অনলাইন ডেস্ক
উগ্র ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান ঠেকাতে জার্মানির নবগঠিত বামপন্থী দল নতুন আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হয়েছে। তাঁরা সরকারে এলে উচ্চ অবসরভাতা, প্রতিরক্ষা ব্যয় সংকোচন ও ব্যয়বহুল জলবায়ু নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আসন্ন আঞ্চলিক ও ইউরোপীয় নির্বাচন ঘিরে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নতুন বামপন্থী দল সাহরা ভাগেঙ্কনেখত অ্যালায়েন্স (বিএসডব্লিউ)। গত (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় দলটি।
এই দলের নেতা সাহরা ভাগেঙ্কনেখত জার্মানির সাবেক বামপন্থী নেতা এবং স্বনামধন্য রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ। ২০১৫–১৯ পর্যন্ত লেফট পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের সহকারী প্রধান ছিলেন তিনি। সাহরার বাবা ইরানি, মা জার্মান।
গত বছরের অক্টোবরের দিকে তিনি দল ত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই সময় মধ্য বামপন্থী দলের নেতা চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ ত্রিদলীয় জোট নিয়ে দ্বন্দ্ব জড়ালে দ্রুত জনপ্রিয়তা নেমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাহরা ভাগেঙ্কনেখত নতুন দল গঠনের কথা জানান।
দলের আরেক নেতা আমিরা মোহাম্মদ আলী একজন জার্মান রাজনীতিবিদ এবং ২০১৭ সালে থেকে তিনি জার্মান ফেডারেল পার্লামেন্ট বুন্দেস্ট্যাগের সদস্য। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত, তিনি ডায়েটমার বার্টশের সঙ্গে লেফট পার্টির সংসদীয় সহ–সভাপতি ছিলেন।
আমিরা ২০২৩ সালের অক্টোবরে নতুন দল গঠনের জন্য সাহরা ভাগেঙ্কনেখসহ অন্যদের সঙ্গে লেফট পার্টি ছেড়ে যান। আমিরা এখন নতুন দল বিএসডব্লিউয়ের বোর্ডের চেয়ারম্যান।
তাঁরা মূল ধারার বামপন্থী রাজনীতির বাইরে নতুন ও প্রগতিশীল বাম রাজনীতির কথা বলছেন। যেখানে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) পক্ষে এ মুহূর্তে দেশে ২০ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। দলটি সরকার দল ও বিরোধী দলে বহু দিন ধরে আধিপত্য করে আসা ঐতিহ্যবাহী দলগুলো থেকে কিছু বহু ভোটার ভাগিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পূর্ব জার্মানির একটি প্রদেশে ৮ শতাংশ সমর্থন পাওয়া নতুন দল বিএসডব্লিউ অচিরেই ভোটার মধ্যে এএফডির ঘোর ভেঙে দিতে পারে।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে ৩১ শতাংশ সমর্থন ধরে রাখা বিরোধী কনজারভেটিভ দলের ঠিক পেছনেই রয়েছে এএফডি। তবে চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে মধ্য বামপন্থী জোটের তিন দল থেকে এগিয়ে রয়েছে। এই জোটের পক্ষে বর্তমানে সমর্থন রয়েছে ৩২ শতাংশ।
গত ২৭ জানুয়ারি সাহরা ভাগেঙ্কনেখত রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ শঙ্কিত। আমরা আশঙ্কা করি যে এএফডি–এর কারণে দেশে ক্ষোভ এবং মতবিরোধ সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের মনে হয় না মানুষ মৌলবাদী চিন্তা করে। তাঁরা শুধু এমন একটি কণ্ঠ চান যা অন্য দলের মধ্যে তাঁরা পাননি।’
