলেও চলে।
পরিবারসহ ঘুরতে গেলে আবার অনেকে বাজেটের মধ্যে সবটুকু সুবিধা চান, যেমন ভালো সার্ভিস, সুন্দর দৃশ্য, উন্নত মানের খাবার। সবকিছু ব্যাটে-বলে মেলাতে হলে ট্র্যাভেল ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারার বিকল্প নেই। যত বেশি ওয়েবসাইট ও অ্যাপ ব্রাউজ করবেন হোটেলকক্ষের ভাড়া ও সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে তত ভালো ধারণা তৈরি হবে। এতে লাভ হবে দুটি। এক. ভালো সেবা পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে। দুই. অফার বা ডিসকাউন্টে খরচ কমাতে পারবেন। বছরের যে সময় পর্যটক কম আসে, সে সময়টা বেছে নিলে বাড়তি কী কী সুবিধা পাবেন, তা-ও জানতে পারবেন।
অনলাইনের যুগ শুরু হওয়ার আগে হোটেল বুকিং হতো ফোনে ফোনে। রুম কেমন, সেবা কেমন তা অন্যদের মুখে শুনে অনেকেই বেড়াতে যেতেন। হোটেলকক্ষের চেহারা দেখার সুযোগ ছিল না। ফলে হোটেলরুমে ঢোকার পর অনেকেই হতাশ হতেন। এখন এ সমস্যা নেই। হোটেল কেমন সে ধারণা ছবি দেখেই পাওয়া যায়। সেবা কেমন তা জানতে রেটিংয়ে চোখ বোলানোই যথেষ্ট।
হোটেল বুকিংয়ের ওয়েবসাইট হিসেবে বুকিং ডটকম ব্যবহার করা বেশ সহজ। এখানে হোটেলকক্ষ, প্লেন ও কার ভাড়া করা যাবে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো সম্পর্কেও এখানে বিস্তারিত জানা যাবে।
ওয়েবসাইটে ঢুকে কোথায় যাবেন, কবে চেক ইন ও চেক আউট করবেন এবং পরিবারের সদস্যসংখ্যা দিয়ে সার্চ দিলেই হোটেলকক্ষের বিস্তারিত চলে আসবে। সেখানে দিনপ্রতি রুমের ভাড়া, বিছানার সংখ্যা দেওয়া থাকবে। আগে যাঁরা হোটেলটিতে থেকে গেছেন, তাঁদের দেওয়া রেটিংও দেখা যাবে। এতে হোটেলের সেবার মান সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে। কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে, সেগুলো জানা যাবে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, বিভিন্ন হোটেলের সেবা ও ভাড়া যাচাই করা যায় অ্যাপে। ফলে সাশ্রয়ী দামে হোটেল বুক করতে গলদঘর্ম হতে হয় না।
অনেকেই আছেন, যাঁরা জনপ্রিয় ট্যুরিস্ট স্পট নয়; বরং কিছুটা প্রত্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখতে পছন্দ করেন। চেখে দেখতে চান ওই অঞ্চলের বিখ্যাত কোনো খাবার। ঐতিহ্যবাহী পণ্য তৈরির প্রক্রিয়া দেখতেও তাঁরা পছন্দ করেন। আপনিও এই দলের মানুষ হলে ফোনে ডাউনলোড করতে পারেন ‘বাংলাদেশ ট্র্যাভেল গাইড অ্যাপ’টি। এতে সাতটি বিভাগের এক হাজার জায়গার ম্যাপ, ছবি, পথনির্দেশনা, খরচ ও আবহাওয়া-সম্পর্কিত তথ্য আছে। বিভিন্ন জায়গার ইতিহাস, কীভাবে সেখানে যাওয়া যাবে, কোন বাস কখন যাবে, শহর থেকে অবস্থান কত দূরে, তা জানা যাবে। গুগল প্লে-তে অ্যাপটির রেটিং ৪.৪।
আবার চাইলে সরাসরি হোটেলের নাম গুগলে সার্চ করেও বুকিং দিতে পারেন। সার্চ রেজাল্টের ডান দিকে ‘চেক অ্যাভেইলেবিলিটি’ অপশনে ক্লিক করলে হোটেল বুকিংয়ের পেজ চলে আসবে।
