নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘গত তিন বছরে নতুন কোনো জামাকাপড় কিনি নাই। ছেঁড়া জুতা সেলাই কইরা কোনো রকমে চলতেছি। কষ্ট কইরা টিউশনি করার টাকা দিয়া একের পর এক চাকরির পরীক্ষায় আবেদন কইরা গেছি। এখন সেই পরীক্ষাগুলোতেই একটা ছাইড়া আরেকটায় বসতে হইতেছে।’ কথাগুলো চাকরিপ্রত্যাশী ফরিদুল হকের। আগামী শুক্রবার একই সময়ে দুটো চাকরির পরীক্ষা তাঁর। এর মধ্যে একটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্সের (এনএসআই) সহকারী পরিচালক, অন্যটি তিতাস গ্যাসের সহকারী ব্যবস্থাপক। দুটো পরীক্ষায় আবেদন করতে তাঁর খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। একই সময়ে পরীক্ষা হওয়ায় এখন তিতাস গ্যাসের পরীক্ষাটা ছেড়ে দিতে হচ্ছে ফরিদুলকে। এর আগে গত ১৭ ও ২৪ সেপ্টেম্বরও একই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই দিনে পাঁচটি পরীক্ষা ছিল আরেক চাকরিপ্রার্থী মেহেদি হাসানের। সকালে ও বিকেলে তিনটি পরীক্ষা দিয়ে বাকি দুটো ছেড়ে দেন। শাশ্বতী হালদার নামের আরেক চাকরিপ্রার্থীর আগামী শুক্রবার পাঁচটি পরীক্ষা পড়েছে। এর মধ্যে সকালে তিনটি এবং বিকেলে দুটি। এই পরীক্ষাগুলোয় আবেদন করতে তাঁর খরচ হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। এখন একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় তিনটি পরীক্ষা তাঁকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
করোনার অচলাবস্থা শেষে যখন নিয়োগজট কাটতে শুরু করেছে, তখন নতুন করে সমস্যায় পড়ছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত তিন শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের ৪৪টি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল ২১টি পরীক্ষা। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি পরীক্ষা। আর ১ অক্টোবর হয় ১৮টি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর হতে যাচ্ছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। একই দিনে একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী শুক্রবার যেসব পরীক্ষা : আগামী শুক্রবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর), সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), সাধারণ বীমা করপোরেশন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বিভিন্ন পদের নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষাগুলোয় অংশ নেওয়ার কথা পাঁচ লাখের বেশি প্রার্থীর।
নিয়োগকর্তা ও চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা বিপাকে পড়লেও কয়েকজন নিয়োগকর্তা একে শাপে বর বলেই মনে করছেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই সময়ে পরীক্ষা হওয়াটা এক দিক থেকে ভালো। একটা পোস্টের (পদের) বিপরীতে আবেদন করে ১০০ জন। এখন যদি ৫০ জন এখানে পরীক্ষা দেয়, তাহলে ভালো বেশি। তা না হলে দেখা যায়, একজন পাঁচ জায়গায় চাকরি পায়, আর একজন কোথাও চাকরি পায় না।
বেলায়েত হোসেন জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরীক্ষার কাজটা বুয়েটে দেওয়া ছিল গত মে-জুনে। তখন একটা তারিখও হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউন শুরু হওয়ায় পরীক্ষাটা বুয়েট আর নিতে পারেনি। এখন বুয়েট পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে। তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের অফিস সহকারী পদের পরীক্ষা ৮ অক্টোবর। এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১৭ হাজার প্রার্থী। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন জানান, এক মাস আগে থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্কুল-কলেজ নির্ধারণ করা শুরু হয়। চাকরির পরীক্ষার আধিক্যের কারণে পরীক্ষার স্থান নির্বাচন করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিয়োগকর্তাদের বেশির ভাগই বলছেন, করোনার কারণে এবার একই সময়ে পরীক্ষার সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। তবে এর বিপরীত মতও আছে। সাধারণ বীমা করপোরেশনের নাজিম উদ্দিনই জানান, ২০১৯ সালেও একটি নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁরা দেখতে পান প্রার্থীর উপস্থিতি মাত্র ৫০ শতাংশ। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে তাঁরা আবিষ্কার করেন, একই সময়ে আরেকটি পরীক্ষা থাকায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক কর্মকর্তাও বলেন একই ধরনের কথা। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, একই সময়ে সরকারি নিয়োগের একাধিক পরীক্ষা আগেও হয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ে এত উচ্চবাচ্য হয়নি। বেকারদের কথা বিবেচনা করে এই সমস্যাটা কাটানোর জন্য আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সহকারী পরিচালকের (প্রশাসন) পাঁচটি পদের বিপরীতে ১৪ হাজার ৮০৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এই পদের চাকরিপ্রার্থী নুরুল আলম বলেন, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তারিখ নির্ধারণের আগে অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা আছে কি না, সেটা দেখে নেওয়া। তবে আরইবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই স্বাধীন। কোন সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেটা কারও কাছে জিজ্ঞাসা করে করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তা ছাড়া, চাকরির পরীক্ষায় তো এটা লেখা থাকে না যে, ওই সময়ে অন্য কোনো পরীক্ষা থাকতে পারবে না। সমাধান কোথায়?
একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষার জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পরীক্ষার সময় নিয়ে সমন্বয় আনার কথা বলছে পিএসসি। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, পিএসসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন যেভাবে নিয়োগ হয়, দেশের সব চাকরির পরীক্ষাই সেভাবে নেওয়া উচিত। মাত্র চার-পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের অধীন সব পরীক্ষা হলে এ সমস্যায় আর পড়তে হবে না বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
অন্যদিকে বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর দিলেন দুটি পরামর্শ। তাঁর মতে, সাপ্তাহিক ছুটিতে পরীক্ষা না নিয়ে সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রের সমস্যা কাটাতে তাঁর পরামর্শ হলো, অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, সরাসরি পরীক্ষা নিতে একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যেখানে ২০০-৫০০ টাকা খরচ হয়, অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেই খরচ ১৫-২০ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব। এখন বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক এভাবেই পরীক্ষা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
‘গত তিন বছরে নতুন কোনো জামাকাপড় কিনি নাই। ছেঁড়া জুতা সেলাই কইরা কোনো রকমে চলতেছি। কষ্ট কইরা টিউশনি করার টাকা দিয়া একের পর এক চাকরির পরীক্ষায় আবেদন কইরা গেছি। এখন সেই পরীক্ষাগুলোতেই একটা ছাইড়া আরেকটায় বসতে হইতেছে।’ কথাগুলো চাকরিপ্রত্যাশী ফরিদুল হকের। আগামী শুক্রবার একই সময়ে দুটো চাকরির পরীক্ষা তাঁর। এর মধ্যে একটা ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্সের (এনএসআই) সহকারী পরিচালক, অন্যটি তিতাস গ্যাসের সহকারী ব্যবস্থাপক। দুটো পরীক্ষায় আবেদন করতে তাঁর খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা। একই সময়ে পরীক্ষা হওয়ায় এখন তিতাস গ্যাসের পরীক্ষাটা ছেড়ে দিতে হচ্ছে ফরিদুলকে। এর আগে গত ১৭ ও ২৪ সেপ্টেম্বরও একই ধরনের সমস্যায় পড়তে হয়েছিল তাঁকে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই দিনে পাঁচটি পরীক্ষা ছিল আরেক চাকরিপ্রার্থী মেহেদি হাসানের। সকালে ও বিকেলে তিনটি পরীক্ষা দিয়ে বাকি দুটো ছেড়ে দেন। শাশ্বতী হালদার নামের আরেক চাকরিপ্রার্থীর আগামী শুক্রবার পাঁচটি পরীক্ষা পড়েছে। এর মধ্যে সকালে তিনটি এবং বিকেলে দুটি। এই পরীক্ষাগুলোয় আবেদন করতে তাঁর খরচ হয়েছে ২ হাজার ৩০০ টাকা। এখন একই দিনে পরীক্ষা হওয়ায় তিনটি পরীক্ষা তাঁকে ছেড়ে দিতে হচ্ছে।
করোনার অচলাবস্থা শেষে যখন নিয়োগজট কাটতে শুরু করেছে, তখন নতুন করে সমস্যায় পড়ছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। গত তিন শুক্রবার বিভিন্ন সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এবং মন্ত্রণালয়ের ৪৪টি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর ছিল ২১টি পরীক্ষা। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় পাঁচটি পরীক্ষা। আর ১ অক্টোবর হয় ১৮টি পরীক্ষা। এরই ধারাবাহিকতায় ৮ অক্টোবর হতে যাচ্ছে ১৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা। একই দিনে একই সময়ে একাধিক পরীক্ষা থাকায় বিপাকে পড়ছেন চাকরিপ্রার্থীরা। আগামী শুক্রবার যেসব পরীক্ষা : আগামী শুক্রবার তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বাংলাদেশ কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (বিসিএসআইআর), সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি অব বাংলাদেশ (সিএএবি), বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড, ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইনটেলিজেন্স, বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল), সাধারণ বীমা করপোরেশন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও পদ্মা অয়েল কোম্পানি লিমিটেডের বিভিন্ন পদের নিয়োগের পরীক্ষা নেওয়া হবে। এই পরীক্ষাগুলোয় অংশ নেওয়ার কথা পাঁচ লাখের বেশি প্রার্থীর।
নিয়োগকর্তা ও চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, একই সময়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ায় চাকরিপ্রার্থীরা বিপাকে পড়লেও কয়েকজন নিয়োগকর্তা একে শাপে বর বলেই মনে করছেন। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, একই সময়ে পরীক্ষা হওয়াটা এক দিক থেকে ভালো। একটা পোস্টের (পদের) বিপরীতে আবেদন করে ১০০ জন। এখন যদি ৫০ জন এখানে পরীক্ষা দেয়, তাহলে ভালো বেশি। তা না হলে দেখা যায়, একজন পাঁচ জায়গায় চাকরি পায়, আর একজন কোথাও চাকরি পায় না।
