ঢাকা: সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফেসবুকে ফিরতে পারবেন কিনা, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে ছয় মাস সময় চেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় বুধবার ট্রাম্পের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট স্থগিতের বিষয়ে গঠিত পর্যবেক্ষক পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিষয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকে তাকিয়ে ছিল গোটা বিশ্ব। বিশেষত বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্মটি নিয়ম ভাঙা ক্ষমতাধর রাজনীতিকদের বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়, তা দেখতে সবাই উন্মুখ ছিল। গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট পরিষদ বিষয়টি নিয়ে বেঠক করে।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে স্থগিত হওয়া অ্যাকাউন্ট এখনই ফিরে পাচ্ছেন না সাবেক এ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এ জন্য তাঁকে অপেক্ষা করতে হবে। ছয় মাস বিষয়টি পর্যবেক্ষণের পর এ নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ জানায়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট স্থগিত করার সিদ্ধান্ত যথাযথ ছিল। তবে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য করাটা ভুল।

পর্যবেক্ষক পরিষদের এই সিদ্ধান্ত প্রকাশের পরপরই অবশ্য ট্রাম্পের প্রতিক্রিয়া চলে এসেছে। সিদ্ধান্তটিকে তিনি ‌পুরোপুরি হতাশাজনক বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে এর জন্য এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে ‌রাজনৈতিক মূল্য চোকাতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের জয় প্রত্যয়নের জন্য আইনপ্রণেতারা মিলিত হন। এ সময় ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে হামলা করেন। পুরো ঘটনার পেছনে ট্রাম্পের উসকানিমূলক বিভিন্ন বক্তব্যকে দায়ী করা হয়। হামলার সময়ও ট্রাম্প সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উত্তেজনা ছড়াতে থাকেন। এ অবস্থায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে নিজের অ্যাকাউন্টে ট্রাম্পের প্রবেশাধিকার রদ করে। এর আগে ট্রাম্পের উসকানিমূলক দুটি পোস্টও তারা সরিয়ে দেয়।