অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। পৃথক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান। হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএবি।
আল-কাদির ট্রাস্টের নেতৃত্বে আছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। এনএবি গতকাল এক বিবৃতিতে বলে, ট্রাস্টে ‘দুর্নীতির অপরাধে’ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তারা গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যের পাঠানো ৫০ বিলিয়ন রুপি কালোটাকা সাদা করতে ৫ বিলিয়ন রুপি ঘুষ নিয়েছিলেন।
ঘটনার শুরু যেভাবে:
ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন গত বছর। এরপর পাকিস্তানে নতুন জোট সরকার গঠিত হয়। জোট সরকার গত বছরের জুনে অভিযোগ করে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের ট্রাস্টের জন্য পাকিস্তানের অন্যতম আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি মূল্যের জমি পেয়েছেন।
এনএবির অভিযোগ, ইমরান খানের পিটিআই সরকার আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের সঙ্গে একটি চুক্তি করে, যাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। চুক্তিটি ছিল ‘দেওয়া-নেওয়া’ ধরনের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কালোটাকা-সম্পর্কিত এক তদন্তের জেরে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে ২৩৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ হস্তান্তর করতে রাজি হন। যুক্তরাজ্যের এই মামলার সঙ্গে ইমরান খান ও তাঁর সরকার সরাসরি জড়িত ছিল না।
ঘটনার শুরু হয় পাঁচ বছর আগে। তখন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের পরিবারের সঙ্গে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি সমঝোতা করতে সম্মত হয়েছিল। এনসিএ কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, সমঝোতার মধ্যে যুক্তরাজ্যের একটি সম্পত্তি রয়েছে—১ হাইড পার্ক প্লেস, লন্ডনের একটি আবাসন। যার মূল্য প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং এই পুরো টাকা মালিক রিয়াজের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
পিটিআই ক্ষমতায় আসার পরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে রিয়াজের সম্পত্তি এবং সম্পদের তদন্তের জন্য ‘এনসিএ’–এর পদক্ষেপের প্রথম রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল। সংস্থাটি ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘এনসিএকে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থের আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ বিদেশ থেকে আসা ঘুষ ও দুর্নীতির টাকা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
এর আগে ওই বছরই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রিয়াজের করা একটি সমঝোতা চুক্তিতে ৪৬০ বিলিয়ন রুপির প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। এটা অনেকটা জরিমানা হিসেবেই নেওয়া হয়েছিল। রিয়াজ এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না করে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন। তখন পাকিস্তানের স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য প্রাইম মিনিস্টার মিরজা শাহজাদ দাবি করেন, রিয়াজের পাঠানো অর্থ সরাসরি দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কি দেশের অংশ নয়? টাকা সুপ্রিম কোর্টে আসা মানে দেশে আসা।’
যুক্তরাজ্যসহ ওই মামলার সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে গোপনীয়তার ধারা উল্লেখ করে মিরজা শাহজাদ এই অর্থের উৎস এবং কীভাবে এটি বিদেশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সে সম্পর্কে জবাব দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে গোপনীয়তার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তাই আমরা মামলার বিস্তারিত বলতে পারি না।’
এনএবির অভিযোগ, ইমরান খানের পিটিআই সরকার আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের সঙ্গে এই চুক্তি করে, যাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। চুক্তিটি ছিল ‘দেওয়া-নেওয়া’ ধরনের। এই চুক্তি করে সরকার রিয়াজকে কয়েক শ মিলিয়ন কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়।
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়। আজ তাঁর আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন দেশটির একটি বিশেষ আদালত। পৃথক মামলার শুনানিতে অংশ নিতে রাজধানী ইসলামাবাদের হাইকোর্টে গিয়েছিলেন ইমরান খান। হাইকোর্ট চত্বর থেকে তাঁকে আধা সামরিক বাহিনী রেঞ্জার্সের সহায়তায় গ্রেপ্তার করে দেশটির ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয় ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনএবি।
আল-কাদির ট্রাস্টের নেতৃত্বে আছেন ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। এনএবি গতকাল এক বিবৃতিতে বলে, ট্রাস্টে ‘দুর্নীতির অপরাধে’ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে তারা গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ইমরান খান এবং তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি পিটিআই সরকারের আমলে যুক্তরাজ্যের পাঠানো ৫০ বিলিয়ন রুপি কালোটাকা সাদা করতে ৫ বিলিয়ন রুপি ঘুষ নিয়েছিলেন।
ঘটনার শুরু যেভাবে:
ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হন গত বছর। এরপর পাকিস্তানে নতুন জোট সরকার গঠিত হয়। জোট সরকার গত বছরের জুনে অভিযোগ করে, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নির্মাণে ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের ট্রাস্টের জন্য পাকিস্তানের অন্যতম আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের কাছ থেকে কোটি কোটি রুপি মূল্যের জমি পেয়েছেন।
এনএবির অভিযোগ, ইমরান খানের পিটিআই সরকার আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের সঙ্গে একটি চুক্তি করে, যাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। চুক্তিটি ছিল ‘দেওয়া-নেওয়া’ ধরনের।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে কালোটাকা-সম্পর্কিত এক তদন্তের জেরে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সির কাছে ২৩৯ মিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ হস্তান্তর করতে রাজি হন। যুক্তরাজ্যের এই মামলার সঙ্গে ইমরান খান ও তাঁর সরকার সরাসরি জড়িত ছিল না।
ঘটনার শুরু হয় পাঁচ বছর আগে। তখন যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের পরিবারের সঙ্গে ১৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের একটি সমঝোতা করতে সম্মত হয়েছিল। এনসিএ কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতি অনুসারে, সমঝোতার মধ্যে যুক্তরাজ্যের একটি সম্পত্তি রয়েছে—১ হাইড পার্ক প্লেস, লন্ডনের একটি আবাসন। যার মূল্য প্রায় ৫০ মিলিয়ন পাউন্ড এবং এই পুরো টাকা মালিক রিয়াজের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে।
পিটিআই ক্ষমতায় আসার পরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে রিয়াজের সম্পত্তি এবং সম্পদের তদন্তের জন্য ‘এনসিএ’–এর পদক্ষেপের প্রথম রেকর্ডটি প্রকাশিত হয়েছিল। সংস্থাটি ২০১৯ সালের ১৪ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, ‘এনসিএকে মোট ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বেশি অর্থের আটটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে। এসব অর্থ বিদেশ থেকে আসা ঘুষ ও দুর্নীতির টাকা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।’
এর আগে ওই বছরই পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট রিয়াজের করা একটি সমঝোতা চুক্তিতে ৪৬০ বিলিয়ন রুপির প্রস্তাব গ্রহণ করেছিল। এটা অনেকটা জরিমানা হিসেবেই নেওয়া হয়েছিল। রিয়াজ এই অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা না করে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়েছিলেন। তখন পাকিস্তানের স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু দ্য প্রাইম মিনিস্টার মিরজা শাহজাদ দাবি করেন, রিয়াজের পাঠানো অর্থ সরাসরি দেশে এসেছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট কি দেশের অংশ নয়? টাকা সুপ্রিম কোর্টে আসা মানে দেশে আসা।’
যুক্তরাজ্যসহ ওই মামলার সঙ্গে জড়িত পক্ষগুলোর মধ্যে গোপনীয়তার ধারা উল্লেখ করে মিরজা শাহজাদ এই অর্থের উৎস এবং কীভাবে এটি বিদেশে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল সে সম্পর্কে জবাব দিতে অস্বীকার করেছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা যুক্তরাজ্য সরকারের সঙ্গে গোপনীয়তার একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। তাই আমরা মামলার বিস্তারিত বলতে পারি না।’
এনএবির অভিযোগ, ইমরান খানের পিটিআই সরকার আবাসন ব্যবসায়ী মালিক রিয়াজের সঙ্গে এই চুক্তি করে, যাতে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ২৩৯ মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। চুক্তিটি ছিল ‘দেওয়া-নেওয়া’ ধরনের। এই চুক্তি করে সরকার রিয়াজকে কয়েক শ মিলিয়ন কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেয়।
অমিত শাহ বলেন, ‘হেমন্ত সরেন অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। তারা উপজাতিদের জমি দখল করছে। এটি কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘হেমন্ত সরেন কংগ্রেসের সহযোগিতায় মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ (কোটা) ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছেন। আমি হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, বিজেপি এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা সফল হতে দেবে
১ ঘণ্টা আগেচীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চারটি সীমারেখা নির্ধারণ করেছেন। যেগুলো অতিক্রম করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উচিত হবে। গতকাল শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্
২ ঘণ্টা আগেভারতের রাজনৈতিক দল লোকতন্ত্র বাঁচাও অভিযান দাবি করেছে, ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটাররা বিদ্বেষের রাজনীতি নয়, জনস্বার্থের ইস্যুতে ভোট দিয়েছেন। দলের সদস্যরা রাজ্যের সাঁওতাল পরগণা অঞ্চলের দুমকায় সাংবাদিকদের জানান, ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ৪৩টি আসনের ভোটারদের সঙ্
২ ঘণ্টা আগেঝাড়খণ্ডের প্রায় প্রতিটি চৌরাস্তার কাছে বিজেপির বিশাল বিশাল ব্যানার-হোর্ডিং। এগুলোতে ভোটারদের সামনে দুটি বিকল্প দেওয়া হয়েছে। একটিতে লেখা, ‘হয় অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দাও অথবা আদিবাসীদের বাঁচাও।’ অন্যান্য ব্যানার-হোর্ডিংগুলোতেও একই বার্তা। এর সবই মূলত রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ভয় ছড়ানোর কৌ
২ ঘণ্টা আগে