ডা. রাহুল মিত্র
রক্তে চিনির বাড়তি মাত্রা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল করে দিতে শুরু করে। বংশগত এই রোগের কারণে হৃৎপিণ্ড, চোখ, কিডনি, স্নায়ুর পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের মুখগহ্বরের অন্যতম প্রধান সমস্যা মুখের লালা শুকিয়ে যাওয়া। মেডিকেল সায়েন্সে একে বলে জেরোস্টেমিয়া বা হাইপোস্যালাইভেশন।
স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের মুখের লালাগ্রন্থি থেকে অনবরত লালা নিঃসরণ হয়। এই লালা মুখে জমে থাকা খাবারের টুকরো ও জীবাণুর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। লালা নিঃসরণ কমে গেলে মুখে জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ফলস্বরূপ দাঁতের গোড়ায় ও মাড়িতে বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়। মুখের লালা নিঃসরণ কমে গেলে জিভ ও মুখ শুকিয়ে যায়।
এ ক্ষেত্রে বারবার পানি পানের পাশাপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। রোগ থেকে রক্ষা পেতে মাড়ি ও দাঁতের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। নিয়ম করে দুবার সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করার পাশাপাশি ডেন্টাল ফ্লসিং করা জরুরি।
ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শে মাউথওয়াশ দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের পেরিওডেন্টাল ডিজিজের ঝুঁকি খুব বেশি থাকে। দাঁতের গোড়া বা মাড়িতে নানা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সে কারণে হাড়ে ক্ষয় হতে থাকে। ফলে মাড়ির নিচে থাকা হাড় ক্ষয়ে গিয়ে দাঁত আলগা হয়ে যায়। এতে দাঁত ও মাড়ির মাঝখানে পকেট তৈরি হয়ে খাবার জমে ডেন্টাল ক্যারেজ হয়। তবে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এসব সমস্যার ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিসে মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন—কেক, জ্যাম জেলি, পেস্ট্রি, চকোলেট খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবার খেলে সঙ্গে সঙ্গে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দাঁতের ফাঁকে যেন খাবার আটকে না থাকে। মুখের মধ্যে জমে থাকা খাবারে জীবাণু যে অ্যাসিড তৈরি করে, তা দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ এনামেলকে ক্ষয় করে, ফলে দাঁতে সেনসিটিভিটি শুরু হয়।
মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস থাকলে স্নায়ুর সংবেদনশীলতা কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীরা দাঁতে অসুবিধা হলেও ব্যথা টের পান না। আর এ কারণেই বছরে দুবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে চেকআপ করালে ছোটখাটো সমস্যা হলেও রোগ ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করালে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মুখের লালা নিঃসরণ কমে গেলে কফি, অ্যালকোহল বা অতিরিক্ত চা পান করলে সমস্যা বেড়ে যায়। ধূমপানসহ যেকোনো তামাক একেবারেই বাদ দিতে হবে। অনেক সময় চিনিমুক্ত চুইংগাম ব্যবহার করলে মুখের লালা নিঃসরণ কিছুটা বাড়ে।
লেখক: চিফ কনসালট্যান্ট (ডেন্টাল ইউনিট), আল-হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুন:
রক্তে চিনির বাড়তি মাত্রা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল করে দিতে শুরু করে। বংশগত এই রোগের কারণে হৃৎপিণ্ড, চোখ, কিডনি, স্নায়ুর পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায়। ডায়াবেটিস রোগীদের মুখগহ্বরের অন্যতম প্রধান সমস্যা মুখের লালা শুকিয়ে যাওয়া। মেডিকেল সায়েন্সে একে বলে জেরোস্টেমিয়া বা হাইপোস্যালাইভেশন।
