ডা. নাসির হোসেন
লকডাউন উঠে গেছে বলেই করোনাভাইরাস চলে গেছে, তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই; বরং এখন প্রচুর মানুষের চলাফেরা, গণপরিবহন চালু হওয়া, দোকানপাট খুলে যাওয়া ইত্যাদি কারণে করোনার সংক্রমণ আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মাস্ক পরা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। সবখানে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাসায় অসুস্থ রোগী থাকলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বাসার সবাইকে।
বারবার হাত ধোয়া
সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। হাতে ময়লা দেখা না গেলেও বারবার হাত ধুতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর, খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। হাত ধোয়া সম্ভব না হলে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।
গণপরিবহন ব্যবহারে সতর্কতা
সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন। সম্ভব না হলে সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন। কোনো কিছু স্পর্শ করলে হাত পরিষ্কার করুন।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন
করোনাভাইরাস কাশির ক্ষুদ্র ড্রপলেট বা কণার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এ সময় যেকোনো সুস্থ বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
বাসার কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করুন এবং ঘরেও মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
নাক-মুখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন
অপরিষ্কার হাত দিয়ে কখনো নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করবেন না। তাতে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাশির আদবকেতা মেনে চলুন
কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় নাক, মুখ রুমাল, টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকুন। হাঁচি, কাশি শেষে টিস্যু সঠিক জায়গায় ফেলুন। অন্যকেও এসব বিষয় মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।
অপ্রয়োজনে বাইরে যাবেন না
অসুস্থ হলে তো বটেই, খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যাবেন না। বাইরে যাওয়া জরুরি হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
খাবারের ক্ষেত্রে সাবধানতা
এ সময় বেশি করে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রোটিন, মিনারেল ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। খাবার ভালো মতো সেদ্ধ করে খান। আধা সেদ্ধ করা খাবার খাবেন না। পরিবারে সব সদস্যের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ভ্রমণে সতর্ক থাকুন
লকডাউন উঠে গেলেও করোনাভাইরাস চলে যাচ্ছে না। ফলে নিজের ও পরিবারের সুস্থতার কথা বিবেচনা করে এ সময় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। জরুরি ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
অভ্যর্থনায় সতর্কতা
কারও সঙ্গে হাত মেলানো বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে অতিথি আমন্ত্রণ ও দাওয়াত গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। যথাসম্ভব সামাজিক আয়োজন থেকে বিরত থাকুন।
স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য গ্রহণ করুন
কোনো কারণে অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর হলে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন। অথবা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।
গুজবে কান দেবেন না
স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের কাছ থেকে করোনার বিষয়ে সঠিক তথ্য ও উপাত্ত জেনে নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব তথ্য বিশ্বাস করবেন না এবং নিশ্চিত না হয়ে কোনো কিছু শেয়ার করবেন না। আপনার শেয়ার করা ভুল তথ্য অন্য কারও ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই কোনোভাবেই গুজবে কান দেবেন না।
লেখক: সাবেক অধ্যাপক, মেডিসিন, নেফ্রোলজি ও শিশু বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
লকডাউন উঠে গেছে বলেই করোনাভাইরাস চলে গেছে, তেমনটি ভাবার কোনো কারণ নেই; বরং এখন প্রচুর মানুষের চলাফেরা, গণপরিবহন চালু হওয়া, দোকানপাট খুলে যাওয়া ইত্যাদি কারণে করোনার সংক্রমণ আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
মাস্ক পরা
