অনলাইন ডেস্ক
পাবজি খেলে প্রেমের সূত্র ধরে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করা পাকিস্তানি গৃহবধূকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ‘গৌরক্ষা হিন্দু দল’ নামে একটি সংগঠন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারত না ছাড়লে বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে এই সংগঠনটি।
এদিকে পাকিস্তানে থাকা নিজ পরিবার, প্রতিবেশী এবং সমাজও সীমা হায়দারকে ত্যাজ্য করেছে।
এ অবস্থায় ভারতীয় প্রেমিক শচীনকে নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সীমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ‘গৌরক্ষা হিন্দু দল’-এর জাতীয় সভাপতি বেদ নগর অভিযোগ করেছেন, সীমা পাকিস্তানি গুপ্তচর। গুপ্তচরবৃত্তি করতেই তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। দেশের জন্য তাই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন সীমা। তা ছাড়া বিশ্বাসঘাতক দেশের একজন নারীকে সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে সীমা হায়দার পাকিস্তানে ফিরে না গেলে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বেদ নগর।
গত কয়েক দিন আগেও সীমাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। না পাঠালে, পরিমাণ ভুগতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে দ্য হিন্দুর এ প্রতিবেদন অনুযায়ী—পাকিস্তানে সীমার পরিবার, প্রতিবেশী, স্বজন এমনকি গ্রামের মানুষেরাও সীমাকে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা চান-সীমা যেন আর কখনোই পাকিস্তানে ফিরে না যান।
পাকিস্তানের যে বাড়িতে চার সন্তানকে নিয়ে সীমা ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিকের ১৬ বছর বয়সী ছেলে দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘তাঁর উচিত শুধু বাচ্চাগুলোকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া। আর সে যেন ভারতেই থেকে যায়। এখন তো সে আর মুসলিমও নন।’
করাচির গুলিস্তান-ই-জওহর এলাকায় তিন কক্ষের একটি বাড়িতে সীমা থাকতেন। তাঁর স্বামী বর্তমানে কাজে উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। ১০ বছর আগে তাঁরা পরিবারের বাঁধা-নিষেধ উপেক্ষা করে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর চারটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন সীমা। সন্তানদের কারও বয়সই সাত বছরের বেশি নয়। চার সন্তানকে নিয়েই ভারতে প্রেমিকের কাছে চলে যান তিনি।
সীমার চলে যাওয়া নিয়ে জামাল ঝাকরানি নামে তাঁর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমরা দেখলাম সে একটা ট্যাক্সি ডাকল এবং সন্তানদের নিয়ে চলে গেল। আমরা ভেবেছিলাম—সে হয়তো জ্যাকোবাবাদে তাঁর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। কিন্তু মাসখানেক পর যখন টেলিভিশনে তাঁর পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনলাম তখন সবাই খুব দুঃখ পেলাম।’
জামাল আরও বলেন, ‘সে যদি এখন ফিরে আসতে চায়ও, তবে নিজের মানুষেরাই তাঁকে আর মেনে নেবে না। তা ছাড়া একজন হিন্দুর সঙ্গে বসবাস করতে চাওয়ায় তাঁর ওপর সবাই ক্ষেপে আছে।’
