অনলাইন ডেস্ক
হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত—কানাডার এমন দাবি নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, বিদেশের মাটিতে কাউকে হত্যা করা ভারত সরকারের নীতি নয় এবং অটোয়ার কাছে তাদের অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। পেলে অবশ্যই সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি তিনি কানাডার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনের (সিএফআর) এক সংলাপে অংশগ্রহণ করেন জয়শঙ্কর। সেখানে কানাডার মাটিতে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত—কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এমন মন্তব্যের বিপরীতে আপনার কোনো মন্তব্য রয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এ কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘কানাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কী আলাপ করেছি তা আমি আপনাদের সামনে খোলাখুলি তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, আমরা কানাডা সরকারকে বলেছি, এটি ভারত সরকারের নীতি নয়। দ্বিতীয়ত, আমরা কানাডীয়দের আরও বলেছি, ‘দেখুন, আপনাদের কাছে যদি প্রাসঙ্গিক ও সুনির্দিষ্ট কিছু থাকে, তবে আমাদের জানান। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো একটি ঘটনাকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে হলে তার প্রেক্ষাপট বুঝতে পারাটা জরুরি। কারণ, প্রেক্ষাপট ছাড়া কোনো একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র ধরা পড়ে না।
জয়শঙ্কর কানাডায় সংঘবদ্ধ অপরাধ বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাদের মানতে হবে, বিগত কয়েক বছরে কানাডায় প্রকৃতপক্ষে প্রচুর সহিংসতা, চরমপন্থী কার্যক্রম ও সংঘবদ্ধ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব বিষয়ে কানাডাকে বারবার বলেছি। আমরা তাদের সেই সব সংঘবদ্ধ অপরাধের মূল হোতাদের তথ্য দিয়েছি।’
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘আমরা অনেক অপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে কানাডার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। দেশটিতে অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী নেতা রয়েছে। সব মিলিয়ে আপনাদের বুঝতে হবে আসলে প্রকৃত ঘটনা কী?’ তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে আসলে কী ঘটছে তা বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক কারণে এটি মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এসব ঘটনা কানাডার অনুমতি সাপেক্ষেই হয়েছে। তো আমাদের এমন একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, যেখানে আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কনস্যুলেটে আক্রমণ করা হচ্ছে এমনকি মাঝে মাঝে দেশটি থেকে এমন মন্তব্যও আসছে, যা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।’
সংলাপে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি কানাডা সরকার সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক তথ্য দেয়, তবে ভারত সরকার দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা করবে কি না। জবাবে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ আমাকে সুনির্দিষ্ট কিছু দেয়—এটি কেবল কানাডার জন্য নির্ধারিত নয়—কোনো একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, তবে আমি সরকারের অংশ হিসেবে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখব। অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’
হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারত জড়িত—কানাডার এমন দাবি নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রহ্মণম জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, বিদেশের মাটিতে কাউকে হত্যা করা ভারত সরকারের নীতি নয় এবং অটোয়ার কাছে তাদের অভিযোগের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক প্রমাণ চাওয়া হয়েছে। পেলে অবশ্যই সেগুলো খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি তিনি কানাডার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগও করেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার মার্কিন থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেইন রিলেশনের (সিএফআর) এক সংলাপে অংশগ্রহণ করেন জয়শঙ্কর। সেখানে কানাডার মাটিতে খালিস্তান আন্দোলনের নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ভারত জড়িত—কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর এমন মন্তব্যের বিপরীতে আপনার কোনো মন্তব্য রয়েছে কি না—এমন এক প্রশ্নের জবাবে জয়শঙ্কর এ কথা বলেন।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘কানাডার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমরা কী আলাপ করেছি তা আমি আপনাদের সামনে খোলাখুলি তুলে ধরতে চাই। প্রথমত, আমরা কানাডা সরকারকে বলেছি, এটি ভারত সরকারের নীতি নয়। দ্বিতীয়ত, আমরা কানাডীয়দের আরও বলেছি, ‘দেখুন, আপনাদের কাছে যদি প্রাসঙ্গিক ও সুনির্দিষ্ট কিছু থাকে, তবে আমাদের জানান। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’
