মাওলানা ইমরান হোসাইন
কর্মজীবী প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ কর্মস্থলে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এটি অনিবার্য বিষয়। এর অন্যথা হলে কর্মচ্যুত হতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকেন, কিংবা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন না। এটি খেয়ানত ও গুনাহের কাজ। কর্তব্য পালনে ফাঁকি দিলে সংশ্লিষ্ট বহু মানুষের হক ও অধিকার নষ্ট হয়। অকারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীদের। তাই যথাযথ দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
দায়িত্ব পালন আমানতদারি ও বিশ্বস্ততার অন্তর্ভুক্ত, যা ইমানদারের অন্যতম গুণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমানত রক্ষা করে না, তার ইমান পূর্ণতা লাভ করেনি। আর যে ব্যক্তি ওয়াদা পূর্ণ করে না, তার দ্বীন পূর্ণতা লাভ করেনি।’ (মুসনাদে আহমদ: ১২৫৬৭)
রাষ্ট্রের শাসনকর্তা থেকে ঘরের গৃহিণী পর্যন্ত প্রত্যেককেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে রোজ কেয়ামতে আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। শাসক দায়িত্বশীল, সে অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষ তার পরিবারের অভিভাবক, তাকে অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে। নারী স্বামীর ঘরের দায়িত্বশীল, তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। ভৃত্য তার মালিকের ধনসম্পদের রক্ষক, তাকেও মালিকের ধনসম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি: ৮৪৯)
নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে নিজেও আল্লাহ তাআলার কাছে পুরস্কৃত হবে এবং অধীনস্থ ও সেবাপ্রার্থী সবাই তার থেকে উপকৃত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে (তাঁরাই প্রকৃত মুমিন)।’ (সুরা মুমিনুন: ০৮)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
কর্মজীবী প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ কর্মস্থলে নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এটি অনিবার্য বিষয়। এর অন্যথা হলে কর্মচ্যুত হতে হয়। তবে এ ক্ষেত্রে অনেকেই কর্তৃপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে থাকেন, কিংবা প্রতিষ্ঠানের নির্ধারিত সময় পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন না। এটি খেয়ানত ও গুনাহের কাজ। কর্তব্য পালনে ফাঁকি দিলে সংশ্লিষ্ট বহু মানুষের হক ও অধিকার নষ্ট হয়। অকারণে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সেবাপ্রার্থীদের। তাই যথাযথ দায়িত্ব পালনের গুরুত্ব অনেক বেশি।
দায়িত্ব পালন আমানতদারি ও বিশ্বস্ততার অন্তর্ভুক্ত, যা ইমানদারের অন্যতম গুণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি আমানত রক্ষা করে না, তার ইমান পূর্ণতা লাভ করেনি। আর যে ব্যক্তি ওয়াদা পূর্ণ করে না, তার দ্বীন পূর্ণতা লাভ করেনি।’ (মুসনাদে আহমদ: ১২৫৬৭)
রাষ্ট্রের শাসনকর্তা থেকে ঘরের গৃহিণী পর্যন্ত প্রত্যেককেই নিজ নিজ দায়িত্বের ব্যাপারে রোজ কেয়ামতে আল্লাহ তাআলার কাছে জবাবদিহি করতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘তোমরা প্রত্যেকেই দায়িত্বশীল এবং তোমরা প্রত্যেকেই নিজ নিজ অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। শাসক দায়িত্বশীল, সে অধীনস্থদের বিষয়ে জিজ্ঞাসিত হবে। পুরুষ তার পরিবারের অভিভাবক, তাকে অধীনস্থদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হবে। নারী স্বামীর ঘরের দায়িত্বশীল, তাকে সে সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। ভৃত্য তার মালিকের ধনসম্পদের রক্ষক, তাকেও মালিকের ধনসম্পদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে।’ (বুখারি: ৮৪৯)
নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে নিজেও আল্লাহ তাআলার কাছে পুরস্কৃত হবে এবং অধীনস্থ ও সেবাপ্রার্থী সবাই তার থেকে উপকৃত হয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা তাদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে (তাঁরাই প্রকৃত মুমিন)।’ (সুরা মুমিনুন: ০৮)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
শীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
১৮ ঘণ্টা আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
২ দিন আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
৩ দিন আগেএখানে কারণগুলো তুলে ধরা হলো—অন্যায় জুলুম থেকে বাঁচার জন্য মজলুম ব্যক্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে জালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে তার যে দোষ রয়েছে, তা সবিস্তারে তুলে ধরার অনুমতি আছে। জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) বলেন, একবার আমরা
৪ দিন আগে