বিদেশে গিয়ে সুন্দর জায়গায় ঘুরতে চাইলে ঢুঁ মারতে পারেন শেয়ারট্রিপের ওয়েবসাইটে। সেখানে প্রাইস রেঞ্জ দেওয়া আছে। প্রাইস রেঞ্জ ব্যবহার করে আপনার বাজেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কি না, তা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।
ট্র্যাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ভ্রমণে গেলে তারাই দর্শনীয় স্থানে নিয়ে যাবে। গাড়ি ভাড়া করার ঝামেলা পোহাতে হবে না। প্লেনের টিকিটের ব্যবস্থাও তারা করে দেবে। প্যাকেজ অনুযায়ী কোন দিন কোথায় ঘুরতে নিয়ে যাওয়া হবে, তা ওয়েবসাইটেই লেখা থাকে।
আরেক ওয়েবসাইট ‘অবকাশ ডটকমে’ গিয়ে ওমরাহ প্যাকেজে ক্লিক করতে পারেন। সেখানে ৭ থেকে শুরু করে ১৫ দিনের প্যাকেজ বেছে নিতে পারবেন। ট্যুর প্যাকেজের আওতায় ১০ দিনেও ভারত থেকে ঘুরে আসতে পারবেন। কোভিডের কারণে সব দেশ এখনো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত নয়। কোন দেশ কোন শর্তে ভিসা দিচ্ছে, তা জানতে ওয়েবসাইটটিতে ঢুকতে পারেন।
যাঁরা সোলো ট্র্যাভেলার, তাঁদের জন্য সুবিধাজনক হলো স্থানীয় ট্র্যাভেল এজেন্সি বুক করা। কয়েকটি গ্রুপ ভ্রমণে যায় বলে জনবল বাড়ে, অন্যদিকে খরচও কমে।
এ বিষয়ে ট্র্যাভেল এজেন্সি হিলি হ্যাভেন ট্যুরিজমের প্রধান ওয়াজিব দিপু বলেন, গাইডের খরচ বহন, বিখ্যাত খাবার, সাশ্রয়ী ভাড়ায় থাকার জায়গা–সবকিছুর ব্যবস্থা করে ট্র্যাভেল এজেন্সি। ফেসবুকের কারণে ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলো বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছে। নির্দিষ্ট একটি জায়গায় একসঙ্গে অনেক গ্রুপ ভ্রমণে যায়। ফলে কেউ একা গেলেও গ্রুপ ট্যুরের কারণে খরচ কম পড়ে।
অনলাইনে বুকিং দেওয়ার আগে
ভারতে এক জুনিয়র আইনজীবীর ওভারটাইম কাজের পরদিন অফিসে দেরিতে হবে জানিয়ে একটি বার্তা পাঠান সিনিয়র আইনজীবীকে। বার্তাটি সহজভাবে নেননি সিনিয়র আইনজীবী। তিনি প্রকাশ্য জুনিয়র আইনজীবীর সমালোচনা করেছেন। এতে দেশটিতে কর্মস্থলের সংস্কৃতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাগ কেনার আগে কিছু বিষয় বিবেচনায় রাখা ভালো। ব্যাগের আকার ও রং ব্যবহারকারীর ব্যক্তিত্বে ছাপ রাখে বেশ গভীরভাবে।
১ দিন আগেসংবেদনশীল ত্বকের মানুষ সারা বছর ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। এ ধরনের ত্বক আবহাওয়ার পরিবর্তন, দূষণ বা ত্বকের অনুপযুক্ত প্রসাধনীতে প্রভাবিত হতে পারে।
১ দিন আগেশীতের হিমেল হাওয়া থেকে বাঁচতে বাইকারদের পোশাক নিয়ে থাকতে হয় সচেতন। তাই এ সময় বাইকারদের পোশাকে আসে বিশেষ পরিবর্তন। বাইকারদের পোশাক যেমন শীত নিবারক হতে হয়, তেমনি হতে হয় আরামদায়ক। কী কী থাকবে সে পোশাকে?
১ দিন আগে