অনলাইন ডেস্ক
একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করতে ও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করতে হলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে থাকা সাত লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রায় দুই লাখকেই স্থানান্তরিত করতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ড্যানিয়েল সাইডম্যান নামে এক ইসরায়েলি আইনজীবী। ইসরায়েল সফরে তাঁর কাছ থেকেই পরামর্শ নেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসের সিলেক্ট কমিটিকে ক্যামেরন বলেন, তাঁর মনে হচ্ছে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন জটিল হবে। তবে দুই দেশের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কার্যকর পদ্ধতি কী হতে পারে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। দুটি ভিন্ন রাষ্ট্র স্থাপন করতে হলে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদেরও সম্মত করতে হবে। সে সময় তিনি ইসরায়েলি আইনজীবী ড্যানিয়েল সাইডম্যানের কাছে নিজের ঋণ স্বীকার করেন। জেরুজালেম সফরে গেলেই তিনি ড্যানিয়েলের পরামর্শ নেন বলেও উল্লেখ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইডম্যান বলেন, ‘ইসরায়েলের যদি পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম থেকে দুই লাখ বসতি স্থাপনকারী স্থানান্তরিত করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা থাকে তবেই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তবে ইসরায়েলের যদি ইচ্ছাই না থেকে তবে কোনো সমাধান সম্ভব নয়।’
এ সময় সাইডম্যান আরও বলেন, ‘আপনি যদি ধীরে ধীরে দখল করতে পারেন, তবে আপনি ধীরে ধীরে বেদখলও করতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে অদলবদলকৃত অঞ্চলে থাকবে। বসতি স্থাপনকারীদের ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের অধীনে রাখতে সম্মত হবে না কোনো পক্ষই।’
সাইডম্যান ও ডেভিড ক্যামেরনের প্রথম দেখা হয় ২০০৭ সালে। তখন ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের তৎকালীন বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ছিলেন। তাঁরা প্রায়ই পশ্চিম তীর দেখার জন্য মাউন্ট অব অলিভসে বা জয়তুন পাহাড়ে যেতেন। পশ্চিম তীরে রয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের শহর মাআলে আদুমিম। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার বসতি স্থাপনকারীর বাস।
ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক ক্যামেরন ইসরায়েলের বিভিন্ন ব্যক্তি থেকেই পরামর্শ নিলেও সাইডম্যানের সঙ্গে তাঁর বারবার আলোচনা থেকে বোঝা যায় তিনি ৭০ বছর বয়সী এ আইনজীবীর কাছ থেকেই নির্দেশনা নিতে ইচ্ছুক। ক্যামেরনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের সময় সাইডম্যান বলেছিলেন, মাত্র এক লাখ বসতি স্থাপনকারীকে স্থানান্তর করতে হবে। এ ছাড়া তিনি পশ্চিমা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোও সমর্থন করেন বলে উল্লেখ করেন।
সে সময় সাইডম্যান আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ইসরায়েল এ বিষয়ে বশ্যতা স্বীকার করবে। তবে ইসরায়েল এর সংযুক্ত হওয়ার নীতিগুলোর মধ্যে পরিবর্তন আনছে, যাতে কখনো আত্মধ্বংসাত্মক কোনো নীতি গ্রহণ করলে এর পরিণতি কী হতে পারে তা বুঝতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমার মনে হয় না, ইসরায়েলের একজন বসতি স্থাপনকারীও স্থানান্তর করার ইচ্ছা আছে যদিও তার ক্ষমতা আছে।’
দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে বাস্তবসম্মত কোনো সমাধান হিসেবে দেখছেন না সাইডম্যান। তিনি বলেন, ‘বাস্তবসম্মত সমাধান হলো—দখলদারি এমনভাবে শেষ করা, যেন তা উভয় পক্ষের জন্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। যদি দখলদারি শেষ না হয়, তবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন কোনো পক্ষের জন্যই তা ভালো হবে না। দখলদারি শেষ করার একমাত্র উপায় হলো, সীমানা দেওয়া। আরও উপায় থাকলে ভালো হতো, তবে তা নেই।’
সাইডম্যানের মতে, আরেকটি সমস্যা হলো—বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপন অঞ্চলে কট্টর মতাদর্শী এবং সহিংস বসতি স্থাপনকারীরা থাকেন। যারা স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক, তাদের স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন নেই; আর যাদের স্থানান্তরিত হওয়া প্রয়োজন, তারা স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক নন।
একটি কার্যকর ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র তৈরি করতে ও দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান বাস্তবায়ন করতে হলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড পশ্চিম তীরে থাকা সাত লাখ ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের মধ্যে প্রায় দুই লাখকেই স্থানান্তরিত করতে হবে। এমনটাই জানিয়েছেন ড্যানিয়েল সাইডম্যান নামে এক ইসরায়েলি আইনজীবী। ইসরায়েল সফরে তাঁর কাছ থেকেই পরামর্শ নেন যুক্তরাজ্যের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