এদিকে মিয়া মিঠু নামে একজন ধর্মীয় নেতাও সীমার বিরুদ্ধে হুংকার ছেড়েছেন। ঘোষণা করেছেন, ‘সে যদি ফিরে আসে, তবে তাঁকে নির্মম শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সাংবাদিকেরা দিল্লির কাছাকাছি গ্রেটার নয়ডায় গিয়েছিলেন, সেখানে সীমা তাঁর প্রেমিক শচিনের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, সীমা ও শচীনকে শেষ দেখা গিয়েছিল গত ১৩ জুলাই। তাঁরা কোথায় গেছে, সে সম্বন্ধে কেউ কিছু জানেন না।
উল্লেখ্য, অনলাইনে পাবজি গেম খেলতে গিয়ে ২০১৯ সালে পরিচয় হয় ৩০ বছর বয়সী পাকিস্তানি সীমা হায়দার এবং ২২ বছর বয়সী ভারতীয় তরুণ শচীনের মধ্যে। বন্ধুত্ব পরে প্রেমে পরিণত হয়। প্রেমিকের টানে সম্প্রতি চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সীমা। গ্রেটার নয়ডায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে থাকে তারা।
বেআইনিভাবে প্রবেশের জন্য গত ৪ জুলাই সীমাকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হন শচীনও। পরে গত ৮ জুলাই গ্রেটার নয়ডার একটি আদালত তাঁদের মুক্তি দেন।
পাবজি খেলে প্রেমের সূত্র ধরে সীমান্ত পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করা পাকিস্তানি গৃহবধূকে নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে ‘গৌরক্ষা হিন্দু দল’ নামে একটি সংগঠন। ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ভারত না ছাড়লে বড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছে এই সংগঠনটি।
এদিকে পাকিস্তানে থাকা নিজ পরিবার, প্রতিবেশী এবং সমাজও সীমা হায়দারকে ত্যাজ্য করেছে।
এ অবস্থায় ভারতীয় প্রেমিক শচীনকে নিয়ে গত কয়েক দিন ধরে সীমা নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গেছে।
সোমবার ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের ‘গৌরক্ষা হিন্দু দল’-এর জাতীয় সভাপতি বেদ নগর অভিযোগ করেছেন, সীমা পাকিস্তানি গুপ্তচর। গুপ্তচরবৃত্তি করতেই তিনি ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন। দেশের জন্য তাই বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারেন সীমা। তা ছাড়া বিশ্বাসঘাতক দেশের একজন নারীকে সহ্য করা হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
৭২ ঘণ্টার মধ্যে সীমা হায়দার পাকিস্তানে ফিরে না গেলে বড় ধরনের আন্দোলনের হুমকি দিয়ে একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন বেদ নগর।
গত কয়েক দিন আগেও সীমাকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়ার জন্য মুম্বাই পুলিশের কাছে একটি অজানা নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। না পাঠালে, পরিমাণ ভুগতে হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
এদিকে দ্য হিন্দুর এ প্রতিবেদন অনুযায়ী—পাকিস্তানে সীমার পরিবার, প্রতিবেশী, স্বজন এমনকি গ্রামের মানুষেরাও সীমাকে অস্বীকার করেছেন। তাঁরা চান-সীমা যেন আর কখনোই পাকিস্তানে ফিরে না যান।
পাকিস্তানের যে বাড়িতে চার সন্তানকে নিয়ে সীমা ভাড়া থাকতেন সেই বাড়ির মালিকের ১৬ বছর বয়সী ছেলে দ্য হিন্দুকে বলেন, ‘তাঁর উচিত শুধু বাচ্চাগুলোকে পাকিস্তানে পাঠিয়ে দেওয়া। আর সে যেন ভারতেই থেকে যায়। এখন তো সে আর মুসলিমও নন।’
করাচির গুলিস্তান-ই-জওহর এলাকায় তিন কক্ষের একটি বাড়িতে সীমা থাকতেন। তাঁর স্বামী বর্তমানে কাজে উদ্দেশে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। ১০ বছর আগে তাঁরা পরিবারের বাঁধা-নিষেধ উপেক্ষা করে বিয়ে করেছিলেন। বিয়ের পর চারটি সন্তান জন্ম দিয়েছেন সীমা। সন্তানদের কারও বয়সই সাত বছরের বেশি নয়। চার সন্তানকে নিয়েই ভারতে প্রেমিকের কাছে চলে যান তিনি।
