প্রশ্ন: জাপানের কাও করপোরেশনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
রাগীব সাফি: কাও করপোরেশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। এটি জাপানের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এখানে বাংলাদেশি গবেষক হিসেবে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। কাও করপোরেশনের পরিসীমা বিস্তৃত, এখানে কাজ শেখার অনেক সুযোগ পেয়েছি। এ ছাড়া নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাপানের কোম্পানিগুলো বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে জায়গা করে নিয়েছে, তা জানার ও শেখার সুবর্ণ সুযোগ লাভ করেছি।
প্রশ্ন: বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, পরে গবেষণায় মনোনিবেশ, বিস্তারিত বলুন।
রাগীব সাফি: বাংলাদেশ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ভারত সরকারের আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত মালাভিয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করি। এরপর দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছি। তারপর জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোটারি ইয়োনেয়ামা বৃত্তি নিয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করি। সবশেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাপান সরকারের জেএসপিএস ফেলোশিপ নিয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছি। এই বৃত্তি পাওয়া আমার একাডেমিক ও কর্মক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে। আমার মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের পক্ষে কোনোভাবেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সামর্থ্য ছিল না। বৃত্তিগুলো না পেলে উচ্চতর শিক্ষার পথে পা বাড়ানোর সাহস পেতাম না।
প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশ এবং জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে কী কী পার্থক্য লক্ষ করছেন?
রাগীব সাফি: বাংলাদেশে যতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করেছি, তাতে আমার অভিজ্ঞতা খুবই ইতিবাচক। নিজ দেশ থেকে মৌলিক শিক্ষা নিয়েই তো বিদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সেরা ফল অর্জনের গুরুত্ব অনুধাবন করা শিখিয়েছে। অন্যদিকে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে মনে হয়েছে, এখানে ব্যবহারিক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়।
প্রশ্ন: আপনার গবেষণা ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে কি অনুপ্রাণিত করেছিল? কেন শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার হিসেবে গবেষণাকে বেছে নেবে?
রাগীব সাফি: হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার সময়ে গবেষণাকে আমার কাছে কাজ বা পেশা মনে হয়নি। গবেষণাকে জীবনের অংশ মনে হয়েছে। আমি মনে করি, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে কিছু করতে পারার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে গবেষণা। সেই সময় আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে গবেষণাপত্র প্রকাশ, একাধিক কনফারেন্সে প্রেজেন্টেশন, বেশ কিছু সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জনসহ অনেক সাফল্য পেয়ে অনুপ্রেরণা পাই। পিএইচডি পর্যায়ে এসে বুঝতে পারি, আমি গবেষণা ছাড়া আর কিছুই পারি না। তাই এটাই আমার সম্বল। কাজেই কোনো শিক্ষার্থী যদি গবেষণার মাধ্যমে মানুষ ও পরিবেশের উন্নয়ন করতে চাই, তাহলে তাঁকে স্বাগত।
প্রশ্ন: জাপানের কাও করপোরেশনে গবেষক হিসেবে চাকরি পাওয়ার জার্নি সম্পর্কে জানতে চাই।
রাগীব সাফি: পিএইচডি করার শুরুতে আমি লক্ষ্য স্থির করি যে গবেষক হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করব। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে থাকি। যেহেতু জাপানে চাকরির আবেদনের জন্য কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না, তাই কাও-এ চাকরি পাওয়া কঠিন ছিল। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ক্যারিয়ার ডিজাইন সেন্টার এবং অধ্যাপকেরা আমাকে জাপানে চাকরিসংক্রান্ত তথ্য ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া জাপানের বিভিন্ন চাকরির সার্চ পোর্টালের মাধ্যমেও চাকরি খুঁজেছি। এর মধ্যে কাও করপোরেশনে গবেষণার বিষয়ের সঙ্গে আমার পিএইচডি পর্যায়ের গবেষণা অনেকটাই মিলে যায়। পরিশেষে কাও করপোরেশন থেকে অফার লেটার দেয়। কাও করপোরেশনে যোগ দেওয়ার পর জানতে পারি, গবেষণায় মিল ছাড়াও আমার ব্যক্তিত্ব, বাচনভঙ্গি, কর্মস্পৃহা, চরিত্র, যোগাযোগদক্ষতার কারণে তারা আমাকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
প্রশ্ন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়?
