মাওলানা ইমরান হোসাইন
মানুষের অন্তরের নিকৃষ্টতম রোগ অহংকার। এটি মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তি নষ্ট করে এবং তাকে বিপথগামী করে। ইমান ও অহংকার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী দুটি আচরণ। ইমান হলো সত্য বিশ্বাস করে নত শিরে মেনে নেওয়া। আর অহংকার হলো সত্য অস্বীকার করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘অহংকার হক তথা প্রমাণিত সত্যকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে তাচ্ছিল্য করা।’ (মুসলিম)
মানুষ মানুষকে তাচ্ছিল্য করে অর্থ-কড়ি, শক্তি, জ্ঞানগরিমাসহ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও অসহায়ত্বের কারণে। অথচ এসব তাদের প্রতি মহান আল্লাহর রহমত ও দয়া। এ সত্য মেনে নিলে বিশেষ কোনো গুণের অধিকারী ব্যক্তি অন্যকে অবজ্ঞা করতে পারে না। বরং বিনীত মনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
অহংকারী ব্যক্তি আল্লাহর দান ও দয়ায় বিশ্বাস না করে নিজের বুদ্ধি ও শক্তির মাধ্যমে সবকিছু অর্জনের দাবি করে। তাই সে অন্যদের ঘৃণা ও অবজ্ঞার চোখে দেখে। ধীরে ধীরে তার মনোভাব ও আচরণ লাগামহীন হয়ে ওঠে। তখন আল্লাহ তাআলা তাকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করেন।
বিত্তশালী কারুনকে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে অঢেল সম্পদ দান করেছিলেন। সম্পদের প্রতাপে সে সীমালঙ্ঘন করতে শুরু করে। মুসা (আ.) তাকে সম্পদ দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে চলতে বলেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেন। সম্পদের জাকাত ও দান-সদকার উপদেশ দেন। কিন্তু সম্পদের অহংকারে সে মুসা (আ.)-কে বলে বসে, এ সম্পদ আমি নিজের বুদ্ধি ও যোগ্যতা বলে অর্জন করেছি। তখন আল্লাহ তাকে তার বাসস্থানসহ জমিনে ধসিয়ে দিয়েছেন। (সুরা কাসাস: ৮১)
অহংকার আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ গুণ। তাই আল্লাহর সৃষ্টি ও দাস হয়ে অহংকার করা মানুষের শোভা পায় না।
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
মানুষের অন্তরের নিকৃষ্টতম রোগ অহংকার। এটি মানুষের আধ্যাত্মিক শক্তি নষ্ট করে এবং তাকে বিপথগামী করে। ইমান ও অহংকার সম্পূর্ণ বিপরীতমুখী দুটি আচরণ। ইমান হলো সত্য বিশ্বাস করে নত শিরে মেনে নেওয়া। আর অহংকার হলো সত্য অস্বীকার করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেন, ‘অহংকার হক তথা প্রমাণিত সত্যকে অস্বীকার করা এবং মানুষকে তাচ্ছিল্য করা।’ (মুসলিম)
মানুষ মানুষকে তাচ্ছিল্য করে অর্থ-কড়ি, শক্তি, জ্ঞানগরিমাসহ জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্বলতা ও অসহায়ত্বের কারণে। অথচ এসব তাদের প্রতি মহান আল্লাহর রহমত ও দয়া। এ সত্য মেনে নিলে বিশেষ কোনো গুণের অধিকারী ব্যক্তি অন্যকে অবজ্ঞা করতে পারে না। বরং বিনীত মনে আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ থাকে।
অহংকারী ব্যক্তি আল্লাহর দান ও দয়ায় বিশ্বাস না করে নিজের বুদ্ধি ও শক্তির মাধ্যমে সবকিছু অর্জনের দাবি করে। তাই সে অন্যদের ঘৃণা ও অবজ্ঞার চোখে দেখে। ধীরে ধীরে তার মনোভাব ও আচরণ লাগামহীন হয়ে ওঠে। তখন আল্লাহ তাআলা তাকে চূড়ান্তভাবে ধ্বংস করেন।
বিত্তশালী কারুনকে আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে অঢেল সম্পদ দান করেছিলেন। সম্পদের প্রতাপে সে সীমালঙ্ঘন করতে শুরু করে। মুসা (আ.) তাকে সম্পদ দিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের পথে চলতে বলেন। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলেন। সম্পদের জাকাত ও দান-সদকার উপদেশ দেন। কিন্তু সম্পদের অহংকারে সে মুসা (আ.)-কে বলে বসে, এ সম্পদ আমি নিজের বুদ্ধি ও যোগ্যতা বলে অর্জন করেছি। তখন আল্লাহ তাকে তার বাসস্থানসহ জমিনে ধসিয়ে দিয়েছেন। (সুরা কাসাস: ৮১)
অহংকার আল্লাহর জন্য নির্দিষ্ট বিশেষ গুণ। তাই আল্লাহর সৃষ্টি ও দাস হয়ে অহংকার করা মানুষের শোভা পায় না।
শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সড়ককে মানুষের চলাচলের উপযোগী করা ইমানের পরিচায়ক। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘ইমানের ৭০টির বেশি শাখা আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান শাখা হলো, এ কথার স্বীকৃতি দেওয়া যে, আল্লাহ তাআলা ছাড়া কোনো মাবুদ নেই। আর সবচেয়ে নিচের শাখাটি হলো, সড়কে কোনো কষ্টদায়ক বস্তু বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা সরিয়ে দেওয়া।’ (
১৩ ঘণ্টা আগেশীতকালে দিনের দৈর্ঘ্য বছরের যেকোনো সময়ের তুলনায় কম হয় এবং আবহাওয়া থাকে শীতল, যা রোজা রাখার জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী সময়। অপর দিকে শীতের রাত অনেক দীর্ঘ হয়, ফলে রাতের প্রথম প্রহরে ঘুমিয়ে নিয়ে শেষ প্রহরে আল্লাহর ইবাদত ও তাহাজ্জুদে মগ্ন হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া যায়। এ কারণে হাদিসে শীতকালকে ইবাদতের বসন্তক
২ দিন আগেআল্লাহ মানুষকে দুভাবে পরীক্ষা করেন। বিপদ দিয়ে এবং নিয়ামত দিয়ে। নিয়ামতের পরীক্ষা বিপদের পরীক্ষার চেয়ে কঠিন। বিপদের সময় মানুষ আল্লাহর স্মরণ করে; তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
৩ দিন আগেসমাজের প্রত্যেক সদস্যের মধ্যে সৌহার্দ্য-সম্প্রীতি ও আন্তরিকতার সম্পর্ক থাকা চাই। পরস্পরের মধ্যে হৃদ্যতা ও মজবুত সম্পর্ক তৈরি করতে মহানবী (সা.) ৬টি কর্তব্যের কথা বলেছেন, যা পালন
৪ দিন আগে