আয়নাল হোসেন, ঢাকা
হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ, অতিরিক্ত ফি আদায় ও অনিয়ম রোধে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করছে সরকার। উচ্চ আদালতের নির্দেশে কমিশন গঠন করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তবে এই কমিশন গঠিত হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ক্ষমতা খর্ব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগে কেনাকাটায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ফি বেশি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে কমিশন গঠিত হলে সেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। এখানে ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কিছু নেই, বরং ক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেগুলেটরি কমিশন হলে মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তরের ক্ষমতা খর্ব নয়, বরং শক্তিশালী হবে। কারণ, এখানে সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা থাকবেন। তাঁকে সহায়তায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জড়িত থাকবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতের একটি রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ তদারকির জন্য হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি (ইউজার ফি) নির্ধারণের অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অধ্যাদেশের বিধান যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের অগ্রগতি জানাতে বলেছিলেন।
ইতিমধ্যে কমিশনের কার্যাবলি, ক্ষমতা, পরিধি ও খসড়া প্রণয়নে ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। এই কমিটি একটি কমিশন গঠনের কার্যাবলিসহ ক্ষমতা ও অন্যান্য বিষয়ে খসড়া প্রণয়নে কাজ করবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টে রিট মামলার আদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ, অতিরিক্ত ফি আদায়, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। কমিশন গঠনে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একজনকে মনোনয়নের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘শুধু দেখানো কমিশন গঠন করে লাভ হবে না। সেটি জনস্বার্থে সঠিক ভূমিকা রাখতে পারছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে। কাদের নিয়ে কমিশন গঠন করা হচ্ছে, সেটিও দেখার বিষয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন সময়ের দাবি। তবে এই পদে মন্ত্রীর সমমর্যাদা বা তাঁর কিছুটা নিচের কাউকে বসাতে হবে। তা না হলে এটি নামমাত্র কমিশনে পরিণত হবে। কমিশনে একজন অতিরিক্ত সচিবকে রাখা হলে তিনি কোনো কাজই করতে পারবেন না।’
হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ, অতিরিক্ত ফি আদায় ও অনিয়ম রোধে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করছে সরকার। উচ্চ আদালতের নির্দেশে কমিশন গঠন করা হচ্ছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
তবে এই কমিশন গঠিত হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ক্ষমতা খর্ব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্য বিভাগে কেনাকাটায় নানা অনিয়ম-দুর্নীতি এবং সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ফি বেশি আদায়সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তবে কমিশন গঠিত হলে সেখানে অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। এখানে ক্ষমতা খর্ব হওয়ার কিছু নেই, বরং ক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করছেন তাঁরা।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের মহাপরিচালক মো. শাহাদৎ হোসেন মাহমুদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, রেগুলেটরি কমিশন হলে মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তরের ক্ষমতা খর্ব নয়, বরং শক্তিশালী হবে। কারণ, এখানে সচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা থাকবেন। তাঁকে সহায়তায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জড়িত থাকবেন।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালে উচ্চ আদালতের একটি রিট মামলার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গত বছরের অক্টোবরে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবায় অব্যবস্থাপনা নিয়ে রোগীদের অভিযোগ তদারকির জন্য হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
হাইকোর্ট বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফি (ইউজার ফি) নির্ধারণের অগ্রগতির পাশাপাশি ১৯৮২ সালের দ্য মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিকস অ্যান্ড ল্যাবরেটরিজ (রেগুলেশন) অধ্যাদেশের বিধান যুগোপযোগী করে নতুন আইন প্রণয়নের অগ্রগতি জানাতে বলেছিলেন।
ইতিমধ্যে কমিশনের কার্যাবলি, ক্ষমতা, পরিধি ও খসড়া প্রণয়নে ৯ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) প্রধান করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, আইন ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি। এই কমিটি একটি কমিশন গঠনের কার্যাবলিসহ ক্ষমতা ও অন্যান্য বিষয়ে খসড়া প্রণয়নে কাজ করবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টে রিট মামলার আদেশে বিভিন্ন হাসপাতালে রোগীদের দুর্ভোগ, অতিরিক্ত ফি আদায়, অনিয়ম-দুর্নীতি প্রতিরোধে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠনের জন্য কাজ করা হচ্ছে। কমিশন গঠনে সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালনের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একজনকে মনোনয়নের জন্য ইতিমধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহবুব বলেন, ‘শুধু দেখানো কমিশন গঠন করে লাভ হবে না। সেটি জনস্বার্থে সঠিক ভূমিকা রাখতে পারছে কি না, খেয়াল রাখতে হবে। কাদের নিয়ে কমিশন গঠন করা হচ্ছে, সেটিও দেখার বিষয়।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইউনিটের অধ্যাপক আবদুল হামিদ বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতে অনিয়ম-দুর্নীতিসহ নানা অব্যবস্থাপনা প্রতিরোধে হেলথ রেগুলেটরি কমিশন গঠন সময়ের দাবি। তবে এই পদে মন্ত্রীর সমমর্যাদা বা তাঁর কিছুটা নিচের কাউকে বসাতে হবে। তা না হলে এটি নামমাত্র কমিশনে পরিণত হবে। কমিশনে একজন অতিরিক্ত সচিবকে রাখা হলে তিনি কোনো কাজই করতে পারবেন না।’
সুস্থভাবে জীবনযাপন করার জন্য দেহের পুষ্টির চাহিদা মেটাতে হয়। সাধারণত পুষ্টির কথা ভাবলে মনে করি সবটুকুই আমার খাদ্য থেকেই অর্জন করি। তবে এই ধারণাটি ভুল বললেন বিজ্ঞানীরা। নতুন গবেষণায় বলা যায়, মানুষ কিছু পুষ্টি বায়ু থেকেও শোষণ করতে পারে!
৬ ঘণ্টা আগেবিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
১ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
২ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৩ দিন আগে