গোলাম ওয়াদুদ
শিশুরা রাজা-রানির গল্প শুনে বড় হয়নি এমন উদাহরণ খুবই কম। রাজা-রানির গল্প মানেই আকর্ষণ তুঙ্গে। রাজার যিনি স্ত্রী, তিনিই হতেন রানি। কিন্তু এত দিন পর সেই ধারণার পরিবর্তন হলো বুঝি। এখন শুধু রাজার স্ত্রী হলেই রানি হওয়া যায় না। সম্প্রতি ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর জানা গেল রাজার স্ত্রী ‘রানি’ নন!
ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন তৃতীয় চার্লস। তাহলে গল্পে শোনা রাজা-রানির কাহিনি থেকে মনে হতেই পারে, রানি হবেন চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা। কিন্তু তিনি রানি হলেন না। তাঁকে বলা হচ্ছে ‘কুইন কনসোর্ট’। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘কুইন কনসোর্ট’ কী? এর কাজ কী?
তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে ২০০৫ সালে ক্যামিলার বিয়ে হয়। চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী ক্যামিলা। এর আগে প্রিন্সেস ডায়ানাকে বিয়ে করেছিলেন চার্লস। ডায়ানাকে বিয়ের আগে এবং বিয়ের পরেও ক্যামিলার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন চার্লস। একপর্যায়ে ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের বিচ্ছেদ হয়। ওই বিচ্ছেদের জন্য অনেকেই দায়ী করেন ক্যামিলার সঙ্গে চার্লসের প্রেমের সম্পর্ককে। ক্যামিলাকে ঘিরে যে সংসারে অশান্তি চলছিল, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডায়ানাও।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে ক্যামিলাকে উদ্দেশ্য করে অসম্মানজনক উক্তি করেছিলেন ডায়ানা। ক্যামিলার বিষয়ে ইঙ্গিত করে ডায়ানা বলেছিলেন, ‘(চার্লসের সঙ্গে) বিয়েতে আমরা তিনজন ছিলাম। তাই বলা যায়, এটি একটু গোলমেলে ছিল।’
প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের বিচ্ছেদের পর উপাধির বিষয় জটিল হয়ে যায়। তাঁদের বিচ্ছেদের সময় চার্চ অব ইংল্যান্ড বিবাহবিচ্ছেদের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। ডায়ানার জন্য জনসাধারণের প্রশংসা ছিল (এবং রয়ে গেছে) দৃঢ়, যার ফলে অনেকের মনে হয়েছিল যে ডায়ানার প্রতি শ্রদ্ধার কারণে ক্যামিলার ‘প্রিন্সেস’ উপাধি নেওয়া উচিত হবে না।
মার্কিন সাময়িকী টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যামিলাকে বিয়ের পর তাঁর উপাধি কী হবে, তা নিয়ে নানা আলোচনা হয়। চার্লস যখন ডায়ানাকে বিয়ে করেন, তখন তাঁর উপাধি ছিল প্রিন্স অব ওয়েলস। তাই ডায়ানার উপাধি ছিল প্রিন্সেস অব ওয়েলস। ডিউক অব কর্নওয়ালও চার্লসের আরেকটি উপাধি। জনসাধারণের ডায়ানার প্রতি শ্রদ্ধা ও ক্যামিলাকে নিয়ে বিতর্কের বারণে ‘ডাচেস অব কর্নওয়াল’ উপাধি নেন ক্যামিলা। জনমনে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে বলে তখনই প্রিন্স অব ওয়েলসের বাসভবন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে চার্লস রাজা হলে ক্যামিলা হবেন ‘প্রিন্সেস কনসোর্ট’।
কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যামিলার উপাধি নিয়ে কথা বলেন রানি। বিবিসি বলছে, এক বিবৃতিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ঘোষণা করেন, তাঁর আন্তরিক ইচ্ছা, সময় এলে ক্যামিলা ‘কুইন কনসোর্ট’ হিসেবে পরিচিত হবেন। কারণ তিনি তাঁর নিজের কাজ ঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। সেবারই প্রথমবারের মতো রানি রাজতন্ত্রে ক্যামিলার ভূমিকা স্বীকার করে নেন। রাজপরিবারের বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে এই সিদ্ধান্ত চার্লসের সিংহাসনে আরোহণ সহজ করার জন্য করা হয়েছিল।
চার্লস গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মায়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘আমার মায়ের ইচ্ছা সম্পর্কে আমি সচেতন। আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের সেবা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য একসঙ্গে চেষ্টা করছি। আমার স্ত্রী সব সময় আমার পাশে ছিল।’