গত সপ্তাহে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের হাউস অব লর্ডসের সিলেক্ট কমিটিকে ক্যামেরন বলেন, তাঁর মনে হচ্ছে দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের বাস্তবায়ন জটিল হবে। তবে দুই দেশের সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে কার্যকর পদ্ধতি কী হতে পারে তা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। দুটি ভিন্ন রাষ্ট্র স্থাপন করতে হলে বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদেরও সম্মত করতে হবে। সে সময় তিনি ইসরায়েলি আইনজীবী ড্যানিয়েল সাইডম্যানের কাছে নিজের ঋণ স্বীকার করেন। জেরুজালেম সফরে গেলেই তিনি ড্যানিয়েলের পরামর্শ নেন বলেও উল্লেখ করেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাইডম্যান বলেন, ‘ইসরায়েলের যদি পশ্চিম তীর ও জেরুজালেম থেকে দুই লাখ বসতি স্থাপনকারী স্থানান্তরিত করার ইচ্ছা ও ক্ষমতা থাকে তবেই দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধান একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে। তবে ইসরায়েলের যদি ইচ্ছাই না থেকে তবে কোনো সমাধান সম্ভব নয়।’
এ সময় সাইডম্যান আরও বলেন, ‘আপনি যদি ধীরে ধীরে দখল করতে পারেন, তবে আপনি ধীরে ধীরে বেদখলও করতে পারবেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বসতি স্থাপনকারীরা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে অদলবদলকৃত অঞ্চলে থাকবে। বসতি স্থাপনকারীদের ফিলিস্তিনি সার্বভৌমত্বের অধীনে রাখতে সম্মত হবে না কোনো পক্ষই।’
সাইডম্যান ও ডেভিড ক্যামেরনের প্রথম দেখা হয় ২০০৭ সালে। তখন ডেভিড ক্যামেরন ব্রিটেনের তৎকালীন বিরোধী দল কনজারভেটিভ পার্টির নেতা ছিলেন। তাঁরা প্রায়ই পশ্চিম তীর দেখার জন্য মাউন্ট অব অলিভসে বা জয়তুন পাহাড়ে যেতেন। পশ্চিম তীরে রয়েছে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের শহর মাআলে আদুমিম। সেখানে প্রায় ৪০ হাজার বসতি স্থাপনকারীর বাস।
ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক ক্যামেরন ইসরায়েলের বিভিন্ন ব্যক্তি থেকেই পরামর্শ নিলেও সাইডম্যানের সঙ্গে তাঁর বারবার আলোচনা থেকে বোঝা যায় তিনি ৭০ বছর বয়সী এ আইনজীবীর কাছ থেকেই নির্দেশনা নিতে ইচ্ছুক। ক্যামেরনের সঙ্গে প্রথম বৈঠকের সময় সাইডম্যান বলেছিলেন, মাত্র এক লাখ বসতি স্থাপনকারীকে স্থানান্তর করতে হবে। এ ছাড়া তিনি পশ্চিমা সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলোও সমর্থন করেন বলে উল্লেখ করেন।
সে সময় সাইডম্যান আরও বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ইসরায়েল এ বিষয়ে বশ্যতা স্বীকার করবে। তবে ইসরায়েল এর সংযুক্ত হওয়ার নীতিগুলোর মধ্যে পরিবর্তন আনছে, যাতে কখনো আত্মধ্বংসাত্মক কোনো নীতি গ্রহণ করলে এর পরিণতি কী হতে পারে তা বুঝতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে আমার মনে হয় না, ইসরায়েলের একজন বসতি স্থাপনকারীও স্থানান্তর করার ইচ্ছা আছে যদিও তার ক্ষমতা আছে।’
দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানকে বাস্তবসম্মত কোনো সমাধান হিসেবে দেখছেন না সাইডম্যান। তিনি বলেন, ‘বাস্তবসম্মত সমাধান হলো—দখলদারি এমনভাবে শেষ করা, যেন তা উভয় পক্ষের জন্যই সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়। যদি দখলদারি শেষ না হয়, তবে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন কোনো পক্ষের জন্যই তা ভালো হবে না। দখলদারি শেষ করার একমাত্র উপায় হলো, সীমানা দেওয়া। আরও উপায় থাকলে ভালো হতো, তবে তা নেই।’
সাইডম্যানের মতে, আরেকটি সমস্যা হলো—বিচ্ছিন্ন বসতি স্থাপন অঞ্চলে কট্টর মতাদর্শী এবং সহিংস বসতি স্থাপনকারীরা থাকেন। যারা স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক, তাদের স্থানান্তরিত হওয়ার প্রয়োজন নেই; আর যাদের স্থানান্তরিত হওয়া প্রয়োজন, তারা স্থানান্তরিত হতে ইচ্ছুক নন।
চীনের পূর্বাঞ্চলের জিয়াংসু প্রদেশে একটি কারিগরি স্কুলে ছুরিকাঘাতে ৮ জন খুন হয়েছেন। আজ শনিবারের এই হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে এক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর দিয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ দ্রুত শেষ হবে। জেলেনস্কি জানান, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ট্রাম্পের সঙ্গে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেশ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট অনূঢ়া কুমারা দিশানায়েকে সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের পর প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়োগ দিতে যাচ্ছেন। আগামী সোমবার তিনি এই নিয়োগ দেবেন। নির্বাচনে জয়ী অনূঢ়ার নেতৃত্বাধীন জোট ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) মুখপাত্র তিলউইন সিলভা এ তথ্য জানিয়েছেন।
৬ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ আঙুর আমদানিতে শুল্ক বাড়ালেও সরকার কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় তাঁদের হতাশা বেড়েছে। কারণ, ভারতের মোট আঙুর রপ্তানির প্রায় ২৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন আঙুর বাংলাদেশে রপ্তানি হয়।
৬ ঘণ্টা আগে