তবে কিছু নীতিগত ক্ষেত্রে বিএসডব্লিউ দলটি উগ্র ডানপন্থী এএফডি থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। নতুন বামপন্থী দলটিও ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে চায়। তাদের যুক্তি, এখানে যুক্ত হওয়া মানে যুদ্ধকেই দীর্ঘায়িত করা। এ নিয়ে কংগ্রেসে কথা বলার কিছু নেই।
পূর্ব বার্লিনের কার্ল–মার্ক্স–অ্যালিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসে ভাগেঙ্কনেখত ও তাঁর দলের কর্মীরা অভিযোগ করেন, চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মধ্য বাম জোট জনগণের কথা ভাবছে না। তারা বরং বিজ্ঞাপনের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।
বিএসডব্লিউ দলটির সাবেক পূর্ব জার্মানিতে শক্ত সমর্থন রয়েছে। ভাগেঙ্কনেখতের জন্ম জার্মানির পূর্বাঞ্চলে। তাঁর বাবা ইরান ও মা জার্মান বংশোদ্ভূত। ভাগেঙ্কনেখতের অভিযোগ বর্তমান সরকার ভোগবাদ ও পুঁজিবাদের রাজনীতি করে।
উগ্র ডানপন্থী রাজনীতির উত্থান ঠেকাতে জার্মানির নবগঠিত বামপন্থী দল নতুন আকর্ষণীয় প্রতিশ্রুতি নিয়ে হাজির হয়েছে। তাঁরা সরকারে এলে উচ্চ অবসরভাতা, প্রতিরক্ষা ব্যয় সংকোচন ও ব্যয়বহুল জলবায়ু নীতি থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। আসন্ন আঞ্চলিক ও ইউরোপীয় নির্বাচন ঘিরে এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে নতুন বামপন্থী দল সাহরা ভাগেঙ্কনেখত অ্যালায়েন্স (বিএসডব্লিউ)। গত (২৭ জানুয়ারি) জাতীয় কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয় দলটি।
এই দলের নেতা সাহরা ভাগেঙ্কনেখত জার্মানির সাবেক বামপন্থী নেতা এবং স্বনামধন্য রাজনৈতিক অর্থনীতিবিদ। ২০১৫–১৯ পর্যন্ত লেফট পার্টির পার্লামেন্টারি গ্রুপের সহকারী প্রধান ছিলেন তিনি। সাহরার বাবা ইরানি, মা জার্মান।
গত বছরের অক্টোবরের দিকে তিনি দল ত্যাগের ঘোষণা দেন। ওই সময় মধ্য বামপন্থী দলের নেতা চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ ত্রিদলীয় জোট নিয়ে দ্বন্দ্ব জড়ালে দ্রুত জনপ্রিয়তা নেমে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সাহরা ভাগেঙ্কনেখত নতুন দল গঠনের কথা জানান।
দলের আরেক নেতা আমিরা মোহাম্মদ আলী একজন জার্মান রাজনীতিবিদ এবং ২০১৭ সালে থেকে তিনি জার্মান ফেডারেল পার্লামেন্ট বুন্দেস্ট্যাগের সদস্য। ২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত, তিনি ডায়েটমার বার্টশের সঙ্গে লেফট পার্টির সংসদীয় সহ–সভাপতি ছিলেন।
আমিরা ২০২৩ সালের অক্টোবরে নতুন দল গঠনের জন্য সাহরা ভাগেঙ্কনেখসহ অন্যদের সঙ্গে লেফট পার্টি ছেড়ে যান। আমিরা এখন নতুন দল বিএসডব্লিউয়ের বোর্ডের চেয়ারম্যান।
তাঁরা মূল ধারার বামপন্থী রাজনীতির বাইরে নতুন ও প্রগতিশীল বাম রাজনীতির কথা বলছেন। যেখানে উগ্র ডানপন্থী দল অলটারনেটিভ ফর জার্মানির (এএফডি) পক্ষে এ মুহূর্তে দেশে ২০ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। দলটি সরকার দল ও বিরোধী দলে বহু দিন ধরে আধিপত্য করে আসা ঐতিহ্যবাহী দলগুলো থেকে কিছু বহু ভোটার ভাগিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, পূর্ব জার্মানির একটি প্রদেশে ৮ শতাংশ সমর্থন পাওয়া নতুন দল বিএসডব্লিউ অচিরেই ভোটার মধ্যে এএফডির ঘোর ভেঙে দিতে পারে।
জনপ্রিয়তার দিক থেকে ৩১ শতাংশ সমর্থন ধরে রাখা বিরোধী কনজারভেটিভ দলের ঠিক পেছনেই রয়েছে এএফডি। তবে চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের নেতৃত্বে মধ্য বামপন্থী জোটের তিন দল থেকে এগিয়ে রয়েছে। এই জোটের পক্ষে বর্তমানে সমর্থন রয়েছে ৩২ শতাংশ।
