পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রধান ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনীত সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ এফআইআর থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সে দেশের আদালত। অতিরিক্ত সেশন জজ আদালতের বিচারক জেবা চৌধুরী এবং ইসলামাবাদ পুলিশের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক মন্তব্য করায় তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা এবং সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। 

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ইমরান খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা থেকে ‘সন্ত্রাসবাদের’ অংশটুকু বাদ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি আতহার মিনাল্লাহ এবং বিচারপতি সামান রাফাত ইমতিয়াজের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের বেঞ্চ ইমরানের বিরুদ্ধে ‘সন্ত্রাসবাদের’ মামলা বাতিলের রায় ঘোষণা করেন। পিটিআইয়ের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এই রায় ঘোষণা করেন। মামলার অন্যান্য ধারার কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও আদালত আদেশ দেন। 

এদিকে, এক সপ্তাহে আগেই সন্ত্রাসবাদবিরোধী আইনে করা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছিলেন আদালত। ইসলামাবাদের সন্ত্রাসবিরোধী আদালত (এটিসি) ইমরান খানের জামিনের মেয়াদ ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন।

গত ২০ আগস্ট এক রাজনৈতিক বক্তৃতায় ইমরান পুলিশপ্রধান ও একজন নারী বিচারকের বিরুদ্ধে তাঁর নেতা-কর্মীদের আটক ও দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ করেন। এমনকি পুলিশপ্রধান ও বিচারকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। জনসমক্ষে একজন নারী বিচারক এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়ে বক্তব্য রাখায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ জানায় ক্ষমতাসীন সরকার। ইসলামাবাদে একটি সমাবেশে হুমকির দিয়ে পিটিআইপ্রধান ইমরান বলেছিলেন, তিনি ইসলামাবাদ পুলিশপ্রধান এবং একজন নারী বিচারককে ‘ছাড়বেন না’।