ক্যামিলা ‘কুইন কনসোর্ট’ উপাধি গ্রহণ করবেন, যা নির্দেশ করে তিনি ‘রানি’ উপাধির পরিবর্তে একজন ‘রাজার পত্নী’। কারণ যাঁরা রাজপরিবারে বিয়ে করেন, তাঁরা সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হতে পারেন না। শেষ রানি সহধর্মিণী ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা, যিনি রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা যাওয়ার পরে এবং তাঁর কন্যা সিংহাসনে আরোহণের পরে রানির মা হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরিয়ান চেরনক বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় চার্লস যদি তাঁর মায়ের ঐতিহ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে তাঁর জন্য ভালো হবে।’
ডায়ানার মৃত্যুর ২৫ বছর পর ক্যামিলা সম্পর্কে জনমনে যে ধারণা, তাতে তিনি এই উপাধি পাওয়ার যোগ্য কি না, তা নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক হচ্ছে। ২০২২ সালের মে মাসের একটি জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটিশ জনগণের মাত্র ২০ শতাংশ বিশ্বাস করে যে ক্যামিলাকে কুইন কনসোর্ট উপাধি দেওয়া উচিত। অন্যদিকে প্রায় ৪০ শতাংশ জনগণ মনে করে যে তাঁকে প্রিন্সেস কনসোর্ট বলা উচিত।
এদিকে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চার্লস রাজপরিবারের সপ্তম জনপ্রিয় সদস্য। প্রায় এক-চতুর্থাংশ ব্রিটিশ বলেছেন, তাঁরা তাঁকে অপছন্দ করেছেন। বিপরীতে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর দিন তাঁর অনুমোদনের রেটিং ছিল সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ।
কুইন কনসোর্ট কী?
একজন কুইন কনসোর্ট হলেন উত্তরাধিকার সূত্রে হওয়া রাজার বিবাহিত স্ত্রী। সুতরাং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিপরীতে কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা কখনোই সিংহাসনে আরোহণ করতে পারবেন না। কারণ তিনি বিয়ের মাধ্যমে রাজপরিবারে যোগ দিয়েছিলেন।
রাজপরিবারের ওয়েবসাইট অনুসারে, কুইন কনসোর্টকে সাধারণত রাজার সঙ্গে মুকুট পরানো হয়। তিনি সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক পদে অধিষ্ঠিত হন না বা তাঁরা রাষ্ট্রীয় কাগজপত্র দেখেন না। তাঁর কাজ প্রাথমিকভাবে রাজাকে নৈতিক ও ব্যবহারিক কাজে সমর্থন দেওয়া। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, এটার ঐতিহাসিক বা আইনগত কোনো অর্থ নেই। ব্রিটিশ আইনে বলা আছে, রাজাদের স্ত্রীরা কুইন কনসোর্ট নামে পরিচিত হবেন।
রাজপরিবারের ওয়েবসাইট উল্লেখ করেছে যে, রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে ক্যামিলা ৯০টিরও বেশি দাতব্য সংস্থার সভাপতি হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষার প্রসার, শিল্পকলা, প্রাণিকল্যাণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের জন্য কাজ করছে।
রানি এলিজাবেথ সম্পর্কিত পড়ুন:
শিশুরা রাজা-রানির গল্প শুনে বড় হয়নি এমন উদাহরণ খুবই কম। রাজা-রানির গল্প মানেই আকর্ষণ তুঙ্গে। রাজার যিনি স্ত্রী, তিনিই হতেন রানি। কিন্তু এত দিন পর সেই ধারণার পরিবর্তন হলো বুঝি। এখন শুধু রাজার স্ত্রী হলেই রানি হওয়া যায় না। সম্প্রতি ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পর জানা গেল রাজার স্ত্রী ‘রানি’ নন!
ব্রিটেনের রাজা হয়েছেন তৃতীয় চার্লস। তাহলে গল্পে শোনা রাজা-রানির কাহিনি থেকে মনে হতেই পারে, রানি হবেন চার্লসের স্ত্রী ক্যামিলা। কিন্তু তিনি রানি হলেন না। তাঁকে বলা হচ্ছে ‘কুইন কনসোর্ট’। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, ‘কুইন কনসোর্ট’ কী? এর কাজ কী?
তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে ২০০৫ সালে ক্যামিলার বিয়ে হয়। চার্লসের দ্বিতীয় স্ত্রী ক্যামিলা। এর আগে প্রিন্সেস ডায়ানাকে বিয়ে করেছিলেন চার্লস। ডায়ানাকে বিয়ের আগে এবং বিয়ের পরেও ক্যামিলার সঙ্গে প্রেমে জড়িয়েছিলেন চার্লস। একপর্যায়ে ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের বিচ্ছেদ হয়। ওই বিচ্ছেদের জন্য অনেকেই দায়ী করেন ক্যামিলার সঙ্গে চার্লসের প্রেমের সম্পর্ককে। ক্যামিলাকে ঘিরে যে সংসারে অশান্তি চলছিল, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ডায়ানাও।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৯৫ সালে এক সাক্ষাৎকারে ক্যামিলাকে উদ্দেশ্য করে অসম্মানজনক উক্তি করেছিলেন ডায়ানা। ক্যামিলার বিষয়ে ইঙ্গিত করে ডায়ানা বলেছিলেন, ‘(চার্লসের সঙ্গে) বিয়েতে আমরা তিনজন ছিলাম। তাই বলা যায়, এটি একটু গোলমেলে ছিল।’
প্রিন্সেস ডায়ানার সঙ্গে চার্লসের বিচ্ছেদের পর উপাধির বিষয় জটিল হয়ে যায়। তাঁদের বিচ্ছেদের সময় চার্চ অব ইংল্যান্ড বিবাহবিচ্ছেদের তীব্র বিরোধিতা করেছিল। ডায়ানার জন্য জনসাধারণের প্রশংসা ছিল (এবং রয়ে গেছে) দৃঢ়, যার ফলে অনেকের মনে হয়েছিল যে ডায়ানার প্রতি শ্রদ্ধার কারণে ক্যামিলার ‘প্রিন্সেস’ উপাধি নেওয়া উচিত হবে না।
মার্কিন সাময়িকী টাইমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্যামিলাকে বিয়ের পর তাঁর উপাধি কী হবে, তা নিয়ে নানা আলোচনা হয়। চার্লস যখন ডায়ানাকে বিয়ে করেন, তখন তাঁর উপাধি ছিল প্রিন্স অব ওয়েলস। তাই ডায়ানার উপাধি ছিল প্রিন্সেস অব ওয়েলস। ডিউক অব কর্নওয়ালও চার্লসের আরেকটি উপাধি। জনসাধারণের ডায়ানার প্রতি শ্রদ্ধা ও ক্যামিলাকে নিয়ে বিতর্কের বারণে ‘ডাচেস অব কর্নওয়াল’ উপাধি নেন ক্যামিলা। জনমনে অসন্তোষ তৈরি হতে পারে বলে তখনই প্রিন্স অব ওয়েলসের বাসভবন থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল যে চার্লস রাজা হলে ক্যামিলা হবেন ‘প্রিন্সেস কনসোর্ট’।
কিন্তু রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের রাজত্বের ৭০তম বার্ষিকীর প্রাক্কালে গত ফেব্রুয়ারিতে ক্যামিলার উপাধি নিয়ে কথা বলেন রানি। বিবিসি বলছে, এক বিবৃতিতে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ ঘোষণা করেন, তাঁর আন্তরিক ইচ্ছা, সময় এলে ক্যামিলা ‘কুইন কনসোর্ট’ হিসেবে পরিচিত হবেন। কারণ তিনি তাঁর নিজের কাজ ঠিকভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন। সেবারই প্রথমবারের মতো রানি রাজতন্ত্রে ক্যামিলার ভূমিকা স্বীকার করে নেন। রাজপরিবারের বিশেষজ্ঞরা একমত হয়েছেন যে এই সিদ্ধান্ত চার্লসের সিংহাসনে আরোহণ সহজ করার জন্য করা হয়েছিল।
চার্লস গত ফেব্রুয়ারিতে তাঁর মায়ের বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ‘আমার মায়ের ইচ্ছা সম্পর্কে আমি সচেতন। আমরা আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষের সেবা ও সমর্থন দেওয়ার জন্য একসঙ্গে চেষ্টা করছি। আমার স্ত্রী সব সময় আমার পাশে ছিল।’
ক্যামিলা ‘কুইন কনসোর্ট’ উপাধি গ্রহণ করবেন, যা নির্দেশ করে তিনি ‘রানি’ উপাধির পরিবর্তে একজন ‘রাজার পত্নী’। কারণ যাঁরা রাজপরিবারে বিয়ে করেন, তাঁরা সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হতে পারেন না। শেষ রানি সহধর্মিণী ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মা, যিনি রাজা ষষ্ঠ জর্জ মারা যাওয়ার পরে এবং তাঁর কন্যা সিংহাসনে আরোহণের পরে রানির মা হিসেবে পরিচিত হয়েছিলেন।
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আরিয়ান চেরনক বলেছেন, ‘আমার কাছে মনে হয় চার্লস যদি তাঁর মায়ের ঐতিহ্য ও দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে তাঁর জন্য ভালো হবে।’
