অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিপক্ষ অ্যালেক্সেই নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া পুষ্পস্তবকগুলো রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই সব ফুল সরানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশিয়ায় রাজনৈতিক দমন–পীড়ন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ওভিডি–ইনফো জানিয়েছে, নাভালনির স্মরণে ফুল দিতে আসায় রাশিয়ার আটটি শহরে শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার উত্তর মেরু অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত ইয়ামালো–নেনেতের একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যান নাভালনি।
ওভিডি–ইনফো জানায়, বিভিন্ন শহরে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ বানিয়েছেন নাভালনির সমর্থক ও গণতন্ত্রপন্থীরা। আজ শনিবার সাইবেরিয়ার নভোসিবিরস্ক শহরের একটি স্মৃতিসৌধে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ এবং সাইবেরিয়ার আরেকটি শহর সুরগুত থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নভোসিবিরস্ক থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের নজরদারিতে টেপ দিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ বন্ধ করে রাখায় বরফের মধ্যে লাল ফুল রেখে যাচ্ছে।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, মস্কোতে রাতারাতি এক স্মৃতিসৌধ থেকে পুলিশের উপস্থিতি বেশ কয়েকজন মানুষ ও ফুলগুলো সরিয়ে ফেলছে। এ স্মৃতিসৌধটি রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ের কাছেই অবস্থিত। কিন্তু সকালেই ওই জায়গায় আরও ফুল দেখা যায়।
নাভালনির মৃত্যুর খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন নির্বাচনের এক মাসও বাকি নেই। এ নির্বাচন পুতিনকে আরও ছয় বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেবে।
বেলারুশে সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এবং লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ফেলো নাইজেল গোল্ড–ডেভিস বলেন, ‘এ থেকে বোঝা যায়, এখন রাশিয়ায় বিরোধিতার শাস্তি কেবল কারাদণ্ড নয়, মৃত্যুদণ্ড!’
নাভালনির মৃত্যুর কারণ এখনো অস্পষ্ট।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাভালনি হাঁটাহাঁটির পর অসুস্থ বোধ করেন এবং একটু পরই জ্ঞান হারান। দ্রুত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স দলকে ডাকা হয়। তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আন্দোলন চালিয়েছেন।
নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচিত করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।
এরপর, ২০২০ সালের আগস্টে একটি সফরে নাভালনির খাবারের বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তাঁর খাবারে সামরিক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নাভালনি অভিযোগ করেন, এই বিষয়টির সঙ্গে পুতিন জড়িত। তবে ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাভালনির মৃত্যু কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনিয়া নাটকীয়ভাবে জার্মানিতে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে উপস্থিত হন। এ সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনেই নাভালনির মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর স্ত্রী।
কান্না সংবরণ করে আবেগতাড়িত বক্তব্যে ইউলিয়া বলেন, ‘সে (অ্যালেক্সেই নাভালনি) এখানেই থাকতে পারত, এই সম্মেলনকক্ষে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সূত্র থেকে যে খবর আমরা পেলাম, তা কীভাবে বিশ্বাস করব জানি না। কারণ, বহু বছর ধরেই আমরা পুতিন ও তার সরকারকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সব সময় মিথ্যা বলে।’
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতিপক্ষ অ্যালেক্সেই নাভালনির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেওয়া পুষ্পস্তবকগুলো রাতারাতি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতেই সব ফুল সরানো হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম ইউরো নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
রাশিয়ায় রাজনৈতিক দমন–পীড়ন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ওভিডি–ইনফো জানিয়েছে, নাভালনির স্মরণে ফুল দিতে আসায় রাশিয়ার আটটি শহরে শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাশিয়ার উত্তর মেরু অঞ্চলের স্বায়ত্তশাসিত ইয়ামালো–নেনেতের একটি কারাগারে বন্দী অবস্থায় মারা যান নাভালনি।
ওভিডি–ইনফো জানায়, বিভিন্ন শহরে অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ বানিয়েছেন নাভালনির সমর্থক ও গণতন্ত্রপন্থীরা। আজ শনিবার সাইবেরিয়ার নভোসিবিরস্ক শহরের একটি স্মৃতিসৌধে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ এবং সাইবেরিয়ার আরেকটি শহর সুরগুত থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নভোসিবিরস্ক থেকে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশের নজরদারিতে টেপ দিয়ে স্মৃতিসৌধে প্রবেশ বন্ধ করে রাখায় বরফের মধ্যে লাল ফুল রেখে যাচ্ছে।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, মস্কোতে রাতারাতি এক স্মৃতিসৌধ থেকে পুলিশের উপস্থিতি বেশ কয়েকজন মানুষ ও ফুলগুলো সরিয়ে ফেলছে। এ স্মৃতিসৌধটি রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান কার্যালয়ের কাছেই অবস্থিত। কিন্তু সকালেই ওই জায়গায় আরও ফুল দেখা যায়।
নাভালনির মৃত্যুর খবরটি এমন এক সময়ে এসেছে যখন নির্বাচনের এক মাসও বাকি নেই। এ নির্বাচন পুতিনকে আরও ছয় বছর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ দেবে।
বেলারুশে সাবেক ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত এবং লন্ডনের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া বিষয়ক সিনিয়র ফেলো নাইজেল গোল্ড–ডেভিস বলেন, ‘এ থেকে বোঝা যায়, এখন রাশিয়ায় বিরোধিতার শাস্তি কেবল কারাদণ্ড নয়, মৃত্যুদণ্ড!’