গত ২৭ জানুয়ারি সাহরা ভাগেঙ্কনেখত রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ শঙ্কিত। আমরা আশঙ্কা করি যে এএফডি–এর কারণে দেশে ক্ষোভ এবং মতবিরোধ সৃষ্টি হতে পারে। আমাদের মনে হয় না মানুষ মৌলবাদী চিন্তা করে। তাঁরা শুধু এমন একটি কণ্ঠ চান যা অন্য দলের মধ্যে তাঁরা পাননি।’
তবে কিছু নীতিগত ক্ষেত্রে বিএসডব্লিউ দলটি উগ্র ডানপন্থী এএফডি থেকে খুব বেশি আলাদা নয়। নতুন বামপন্থী দলটিও ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে চায়। তাদের যুক্তি, এখানে যুক্ত হওয়া মানে যুদ্ধকেই দীর্ঘায়িত করা। এ নিয়ে কংগ্রেসে কথা বলার কিছু নেই।
পূর্ব বার্লিনের কার্ল–মার্ক্স–অ্যালিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় কংগ্রেসে ভাগেঙ্কনেখত ও তাঁর দলের কর্মীরা অভিযোগ করেন, চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের মধ্য বাম জোট জনগণের কথা ভাবছে না। তারা বরং বিজ্ঞাপনের রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত রয়েছে।
বিএসডব্লিউ দলটির সাবেক পূর্ব জার্মানিতে শক্ত সমর্থন রয়েছে। ভাগেঙ্কনেখতের জন্ম জার্মানির পূর্বাঞ্চলে। তাঁর বাবা ইরান ও মা জার্মান বংশোদ্ভূত। ভাগেঙ্কনেখতের অভিযোগ বর্তমান সরকার ভোগবাদ ও পুঁজিবাদের রাজনীতি করে।
অমিত শাহ বলেন, ‘হেমন্ত সরেন অনুপ্রবেশকারীদের প্রবেশ করতে দিচ্ছেন। তারা উপজাতিদের জমি দখল করছে। এটি কখনোই মেনে নেওয়া হবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘হেমন্ত সরেন কংগ্রেসের সহযোগিতায় মুসলিমদের জন্য সংরক্ষণ (কোটা) ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছেন। আমি হুঁশিয়ারি দিচ্ছি, বিজেপি এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা সফল হতে দেবে
১৭ মিনিট আগেচীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুস্থ ও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য চারটি সীমারেখা নির্ধারণ করেছেন। যেগুলো অতিক্রম করা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য উচিত হবে। গতকাল শনিবার পেরুর রাজধানী লিমায় এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন (এপেক) ফোরামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্
১ ঘণ্টা আগেভারতের রাজনৈতিক দল লোকতন্ত্র বাঁচাও অভিযান দাবি করেছে, ঝাড়খণ্ডের প্রথম দফার নির্বাচনে ভোটাররা বিদ্বেষের রাজনীতি নয়, জনস্বার্থের ইস্যুতে ভোট দিয়েছেন। দলের সদস্যরা রাজ্যের সাঁওতাল পরগণা অঞ্চলের দুমকায় সাংবাদিকদের জানান, ১৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঝাড়খন্ড বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ৪৩টি আসনের ভোটারদের সঙ্
১ ঘণ্টা আগেঝাড়খণ্ডের প্রায় প্রতিটি চৌরাস্তার কাছে বিজেপির বিশাল বিশাল ব্যানার-হোর্ডিং। এগুলোতে ভোটারদের সামনে দুটি বিকল্প দেওয়া হয়েছে। একটিতে লেখা, ‘হয় অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দাও অথবা আদিবাসীদের বাঁচাও।’ অন্যান্য ব্যানার-হোর্ডিংগুলোতেও একই বার্তা। এর সবই মূলত রাজ্যে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে ভয় ছড়ানোর কৌ
২ ঘণ্টা আগে