পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করলে ‘চূড়ান্ত সীমা’ অতিক্রম করবে সরকার। দেশটির বিচার বিভাগ সম্পর্কে মন্তব্য করায় ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীরা এই মন্তব্য করেছে। বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। 

চলতি বছরের এপ্রিলে ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই ইমরান সরকার বিরোধী রাজনীতিতে বেশ সরব। বেশ কয়েকবার সরকার বিরোধী মিছিল করেছেন সারা দেশেই। এবং দেশটি সশস্ত্র বাহিনীকে সতর্ক করেছেন যেন, শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বে বর্তমান জোট সরকারকে তাঁর কোনো ধরনের সহায়তা না দেয়। 

ইমরান খানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের খবর চাউর হওয়ার পরপরই স্থানীয় সময় আজ সোমবার ইমরান খানের সমর্থক এবং দলীয় নেতা–কর্মীরা তাঁর বাসভবনের সামনে জড়ো হয়। পুলিশ যদি ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করতে আসে তবে বাধা দিতেই এই জমায়েত। 

তবে, ইমরান খানের দলীয় নেতা–কর্মী এবং সমর্থকদের এই আশঙ্কা সত্য প্রমাণিত হয়নি। তার আগেই, ওই মামলায় আগাম জামিন পেয়েছেন ইমরান। ইমরান খানের আগাম জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। আগামী ২৫ আগস্ট পর্যন্ত এ জামিনের আদেশ দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। 

তবে ইমরান খান জামিন পেলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী শাহবাজ গিল। তাঁকে গত সপ্তাহে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মামলায় গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। এ সময় পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিলের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে বলে অভিযোগ করেন ইমরান খান। এ প্রসঙ্গে গত শনিবার ইসলামাবাদে এক জনসমাবেশে ইমরান খান বলেন, তিনি জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন নারী বিচারককে ‘ছাড়বেন না’। এর প্রেক্ষিতে গত রোববার মামলাটি দায়ের করা হয়। 

এদিকে, ইমরান খানকে গ্রেপ্তার করা হলে তা চূড়ান্ত সীমা পার করে ফেলবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক–ই ইনসাফের (পিটিআই) নেতারা। পিটিআই নেতা ও দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ইমরান খান আমাদের চূড়ান্ত সীমা। তাঁকে গ্রেপ্তার করলে সরকার সেই সীমা অতিক্রম করে ফেলবে।’