নাভালনির মৃত্যুর কারণ এখনো অস্পষ্ট।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাভালনি হাঁটাহাঁটির পর অসুস্থ বোধ করেন এবং একটু পরই জ্ঞান হারান। দ্রুত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স দলকে ডাকা হয়। তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আন্দোলন চালিয়েছেন।
নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচিত করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।
এরপর, ২০২০ সালের আগস্টে একটি সফরে নাভালনির খাবারের বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তাঁর খাবারে সামরিক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নাভালনি অভিযোগ করেন, এই বিষয়টির সঙ্গে পুতিন জড়িত। তবে ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
নাভালনির মৃত্যু কয়েক ঘণ্টা পরেই তাঁর স্ত্রী ইউলিয়া নাভালনিয়া নাটকীয়ভাবে জার্মানিতে এক নিরাপত্তা সম্মেলনে উপস্থিত হন। এ সংবাদ সম্মেলনে আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনেই নাভালনির মৃত্যুসংবাদ পান তাঁর স্ত্রী।
কান্না সংবরণ করে আবেগতাড়িত বক্তব্যে ইউলিয়া বলেন, ‘সে (অ্যালেক্সেই নাভালনি) এখানেই থাকতে পারত, এই সম্মেলনকক্ষে। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সূত্র থেকে যে খবর আমরা পেলাম, তা কীভাবে বিশ্বাস করব জানি না। কারণ, বহু বছর ধরেই আমরা পুতিন ও তার সরকারকে বিশ্বাস করতে পারি না। তারা সব সময় মিথ্যা বলে।’
আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ শুরু হবে ৪৮ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। বিগত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশ এই মেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করলেও এবার অংশগ্রহণকারী দেশের তালিকায় নেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, এবারের মেলায় মূল প্রতিপাদ্য দেশ হিসেবে থাকবে জার্মানি। সেখানে প্রদর্শিত হবে জার্মানির
১৩ মিনিট আগেভারত ভাগের জন্য মুসলিম লীগকে দায়ী করেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। গতকাল শনিবার রাজ্যের আলীগড় জেলায় এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি স্থানীয় সমাজবাদী পার্টিকে একই ধারায় মুসলিম লীগের সঙ্গে তুলনা করেছেন। বলেছেন, সমাজবাদী পার্টিও মুসলিম লীগের পথ অনুসরণ করছে
৩৪ মিনিট আগেইসরায়েলের সামরিক হামলায় ইরানের পারচিন এলাকার একটি অত্যন্ত গোপন পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা কেন্দ্র ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এক্সিওসের প্রতিবেদনে। গত অক্টোবরের শেষ দিকে এই হামলা চালানো হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিন মার্কিন কর্মকর্তা, এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বাড়ির কাছে দুটি ফ্লেয়ার (অল্প সময়ের জন্য জ্বলতে থাকা আগুনের গোলা) পড়েছে। গতকাল শনিবার ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ইসরায়েলি শহর সিজারিয়ায় অবস্থিত নেতানিয়াহুর বাসভবনে এই হামলার ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইসরায়েলি নিরাপত্তা সংস্থা
২ ঘণ্টা আগে