সীমার চলে যাওয়া নিয়ে জামাল ঝাকরানি নামে তাঁর এক প্রতিবেশী বলেন, ‘আমরা দেখলাম সে একটা ট্যাক্সি ডাকল এবং সন্তানদের নিয়ে চলে গেল। আমরা ভেবেছিলাম—সে হয়তো জ্যাকোবাবাদে তাঁর গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। কিন্তু মাসখানেক পর যখন টেলিভিশনে তাঁর পালিয়ে যাওয়ার খবর শুনলাম তখন সবাই খুব দুঃখ পেলাম।’
জামাল আরও বলেন, ‘সে যদি এখন ফিরে আসতে চায়ও, তবে নিজের মানুষেরাই তাঁকে আর মেনে নেবে না। তা ছাড়া একজন হিন্দুর সঙ্গে বসবাস করতে চাওয়ায় তাঁর ওপর সবাই ক্ষেপে আছে।’
এদিকে মিয়া মিঠু নামে একজন ধর্মীয় নেতাও সীমার বিরুদ্ধে হুংকার ছেড়েছেন। ঘোষণা করেছেন, ‘সে যদি ফিরে আসে, তবে তাঁকে নির্মম শাস্তি ভোগ করতে হবে।’
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই সাংবাদিকেরা দিল্লির কাছাকাছি গ্রেটার নয়ডায় গিয়েছিলেন, সেখানে সীমা তাঁর প্রেমিক শচিনের সঙ্গে বসবাস করছিলেন। প্রতিবেশীরা জানান, সীমা ও শচীনকে শেষ দেখা গিয়েছিল গত ১৩ জুলাই। তাঁরা কোথায় গেছে, সে সম্বন্ধে কেউ কিছু জানেন না।
উল্লেখ্য, অনলাইনে পাবজি গেম খেলতে গিয়ে ২০১৯ সালে পরিচয় হয় ৩০ বছর বয়সী পাকিস্তানি সীমা হায়দার এবং ২২ বছর বয়সী ভারতীয় তরুণ শচীনের মধ্যে। বন্ধুত্ব পরে প্রেমে পরিণত হয়। প্রেমিকের টানে সম্প্রতি চার সন্তানকে নিয়ে নেপাল হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেন সীমা। গ্রেটার নয়ডায় একটি ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতে থাকে তারা।
বেআইনিভাবে প্রবেশের জন্য গত ৪ জুলাই সীমাকে গ্রেপ্তার করে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হন শচীনও। পরে গত ৮ জুলাই গ্রেটার নয়ডার একটি আদালত তাঁদের মুক্তি দেন।
সুপারশপ তো বটেই রাস্তার পাশে ফুটপাতেও আমরা চাইলেই একটি কলা কিনতে পারি। এর জন্য পকেটে অন্তত ১০ টাকা থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই একই কলা, শুধু দেওয়ালের মধ্যে একটি টেপ দিয়ে আটকানো—এর দাম নাকি ১০ লাখ ডলার ছাড়িয়ে যাবে!
১ ঘণ্টা আগেঝাড়খন্ডের মাদ্রাসাগুলোতে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। আজ রোববার রাজ্যের বোকারোতে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশিত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেইসরায়েলি বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ মিডিয়া প্রধান মোহাম্মদ আফিফ নিহত হয়েছেন। আজ রোববার বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে রাস আল-নাবা এলাকায় আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির একটি ভবনে হামলা হয়। আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টির মহাসচিব আলি হিজাজি আল মায়াদিনকে নিশ্চিত করেছেন, হামলার সময় আফিফ ওই ভবনে ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেআশঙ্কা করা হয়, অচিরেই পৃথিবীতে ষষ্ঠ মহা বিলুপ্তির কাল আসবে। তবে বিখ্যাত প্রাইমাটোলজিস্ট এবং সংরক্ষণবাদী জেন গুডঅল সতর্ক করেছেন, সেই মহা বিলুপ্তির কাল ভবিষ্যতে ঘটবে এমন নয়, বরং এটি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।
৪ ঘণ্টা আগে