স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের মুখের লালাগ্রন্থি থেকে অনবরত লালা নিঃসরণ হয়। এই লালা মুখে জমে থাকা খাবারের টুকরো ও জীবাণুর বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। লালা নিঃসরণ কমে গেলে মুখে জীবাণুর সংখ্যা বাড়তে শুরু করে। ফলস্বরূপ দাঁতের গোড়ায় ও মাড়িতে বিভিন্ন সংক্রমণের ঝুঁকি খুব বেড়ে যায়। মুখের লালা নিঃসরণ কমে গেলে জিভ ও মুখ শুকিয়ে যায়।
এ ক্ষেত্রে বারবার পানি পানের পাশাপাশি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখা দরকার। রক্তে শর্করার মাত্রা বেশি হলে শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যায়। রোগ থেকে রক্ষা পেতে মাড়ি ও দাঁতের বিশেষ যত্ন নেওয়া দরকার। নিয়ম করে দুবার সঠিক পদ্ধতিতে ব্রাশ করার পাশাপাশি ডেন্টাল ফ্লসিং করা জরুরি।
ডেন্টাল সার্জনের পরামর্শে মাউথওয়াশ দিয়ে ভালো করে কুলকুচি করতে হবে। ডায়াবেটিসের রোগীদের পেরিওডেন্টাল ডিজিজের ঝুঁকি খুব বেশি থাকে। দাঁতের গোড়া বা মাড়িতে নানা সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
সে কারণে হাড়ে ক্ষয় হতে থাকে। ফলে মাড়ির নিচে থাকা হাড় ক্ষয়ে গিয়ে দাঁত আলগা হয়ে যায়। এতে দাঁত ও মাড়ির মাঝখানে পকেট তৈরি হয়ে খাবার জমে ডেন্টাল ক্যারেজ হয়। তবে রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখলে এসব সমস্যার ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিসে মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন—কেক, জ্যাম জেলি, পেস্ট্রি, চকোলেট খাওয়া উচিত নয়। এসব খাবার খেলে সঙ্গে সঙ্গে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। দাঁতের ফাঁকে যেন খাবার আটকে না থাকে। মুখের মধ্যে জমে থাকা খাবারে জীবাণু যে অ্যাসিড তৈরি করে, তা দাঁতের ওপরের শক্ত আবরণ এনামেলকে ক্ষয় করে, ফলে দাঁতে সেনসিটিভিটি শুরু হয়।
মনে রাখতে হবে, ডায়াবেটিস থাকলে স্নায়ুর সংবেদনশীলতা কমে যায়। ফলে ডায়াবেটিসের রোগীরা দাঁতে অসুবিধা হলেও ব্যথা টের পান না। আর এ কারণেই বছরে দুবার ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে চেকআপ করালে ছোটখাটো সমস্যা হলেও রোগ ধরা পড়ে। সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা করালে ভোগান্তি থেকে রেহাই পাওয়া যায়। মুখের লালা নিঃসরণ কমে গেলে কফি, অ্যালকোহল বা অতিরিক্ত চা পান করলে সমস্যা বেড়ে যায়। ধূমপানসহ যেকোনো তামাক একেবারেই বাদ দিতে হবে। অনেক সময় চিনিমুক্ত চুইংগাম ব্যবহার করলে মুখের লালা নিঃসরণ কিছুটা বাড়ে।
লেখক: চিফ কনসালট্যান্ট (ডেন্টাল ইউনিট), আল-হেলাল স্পেশালাইজড হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুন:
শীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
৬ ঘণ্টা আগে‘যব কই বাত বিগার যায়ে...’ বরেণ্য ভারতীয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর এই গান ক্যানসার রোগ উপশমের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বাজানো হয়। মূলত রোগ উপশমের জন্য মিউজিক থেরাপি এখন পৃথিবীতে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। সংগীতের মতো শিল্পকর্মও মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, এমন অভ
৬ ঘণ্টা আগেবয়স বাড়ার সঙ্গে জীবনের সঙ্গী হয় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। পুরুষের প্রোস্টেট সমস্যা তেমনই একটি। এ সমস্যার রয়েছে প্রাকৃতিক সমাধান।
৬ ঘণ্টা আগেজ্বর, শরীরে ব্যথা এবং ক্লান্তি ফ্লুর সাধারণ লক্ষণ। এগুলো হলে বুঝতে হবে, আপনি ফ্লুতে আক্রান্ত। সাধারণত ফ্লু প্রাণঘাতী নয়। তবে কখনো কখনো বিশেষ কোনো কারণে এটি বেশি হয়ে গেলে হাসপাতালে যেতে হতে পারে। ফ্লুর সংক্রমণের সঙ্গে নিউমোনিয়া হলে সেটি আর সাধারণ থাকে না। তখন হাসপাতালে যেতে হয়।
৬ ঘণ্টা আগে