চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে একটি প্রাথমিক স্কুল থেকে করোনার নতুন প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী-ফুজিয়ান প্রদেশের ওই প্রাইমারি স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবার কাছ থেকে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে থাকতে পারে। গত সপ্তাহে তিনি করোনায় আক্রান্ত বলে শনাক্ত হন। 

ফুজিয়ান কর্তৃপক্ষ সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষককে  এক সপ্তাহের মধ্যে করোনা পরীক্ষা করানোর নির্দেশ দিয়েছেন। গত চার দিনে স্কুলটি থেকে শতাধিক করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে।  বিবিসি জানিয়েছে, ফুজিয়ান প্রদেশের পুতিয়ান শহরটি করোনায় চীনের অন্যতম করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত শহর হতে চলেছে। শহরটিতে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ বসবাস করেন। শহরটির প্রথম করোনা রোগী একটি প্রাথমিক স্কুলের সঙ্গে সম্পর্কিত। 

জানা গেছে, ওই স্কুলের এক শিক্ষার্থীর বাবার শরীরে গত ১০ সেপ্টেম্বর করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত ৪ আগস্ট সিঙ্গাপুর থেকে তিনি দেশে ফিরে এসেছিলেন। দেশে ফেরার ৩৮ দিনের মাথায় তার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তাঁর কাছ থেকেই ওই স্কুলে করোনা ছড়িয়েছে। 

যদিও করোনা ছড়িয়ে পড়ার মূল কারণ ওই শিক্ষার্থীর বাবা কি-না সেটি এখনো পরিষ্কার নয়। কারণ দীর্ঘ সময় ধরে কোয়ারেন্টিনে  থাকার পরও ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার ঘটনাটি অদ্ভুত। এরই মধ্যে পুতিয়ান শহরের সকল স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং শহরের বাইরে যেতে হলে সর্বশেষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির করোনার নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। 

এ ছাড়া সিনেমা হল, জাদুঘর ও লাইব্রেরি-সহ গণজমায়েত হয় এমন স্থানগুলোকে কর্মকাণ্ড স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া রেস্টুরেন্টগুলোকে স্বল্প সময়ের জন্য খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। 

পুতিয়ানের পার্শ্ববর্তী শহর চিয়ামেন ও কুয়াঙঝৌতেও এর প্রভাব পড়েছে। চিয়ামেন শহরে জিমনেশিয়াম ও বার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার চীনের চিয়ামেন শহরে ৩২ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের বেশির ভাগই পুতিয়ান শহর থেকে ফিরে এসেছেন। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী-আক্রান্তদের সবাই করোনার অতি সংক্রামক ডেলটা ধরনে আক্রান্ত।