ডায়ানার মৃত্যুর ২৫ বছর পর ক্যামিলা সম্পর্কে জনমনে যে ধারণা, তাতে তিনি এই উপাধি পাওয়ার যোগ্য কি না, তা নিয়ে এখনো অনেক বিতর্ক হচ্ছে। ২০২২ সালের মে মাসের একটি জরিপে দেখা গেছে, ব্রিটিশ জনগণের মাত্র ২০ শতাংশ বিশ্বাস করে যে ক্যামিলাকে কুইন কনসোর্ট উপাধি দেওয়া উচিত। অন্যদিকে প্রায় ৪০ শতাংশ জনগণ মনে করে যে তাঁকে প্রিন্সেস কনসোর্ট বলা উচিত।
এদিকে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, চার্লস রাজপরিবারের সপ্তম জনপ্রিয় সদস্য। প্রায় এক-চতুর্থাংশ ব্রিটিশ বলেছেন, তাঁরা তাঁকে অপছন্দ করেছেন। বিপরীতে, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর দিন তাঁর অনুমোদনের রেটিং ছিল সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ।
কুইন কনসোর্ট কী?
একজন কুইন কনসোর্ট হলেন উত্তরাধিকার সূত্রে হওয়া রাজার বিবাহিত স্ত্রী। সুতরাং রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিপরীতে কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা কখনোই সিংহাসনে আরোহণ করতে পারবেন না। কারণ তিনি বিয়ের মাধ্যমে রাজপরিবারে যোগ দিয়েছিলেন।
রাজপরিবারের ওয়েবসাইট অনুসারে, কুইন কনসোর্টকে সাধারণত রাজার সঙ্গে মুকুট পরানো হয়। তিনি সরকারের কোনো আনুষ্ঠানিক পদে অধিষ্ঠিত হন না বা তাঁরা রাষ্ট্রীয় কাগজপত্র দেখেন না। তাঁর কাজ প্রাথমিকভাবে রাজাকে নৈতিক ও ব্যবহারিক কাজে সমর্থন দেওয়া। দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুসারে, এটার ঐতিহাসিক বা আইনগত কোনো অর্থ নেই। ব্রিটিশ আইনে বলা আছে, রাজাদের স্ত্রীরা কুইন কনসোর্ট নামে পরিচিত হবেন।
রাজপরিবারের ওয়েবসাইট উল্লেখ করেছে যে, রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে ক্যামিলা ৯০টিরও বেশি দাতব্য সংস্থার সভাপতি হয়েছেন। এই প্রতিষ্ঠানগুলো স্বাস্থ্য, শিক্ষার প্রসার, শিল্পকলা, প্রাণিকল্যাণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার নারীদের জন্য কাজ করছে।
রানি এলিজাবেথ সম্পর্কিত পড়ুন:
ইউটিউবে ‘রডিকুলাস’ নামে নিজের একটি পডকাস্টে দৈনন্দিন জীবন নিয়ে কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের বাসিন্দা রোসানা পানসিনো। পাঁচ বছর আগে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে তাঁর বাবা মারা গিয়েছিলেন। এবার তিনি মৃত বাবার ছাইভস্ম গাঁজার সঙ্গে মিশিয়ে ধূমপান করে উড়িয়ে দিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নির্মিত দূরপাল্লার ATACMS ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ার মাটিতে হামলা করতে ইউক্রেনকে অনুমতি দিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তের জের ধরে ইতিমধ্যেই মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে।
৬ ঘণ্টা আগেভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যে অনুষ্ঠিত একটি স্বদেশি মেলা থেকে মুসলিম ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করার অভিযোগ উঠেছে। উচ্ছেদের শিকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের দামোহ জেলার একটি মাঠে আয়োজিত ওই মেলায় অংশ নিতে গিলে ‘মুসলিমদের অনুমতি নেই’ উল্লেখ করে তাঁদের বের করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
৮ ঘণ্টা আগেওমরাহ পালনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১ হাজার জনকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ। আজ সোমবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আরব আমিরাত ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।
৯ ঘণ্টা আগে