এ সময় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোনো একটি ঘটনাকে পরিপূর্ণভাবে বুঝতে হলে তার প্রেক্ষাপট বুঝতে পারাটা জরুরি। কারণ, প্রেক্ষাপট ছাড়া কোনো একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ চিত্র ধরা পড়ে না।
জয়শঙ্কর কানাডায় সংঘবদ্ধ অপরাধ বেড়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘আপনাদের মানতে হবে, বিগত কয়েক বছরে কানাডায় প্রকৃতপক্ষে প্রচুর সহিংসতা, চরমপন্থী কার্যক্রম ও সংঘবদ্ধ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। বিভিন্ন বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এসব বিষয়ে কানাডাকে বারবার বলেছি। আমরা তাদের সেই সব সংঘবদ্ধ অপরাধের মূল হোতাদের তথ্য দিয়েছি।’
জয়শঙ্কর আরও বলেন, ‘আমরা অনেক অপরাধীকে ফিরিয়ে আনতে কানাডার কাছে অনুরোধ জানিয়েছি। দেশটিতে অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসবাদী নেতা রয়েছে। সব মিলিয়ে আপনাদের বুঝতে হবে আসলে প্রকৃত ঘটনা কী?’ তিনি আরও বলেন, ‘সেখানে আসলে কী ঘটছে তা বুঝতে পারা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক কারণে এটি মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে যে, এসব ঘটনা কানাডার অনুমতি সাপেক্ষেই হয়েছে। তো আমাদের এমন একটি পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে, যেখানে আমাদের কূটনীতিকদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, কনস্যুলেটে আক্রমণ করা হচ্ছে এমনকি মাঝে মাঝে দেশটি থেকে এমন মন্তব্যও আসছে, যা আমাদের দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।’
সংলাপে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করা হয়, যদি কানাডা সরকার সুনির্দিষ্ট ও প্রাসঙ্গিক তথ্য দেয়, তবে ভারত সরকার দেশটির সঙ্গে সহযোগিতা করবে কি না। জবাবে সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ আমাকে সুনির্দিষ্ট কিছু দেয়—এটি কেবল কানাডার জন্য নির্ধারিত নয়—কোনো একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, তবে আমি সরকারের অংশ হিসেবে বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখব। অবশ্যই খতিয়ে দেখব।’
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা ভারতের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়ানোর এবং কোটি কোটি কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ তৈরি করেছে। এমনটাই জানানো হয়েছে অল ইন্ডিয়া প্রফেশনাল কংগ্রেসের (এআইপিসি) এক চিঠিতে। গত ১২ নভেম্বর ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমনের কাছে লেখা চিঠিতে এআইপিসির সভাপতি
১৮ মিনিট আগেশিল্পকর্ম লুটের নেটওয়ার্ক ধরতে এ তদন্ত চলমান। এসব নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে, ন্যান্সি ওয়েনার এবং সুবাস কাপুরের মতো দাগি পাচারকারীরা। সুবাস কাপুর একজন প্রত্নসম্পদ ব্যবসায়ী, তাঁর নিউইয়র্ক গ্যালারির মাধ্যমে কোটি কোটি ডলার মূল্যের শিল্পকর্ম লুটের নেটওয়ার্ক পরিচালিত হয়। দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় তিনি ১০ বছরের কা
৩৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এটি তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদ। এই মেয়াদে তিনি হোয়াইট হাউসে তাঁর প্রেস সেক্রেটারি হিসেবে বেছে নিয়েছেন ২৭ বছর বয়সী ক্যারোলিন লেভিটকে। গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব লেভিট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী। মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনপিআরের প্রতিবেদ
৪০ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হবেই। আর এই বিষয়টি নিশ্চিত করতে তাঁর প্রশাসন কঠোর পরিশ্রম করবে। গতকাল বৃহস্পতিবার ফ্লোরিডায় নিজ বাসভবন মার-এ-লাগোতে থিংক ট্যাংক আমেরিকা ফার্স্ট পলিসি ইনস্টিটিউট আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ট্রাম্প।
১ ঘণ্টা আগে