মুফতি খালিদ কাসেমি
চোখ আল্লাহ তাআলার দেওয়া মহামূল্যবান নেয়ামত। যার চোখ আছে, সে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করে। যার চোখ নেই, সে-ই বুঝতে পারে চোখের প্রকৃত মূল্য। পদে পদে সে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়। আলো ঝলমলে এই পৃথিবী তার কাছে অন্ধকার মনে হয়; বিস্বাদ লাগে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মহান এই অনুগ্রহের কথা বান্দাকে স্মরণ করিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘বলো, তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য কান, চোখ ও হৃদয় বানিয়েছেন। (কিন্তু) তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো অল্পই।’ (সুরা মুলক: ২৩) অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমি কি তাকে দেইনি দুটি চোখ, একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট?’ (সুরা বালাদ: ৮-৯)
চোখের সঠিক ব্যবহার করা উচিত; নতুবা এটি আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি এবং শাস্তির কারণ হবে। সমাজে এখন কুদৃষ্টি মহামারি আকার ধারণ করেছে। সব বয়সের মানুষই এতে আক্রান্ত হচ্ছে। দৃষ্টি সংযত রাখা বড় কঠিন হয়ে পড়েছে।
কুদৃষ্টি শয়তানের মারণাস্ত্র। এর মাধ্যমে সে মুমিনদের ইমানে আক্রমণ করে এবং চরিত্র কলুষিত করে। নবী (সা.) বলেন, ‘কুদৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তীর। আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি কুদৃষ্টি থেকে বিরত থাকে, তাকে তিনি ইমানের এমন স্বাদ আস্বাদন করান, যা সে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কুদৃষ্টি এক প্রকারের ব্যভিচার। নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বনি আদমের জন্য ব্যভিচারের একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথা বলা। কুপ্রবৃত্তি কামনা সৃষ্টি করে এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যা প্রমাণ করে।’ (মুসলিম)
তাই সবার গুনাহের বিষয়গুলো দেখা থেকে বিরত থাকা উচিত।
মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
চোখ আল্লাহ তাআলার দেওয়া মহামূল্যবান নেয়ামত। যার চোখ আছে, সে পৃথিবীর সৌন্দর্য উপভোগ করে। যার চোখ নেই, সে-ই বুঝতে পারে চোখের প্রকৃত মূল্য। পদে পদে সে অন্যের মুখাপেক্ষী হয়। আলো ঝলমলে এই পৃথিবী তার কাছে অন্ধকার মনে হয়; বিস্বাদ লাগে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা মহান এই অনুগ্রহের কথা বান্দাকে স্মরণ করিয়েছেন। এরশাদ হচ্ছে, ‘বলো, তিনিই তোমাদের সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের জন্য কান, চোখ ও হৃদয় বানিয়েছেন। (কিন্তু) তোমরা কৃতজ্ঞতা আদায় করো অল্পই।’ (সুরা মুলক: ২৩) অন্য আয়াতে এরশাদ হচ্ছে, ‘আমি কি তাকে দেইনি দুটি চোখ, একটি জিহ্বা ও দুটি ঠোঁট?’ (সুরা বালাদ: ৮-৯)
চোখের সঠিক ব্যবহার করা উচিত; নতুবা এটি আল্লাহ তাআলার অসন্তুষ্টি এবং শাস্তির কারণ হবে। সমাজে এখন কুদৃষ্টি মহামারি আকার ধারণ করেছে। সব বয়সের মানুষই এতে আক্রান্ত হচ্ছে। দৃষ্টি সংযত রাখা বড় কঠিন হয়ে পড়েছে।
কুদৃষ্টি শয়তানের মারণাস্ত্র। এর মাধ্যমে সে মুমিনদের ইমানে আক্রমণ করে এবং চরিত্র কলুষিত করে। নবী (সা.) বলেন, ‘কুদৃষ্টি শয়তানের বিষাক্ত তীর। আল্লাহর ভয়ে যে ব্যক্তি কুদৃষ্টি থেকে বিরত থাকে, তাকে তিনি ইমানের এমন স্বাদ আস্বাদন করান, যা সে অন্তর দিয়ে অনুভব করতে পারে।’ (মুসতাদরাকে হাকিম)
হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, কুদৃষ্টি এক প্রকারের ব্যভিচার। নবী (সা.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা বনি আদমের জন্য ব্যভিচারের একটা অংশ নির্ধারিত রেখেছেন। সে তাতে অবশ্যই জড়িত হবে। চোখের ব্যভিচার হলো দেখা, জিহ্বার ব্যভিচার হলো কথা বলা। কুপ্রবৃত্তি কামনা সৃষ্টি করে এবং যৌনাঙ্গ তা সত্য বা মিথ্যা প্রমাণ করে।’ (মুসলিম)
তাই সবার গুনাহের বিষয়গুলো দেখা থেকে বিরত থাকা উচিত।
মুফতি খালিদ কাসেমি, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
১৫ ঘণ্টা আগেশীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
২ দিন আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৩ দিন আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
৪ দিন আগে