রাগীব সাফি: বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কর্মক্ষেত্র নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া অনেকটা সময়সাপেক্ষ এবং অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়, ভাগ্যের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। কাজেই সে সময় আগ্রহ ও প্রেরণা না হারাতে পারাটাই চ্যালেঞ্জিং। তাই প্রতিটি ধাপ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেগুলো কাজে লাগিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো সাক্ষাৎকার, পরীক্ষা অথবা আবেদনপত্র পূরণের আগে সময় নিয়ে ভালো করে পেছনের তথ্যাদি জেনে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে এগোতে হবে। যে দেশে বা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা হচ্ছে, সেখানকার সংস্কৃতি, ভাষা, লক্ষ্য ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। জাপানের কর্মক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর বিশেষ দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমার কাছে জাপানি ভাষা অনেক কঠিন মনে হয়। এখানকার সংস্কৃতিও অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা। তাই জাপানে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য ভাষা ও সংস্কৃতি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি।
প্রশ্ন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী অন্যান্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য আপনি কী পরামর্শ দেবেন?
রাগীব সাফি: বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী হওয়ার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অধ্যবসায় ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। ক্রিকেটে টেস্ট খেলার মতো ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে সবকিছু ব্যবস্থা করতে পারলে বিজয় নিশ্চিত। নিজের সব শক্তি ও শ্রম দিয়ে গন্তব্যে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, আগে যাঁরা সাফল্য অর্জন করেছেন, সবাই ব্যর্থতা ও হতাশা পাড়ি দিয়েই শেষে সফলতার দেখা পেয়েছেন।
প্রশ্ন: জাপানের কাও করপোরেশনের মতো বড় প্রতিষ্ঠানে গবেষক হিসেবে কাজ করছেন, অভিজ্ঞতা কেমন?
রাগীব সাফি: কাও করপোরেশনে কাজ করার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। এটি জাপানের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি। এখানে বাংলাদেশি গবেষক হিসেবে যুক্ত হতে পেরে গর্বিত। কাও করপোরেশনের পরিসীমা বিস্তৃত, এখানে কাজ শেখার অনেক সুযোগ পেয়েছি। এ ছাড়া নতুন নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে জাপানের কোম্পানিগুলো বিশ্বের বেশির ভাগ মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটিয়ে জায়গা করে নিয়েছে, তা জানার ও শেখার সুবর্ণ সুযোগ লাভ করেছি।
প্রশ্ন: বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন, পরে গবেষণায় মনোনিবেশ, বিস্তারিত বলুন।
রাগীব সাফি: বাংলাদেশ থেকে এইচএসসি পাস করার পর ভারত সরকারের আইসিসিআর বৃত্তি নিয়ে রাজস্থানের জয়পুরে অবস্থিত মালাভিয়া ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করি। এরপর দেশে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সম্পন্ন করেছি। তারপর জাপানের হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রোটারি ইয়োনেয়ামা বৃত্তি নিয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মাস্টার্স করি। সবশেষে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জাপান সরকারের জেএসপিএস ফেলোশিপ নিয়ে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছি। এই বৃত্তি পাওয়া আমার একাডেমিক ও কর্মক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছে। আমার মতো সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানের পক্ষে কোনোভাবেই উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সামর্থ্য ছিল না। বৃত্তিগুলো না পেলে উচ্চতর শিক্ষার পথে পা বাড়ানোর সাহস পেতাম না।
প্রশ্ন: আপনি বাংলাদেশ এবং জাপানের শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে কী কী পার্থক্য লক্ষ করছেন?
রাগীব সাফি: বাংলাদেশে যতটুকু শিক্ষা গ্রহণ করেছি, তাতে আমার অভিজ্ঞতা খুবই ইতিবাচক। নিজ দেশ থেকে মৌলিক শিক্ষা নিয়েই তো বিদেশের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আজকের এই পর্যায়ে এসেছি। বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আমাকে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে সেরা ফল অর্জনের গুরুত্ব অনুধাবন করা শিখিয়েছে। অন্যদিকে জাপানের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে মনে হয়েছে, এখানে ব্যবহারিক শিক্ষা ও গবেষণার ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং প্রচুর বিনিয়োগ করা হয়।
প্রশ্ন: আপনার গবেষণা ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে কি অনুপ্রাণিত করেছিল? কেন শিক্ষার্থীরা ক্যারিয়ার হিসেবে গবেষণাকে বেছে নেবে?