বেলায়েত হোসেন জানান, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরীক্ষার কাজটা বুয়েটে দেওয়া ছিল গত মে-জুনে। তখন একটা তারিখও হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে লকডাউন শুরু হওয়ায় পরীক্ষাটা বুয়েট আর নিতে পারেনি। এখন বুয়েট পরীক্ষার তারিখ দিয়েছে। তারিখ পরিবর্তনের সুযোগ নেই বলে জানান তিনি।
সাধারণ বীমা করপোরেশনের অফিস সহকারী পদের পরীক্ষা ৮ অক্টোবর। এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন প্রায় ১৭ হাজার প্রার্থী। প্রতিষ্ঠানটির মানবসম্পদ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক নাজিম উদ্দিন জানান, এক মাস আগে থেকে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য স্কুল-কলেজ নির্ধারণ করা শুরু হয়। চাকরির পরীক্ষার আধিক্যের কারণে পরীক্ষার স্থান নির্বাচন করতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলে জানান তিনি।
নিয়োগকর্তাদের বেশির ভাগই বলছেন, করোনার কারণে এবার একই সময়ে পরীক্ষার সমস্যাটা তৈরি হয়েছে। তবে এর বিপরীত মতও আছে। সাধারণ বীমা করপোরেশনের নাজিম উদ্দিনই জানান, ২০১৯ সালেও একটি নিয়োগ পরীক্ষায় তাঁরা দেখতে পান প্রার্থীর উপস্থিতি মাত্র ৫০ শতাংশ। এর কারণ খুঁজতে গিয়ে তাঁরা আবিষ্কার করেন, একই সময়ে আরেকটি পরীক্ষা থাকায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা কমে গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক কর্মকর্তাও বলেন একই ধরনের কথা। তাঁর ভাষ্য অনুযায়ী, একই সময়ে সরকারি নিয়োগের একাধিক পরীক্ষা আগেও হয়েছে। তবে সেগুলো নিয়ে এত উচ্চবাচ্য হয়নি। বেকারদের কথা বিবেচনা করে এই সমস্যাটা কাটানোর জন্য আগে থেকেই উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সহকারী পরিচালকের (প্রশাসন) পাঁচটি পদের বিপরীতে ১৪ হাজার ৮০৮ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন। এই পদের চাকরিপ্রার্থী নুরুল আলম বলেন, নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত তারিখ নির্ধারণের আগে অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকরির পরীক্ষা আছে কি না, সেটা দেখে নেওয়া। তবে আরইবির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই স্বাধীন। কোন সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে, সেটা কারও কাছে জিজ্ঞাসা করে করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তা ছাড়া, চাকরির পরীক্ষায় তো এটা লেখা থাকে না যে, ওই সময়ে অন্য কোনো পরীক্ষা থাকতে পারবে না। সমাধান কোথায়?
একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষার জটিলতা থেকে মুক্তি পেতে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পরীক্ষার সময় নিয়ে সমন্বয় আনার কথা বলছে পিএসসি। সাধারণ চাকরিপ্রার্থীরা বলছেন, পিএসসি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন যেভাবে নিয়োগ হয়, দেশের সব চাকরির পরীক্ষাই সেভাবে নেওয়া উচিত। মাত্র চার-পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের অধীন সব পরীক্ষা হলে এ সমস্যায় আর পড়তে হবে না বলে মনে করছেন চাকরিপ্রার্থীরা।
অন্যদিকে বিডিজবসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহিম মাশরুর দিলেন দুটি পরামর্শ। তাঁর মতে, সাপ্তাহিক ছুটিতে পরীক্ষা না নিয়ে সপ্তাহের অন্যান্য দিনেও পরীক্ষা নেওয়া যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে পরীক্ষাকেন্দ্রের সমস্যা কাটাতে তাঁর পরামর্শ হলো, অনলাইনে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, সরাসরি পরীক্ষা নিতে একজন পরীক্ষার্থীর পেছনে যেখানে ২০০-৫০০ টাকা খরচ হয়, অনলাইনে পরীক্ষা নিলে সেই খরচ ১৫-২০ টাকায় নামিয়ে আনা সম্ভব। এখন বিভিন্ন বেসরকারি ব্যাংক এভাবেই পরীক্ষা নিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কার্যালয়ে আট পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বাছাই কমিটির চেয়ারম্যান সরকার হাসান শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১ দিন আগেবাংলাদেশ ব্যাংকে ‘সহকারী পরিচালক’ পদে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মো. জবদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ দিন আগেজনবল নিয়োগের জন্য পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। প্রতিষ্ঠানটির দুই ধরনের শূন্য পদে ১২ জন নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী ও যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।
২ দিন আগেসিনিয়র স্টাফ নার্স (১০ম গ্রেড) পদের লিখিত পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৫২ জন প্রার্থী। বুধবার পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমানের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
৩ দিন আগে