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক পরার কোনো বিকল্প নেই। সবখানে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। বাসায় অসুস্থ রোগী থাকলে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে বাসার সবাইকে।
বারবার হাত ধোয়া
সাবান দিয়ে অন্তত ২০ সেকেন্ড ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। হাতে ময়লা দেখা না গেলেও বারবার হাত ধুতে হবে। অসুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে, হাঁচি-কাশি দেওয়ার পর, খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের আগে, টয়লেট ব্যবহারের পর, পশুপাখির পরিচর্যার পর ভালোভাবে হাত ধুতে হবে। হাত ধোয়া সম্ভব না হলে হাত স্যানিটাইজ করতে হবে।
গণপরিবহন ব্যবহারে সতর্কতা
সম্ভব হলে গণপরিবহন এড়িয়ে চলুন। সম্ভব না হলে সঙ্গে স্যানিটাইজার রাখুন ও মাস্ক ব্যবহার করুন। কোনো কিছু স্পর্শ করলে হাত পরিষ্কার করুন।
শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখুন
করোনাভাইরাস কাশির ক্ষুদ্র ড্রপলেট বা কণার মাধ্যমে ছড়ায়। তাই এ সময় যেকোনো সুস্থ বা অসুস্থ ব্যক্তির কাছ থেকে অন্তত এক মিটার বা তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
বাসার কেউ আক্রান্ত হলে, তাঁকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করুন এবং ঘরেও মাস্ক ব্যবহার করতে বলুন।
নাক-মুখ স্পর্শ থেকে বিরত থাকুন
অপরিষ্কার হাত দিয়ে কখনো নাক-মুখ-চোখ স্পর্শ করবেন না। তাতে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
কাশির আদবকেতা মেনে চলুন
কাশি বা হাঁচি দেওয়ার সময় নাক, মুখ রুমাল, টিস্যু বা কনুই দিয়ে ঢাকুন। হাঁচি, কাশি শেষে টিস্যু সঠিক জায়গায় ফেলুন। অন্যকেও এসব বিষয় মেনে চলতে উৎসাহিত করুন।
অপ্রয়োজনে বাইরে যাবেন না
অসুস্থ হলে তো বটেই, খুব বেশি প্রয়োজন না হলে বাইরে যাবেন না। বাইরে যাওয়া জরুরি হলে মাস্ক ব্যবহার করুন।
খাবারের ক্ষেত্রে সাবধানতা
এ সময় বেশি করে পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রোটিন, মিনারেল ও ভিটামিনসমৃদ্ধ খাবার বেশি খেতে হবে। খাবার ভালো মতো সেদ্ধ করে খান। আধা সেদ্ধ করা খাবার খাবেন না। পরিবারে সব সদস্যের প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
ভ্রমণে সতর্ক থাকুন
লকডাউন উঠে গেলেও করোনাভাইরাস চলে যাচ্ছে না। ফলে নিজের ও পরিবারের সুস্থতার কথা বিবেচনা করে এ সময় ভ্রমণ থেকে বিরত থাকুন। জরুরি ভ্রমণে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
অভ্যর্থনায় সতর্কতা
কারও সঙ্গে হাত মেলানো বা কোলাকুলি করা থেকে বিরত থাকুন। সম্ভব হলে অতিথি আমন্ত্রণ ও দাওয়াত গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। যথাসম্ভব সামাজিক আয়োজন থেকে বিরত থাকুন।
স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য গ্রহণ করুন
কোনো কারণে অসুস্থ বোধ করলে, জ্বর হলে, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকর্মীর সাহায্য নিন। অথবা আইইডিসিআরের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আইইডিসিআরের হটলাইন: ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১ এবং ০১৯৩৭১১০০১১।
গুজবে কান দেবেন না
স্বাস্থ্যকর্মী বা চিকিৎসকের কাছ থেকে করোনার বিষয়ে সঠিক তথ্য ও উপাত্ত জেনে নিন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব তথ্য বিশ্বাস করবেন না এবং নিশ্চিত না হয়ে কোনো কিছু শেয়ার করবেন না। আপনার শেয়ার করা ভুল তথ্য অন্য কারও ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই কোনোভাবেই গুজবে কান দেবেন না।
লেখক: সাবেক অধ্যাপক, মেডিসিন, নেফ্রোলজি ও শিশু বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
এমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
১ few সেকেন্ড আগেসারা বিশ্বে হাম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর বিশ্বে ১০ লাখের বেশি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা (ডব্লিউএইচও) এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর যৌথ গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। হামের টিকা প্রদা
২ ঘণ্টা আগেশীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
৯ ঘণ্টা আগে‘যব কই বাত বিগার যায়ে...’ বরেণ্য ভারতীয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর এই গান ক্যানসার রোগ উপশমের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বাজানো হয়। মূলত রোগ উপশমের জন্য মিউজিক থেরাপি এখন পৃথিবীতে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। সংগীতের মতো শিল্পকর্মও মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, এমন অভ
৯ ঘণ্টা আগে