রাগীব সাফি: হিরোশিমা বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করার সময়ে গবেষণাকে আমার কাছে কাজ বা পেশা মনে হয়নি। গবেষণাকে জীবনের অংশ মনে হয়েছে। আমি মনে করি, সমগ্র মানবজাতির কল্যাণে কিছু করতে পারার সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হচ্ছে গবেষণা। সেই সময় আন্তর্জাতিক জার্নালগুলোতে গবেষণাপত্র প্রকাশ, একাধিক কনফারেন্সে প্রেজেন্টেশন, বেশ কিছু সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড অর্জনসহ অনেক সাফল্য পেয়ে অনুপ্রেরণা পাই। পিএইচডি পর্যায়ে এসে বুঝতে পারি, আমি গবেষণা ছাড়া আর কিছুই পারি না। তাই এটাই আমার সম্বল। কাজেই কোনো শিক্ষার্থী যদি গবেষণার মাধ্যমে মানুষ ও পরিবেশের উন্নয়ন করতে চাই, তাহলে তাঁকে স্বাগত।
প্রশ্ন: জাপানের কাও করপোরেশনে গবেষক হিসেবে চাকরি পাওয়ার জার্নি সম্পর্কে জানতে চাই।
রাগীব সাফি: পিএইচডি করার শুরুতে আমি লক্ষ্য স্থির করি যে গবেষক হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে চাকরি করব। সেভাবেই প্রস্তুতি নিতে থাকি। যেহেতু জাপানে চাকরির আবেদনের জন্য কোনো অভিজ্ঞতাই ছিল না, তাই কাও-এ চাকরি পাওয়া কঠিন ছিল। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ক্যারিয়ার ডিজাইন সেন্টার এবং অধ্যাপকেরা আমাকে জাপানে চাকরিসংক্রান্ত তথ্য ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে সহায়তা করেছেন। এ ছাড়া জাপানের বিভিন্ন চাকরির সার্চ পোর্টালের মাধ্যমেও চাকরি খুঁজেছি। এর মধ্যে কাও করপোরেশনে গবেষণার বিষয়ের সঙ্গে আমার পিএইচডি পর্যায়ের গবেষণা অনেকটাই মিলে যায়। পরিশেষে কাও করপোরেশন থেকে অফার লেটার দেয়। কাও করপোরেশনে যোগ দেওয়ার পর জানতে পারি, গবেষণায় মিল ছাড়াও আমার ব্যক্তিত্ব, বাচনভঙ্গি, কর্মস্পৃহা, চরিত্র, যোগাযোগদক্ষতার কারণে তারা আমাকে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
প্রশ্ন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে কী কী ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়?
রাগীব সাফি: বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা কর্মক্ষেত্র নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া অনেকটা সময়সাপেক্ষ এবং অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অনেক জায়গা থেকে প্রত্যাখ্যাত হতে হয়, ভাগ্যের ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করে। কাজেই সে সময় আগ্রহ ও প্রেরণা না হারাতে পারাটাই চ্যালেঞ্জিং। তাই প্রতিটি ধাপ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করে সেগুলো কাজে লাগিয়ে নিজেকে সমৃদ্ধ করে এগিয়ে যেতে হবে। কোনো সাক্ষাৎকার, পরীক্ষা অথবা আবেদনপত্র পূরণের আগে সময় নিয়ে ভালো করে পেছনের তথ্যাদি জেনে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে এগোতে হবে। যে দেশে বা প্রতিষ্ঠানে আবেদন করা হচ্ছে, সেখানকার সংস্কৃতি, ভাষা, লক্ষ্য ইত্যাদি সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। জাপানের কর্মক্ষেত্রে সংস্কৃতি ও ভাষার ওপর বিশেষ দক্ষতা অর্জনের গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমার কাছে জাপানি ভাষা অনেক কঠিন মনে হয়। এখানকার সংস্কৃতিও অন্যান্য দেশের থেকে আলাদা। তাই জাপানে কর্মক্ষেত্রে যোগদানের জন্য ভাষা ও সংস্কৃতি অনেক বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করি।
প্রশ্ন: বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী অন্যান্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীর জন্য আপনি কী পরামর্শ দেবেন?
রাগীব সাফি: বিদেশে উচ্চশিক্ষা এবং আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করতে আগ্রহী হওয়ার জন্য উচ্চাকাঙ্ক্ষা, অধ্যবসায় ও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে। ক্রিকেটে টেস্ট খেলার মতো ধৈর্য, আত্মবিশ্বাস ও সহিষ্ণুতার সঙ্গে সবকিছু ব্যবস্থা করতে পারলে বিজয় নিশ্চিত। নিজের সব শক্তি ও শ্রম দিয়ে গন্তব্যে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখতে হবে, আগে যাঁরা সাফল্য অর্জন করেছেন, সবাই ব্যর্থতা ও হতাশা পাড়ি দিয়েই শেষে সফলতার দেখা পেয়েছেন।
জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ঢাকা ব্যাংক পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটির ইন্টারনাল অডিটরের শূন্য পদে একাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
৮ মিনিট আগেশাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পুনঃনিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ছয়টি শূন্য পদে ছয়জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা ডাকযোগে আবেদনপত্র পাঠাতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগেজনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এনআরবি ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির আরও/আরএম–এর শূন্য পদে লোকবল নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা ও যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
৩ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
২ দিন আগে