ড. আজহারুল ইসলাম
যাই যাই করেও করোনাভাইরাস শিগগির আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে না। এটাই এখন বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই হয়তো জীবনযাপন করছেন। বলা যায়, নতুন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে যাপিত জীবনের সহজাত ঢং থেকে খোলস পরিবর্তন করা চাট্টিখানি কথা নয়। খোলস পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেকের মতো হয়তো আপনিও পড়ছেন মানসিক পীড়ায়, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে।
পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শুরুটা ছিল অনেক বেশি কঠিন। এ নিয়ে অসংখ্য গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রায় সব গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ বলছেন, তাঁরা মনে চাপবোধ করছেন। অধিকাংশ সময় মন ভার হয়ে থাকছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবোধ করছেন অথবা মৃত্যু বা সংক্রমণের আশঙ্কায় ভীত থাকছেন। এসব অস্বাভাবিক উপসর্গ আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। করোনার ঝুঁকি বয়স্কদের বেশি। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বলছে, মানসিকভাবে বেশি অসুবিধায় ভুগেছেন এবং ভুগছেন তরুণেরা। শিশু ও নারীদের মধ্যেও এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। আবার যাঁদের মানসিক সমস্যার পূর্ব-ইতিহাস আছে, তাঁদের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে।
আপনি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে আপনার মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশা দেখা দিতে পারে। জীবনের এ ধাপকে বলা হয় নিজেকে আবিষ্কার করা এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়। অথচ অতিগুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে দেখা যাচ্ছে পরিকল্পনামাফিক কোনো কিছুই হচ্ছে না। কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা মানুষের সহজাত। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের এ গুণের কারণে মহামারির শুরুর দিকের মানসিক সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমে গেছে। এ সময় একে অন্যকে সহযোগিতা করার নজির বেড়েছে। তা ছাড়া, করোনার প্রতিষেধক টিকা মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে।
শিক্ষা ও গবেষণায়ও করোনা মহামারি অনেক ইতিবাচক দিক নিয়ে এসেছে। পাঠদানে নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বেড়েছে বহুলাংশে। আপাতদৃষ্টিতে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বাড়ছে বলে মনে হলেও সামগ্রিকভাবে এই দূরত্ব অনেক কমেছে। যেটা অনেক আশার একটা খবর।
যা করা দরকার
লেখক: কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
যাই যাই করেও করোনাভাইরাস শিগগির আমাদের ছেড়ে যাচ্ছে না। এটাই এখন বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে নিয়েই হয়তো জীবনযাপন করছেন। বলা যায়, নতুন জীবনযাপনে অভ্যস্ত হতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে যাপিত জীবনের সহজাত ঢং থেকে খোলস পরিবর্তন করা চাট্টিখানি কথা নয়। খোলস পরিবর্তন করতে গিয়ে অনেকের মতো হয়তো আপনিও পড়ছেন মানসিক পীড়ায়, যা আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটাচ্ছে।
পরিবর্তিত এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার শুরুটা ছিল অনেক বেশি কঠিন। এ নিয়ে অসংখ্য গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। প্রায় সব গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বেশিরভাগ মানুষ বলছেন, তাঁরা মনে চাপবোধ করছেন। অধিকাংশ সময় মন ভার হয়ে থাকছেন, ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশাবোধ করছেন অথবা মৃত্যু বা সংক্রমণের আশঙ্কায় ভীত থাকছেন। এসব অস্বাভাবিক উপসর্গ আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। করোনার ঝুঁকি বয়স্কদের বেশি। কিন্তু তথ্য-উপাত্ত বলছে, মানসিকভাবে বেশি অসুবিধায় ভুগেছেন এবং ভুগছেন তরুণেরা। শিশু ও নারীদের মধ্যেও এ সমস্যা তুলনামূলকভাবে বেশি। আবার যাঁদের মানসিক সমস্যার পূর্ব-ইতিহাস আছে, তাঁদের কষ্ট আরও বেড়ে গেছে।
আপনি কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হলে আপনার মধ্যে ক্যারিয়ার নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা আর হতাশা দেখা দিতে পারে। জীবনের এ ধাপকে বলা হয় নিজেকে আবিষ্কার করা এবং প্রতিষ্ঠিত হওয়ার সময়। অথচ অতিগুরুত্বপূর্ণ এ সময়ে দেখা যাচ্ছে পরিকল্পনামাফিক কোনো কিছুই হচ্ছে না। কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে চলার সক্ষমতা মানুষের সহজাত। কিছু কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের এ গুণের কারণে মহামারির শুরুর দিকের মানসিক সমস্যাগুলো ধীরে ধীরে কমে গেছে। এ সময় একে অন্যকে সহযোগিতা করার নজির বেড়েছে। তা ছাড়া, করোনার প্রতিষেধক টিকা মানুষের মনে আশার সঞ্চার করেছে।
শিক্ষা ও গবেষণায়ও করোনা মহামারি অনেক ইতিবাচক দিক নিয়ে এসেছে। পাঠদানে নিত্যনতুন প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে। গবেষণার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বেড়েছে বহুলাংশে। আপাতদৃষ্টিতে মানুষে মানুষে সামাজিক দূরত্ব বাড়ছে বলে মনে হলেও সামগ্রিকভাবে এই দূরত্ব অনেক কমেছে। যেটা অনেক আশার একটা খবর।
যা করা দরকার
লেখক: কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট, সহকারী অধ্যাপক, এডুকেশনাল অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
সারা বিশ্বে হাম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর বিশ্বে ১০ লাখের বেশি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা (ডব্লিউএইচও) এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর যৌথ গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। হামের টিকা প্রদা
২ ঘণ্টা আগেশীত এসে গেছে। এ ঋতুতে আবহাওয়া দীর্ঘ সময়ের জন্য বদলে যায়। ফলে এর প্রভাব পড়ে শরীরের ওপর। শীতের নেতিবাচক প্রভাব কমাতে শক্তিশালী করে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
৮ ঘণ্টা আগে‘যব কই বাত বিগার যায়ে...’ বরেণ্য ভারতীয় সংগীতশিল্পী কুমার শানুর এই গান ক্যানসার রোগ উপশমের জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে বাজানো হয়। মূলত রোগ উপশমের জন্য মিউজিক থেরাপি এখন পৃথিবীতে স্বীকৃত একটি পদ্ধতি। সংগীতের মতো শিল্পকর্মও মানুষের মস্তিষ্কে বিভিন্ন ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি করে। অনেক গবেষণায় উঠে এসেছে, এমন অভ
৮ ঘণ্টা আগেবয়স বাড়ার সঙ্গে জীবনের সঙ্গী হয় বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা। পুরুষের প্রোস্টেট সমস্যা তেমনই একটি। এ সমস্যার রয়েছে প্রাকৃতিক সমাধান।
৮ ঘণ্টা আগে