ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
ডাউন সিনড্রোম এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার এখন পর্যন্ত চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। আমাদের শরীরে ৪৬টি ক্রোমোসোম থাকে। কিন্তু ডাউন শিশুদের ক্রোমোসোম থাকে ৪৭টি। এতেই ঘটে সব বিপত্তি। ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক জন লগডন ডাউন এ রোগটি আলোচনায় আনেন। ১৯৫৯ সালে ডা. জেরমি লিচিউন জানান, এ রোগটি ৪৭টি ক্রোমোসোমের ফলে হয়ে থাকে।
আমেরিকায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও প্রতিবছর ছয় হাজার শিশু ডাউন হিসেবে জন্ম নেয়। আমাদের দেশে এর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও চলতে-ফিরতে এমন শিশুর হরহামেশাই দেখা পাওয়া যায়।
চেনার উপায়
এই শিশুদের মাংসপেশি থাকে দুর্বল। তাই অন্য শিশুদের চেয়ে এরা দেরিতে বসে, হামাগুড়ি দেয় ও হাঁটে। এরা বুকের দুধ ভালোমতো টেনে খেতে পারে না। কথা বলে দেরিতে। এদের বুদ্ধিও থাকে কম।
এই শিশুদের জন্মগত হৃদ্রোগ দেখা যায়। কানে শোনে না। তাই কথাও বলতে পারে না। লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি। চোখে কম দেখে, চোখে ছানি পড়া, গ্লোকোমায় আক্রান্ত হয়। বুদ্ধি কম থাকে বলে এরা স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। এরা অন্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়।
৩০ বছর বয়সী মায়েদের মধ্যে এমন শিশু জন্মের হার প্রতি ১ হাজারে ১ জন, ৩৫ বছরে প্রতি ৪০০ জনে ১ জন ও ৪০ বছরে প্রতি ১০০ জনে ১ জন।
যা করা যায়
প্রতিরোধব্যবস্থা
বেশি বয়সে সন্তান না নেওয়া ভালো উপায়। গর্ভ ধারণের ১০ থেকে ১৪ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বোঝা যায় গর্ভস্থ শিশুটি ডাউন কি না। তবে শতকরা ৫ ভাগ ক্ষেত্রে আশঙ্কা ভুল হতে পারে।
রক্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা
এগুলো করতে হয় প্রথম ছয় মাসের মধ্যে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এমন শিশুর জন্মের হার কমানো সম্ভব।
লেখক: কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা
ডাউন সিনড্রোম এমন একটি জেনেটিক রোগ, যার এখন পর্যন্ত চিকিৎসা আবিষ্কৃত হয়নি। আমাদের শরীরে ৪৬টি ক্রোমোসোম থাকে। কিন্তু ডাউন শিশুদের ক্রোমোসোম থাকে ৪৭টি। এতেই ঘটে সব বিপত্তি। ১৮৬১ সালে ব্রিটিশ চিকিৎসক জন লগডন ডাউন এ রোগটি আলোচনায় আনেন। ১৯৫৯ সালে ডা. জেরমি লিচিউন জানান, এ রোগটি ৪৭টি ক্রোমোসোমের ফলে হয়ে থাকে।
আমেরিকায় আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকার পরও প্রতিবছর ছয় হাজার শিশু ডাউন হিসেবে জন্ম নেয়। আমাদের দেশে এর সঠিক পরিসংখ্যান না থাকলেও চলতে-ফিরতে এমন শিশুর হরহামেশাই দেখা পাওয়া যায়।
চেনার উপায়
এই শিশুদের মাংসপেশি থাকে দুর্বল। তাই অন্য শিশুদের চেয়ে এরা দেরিতে বসে, হামাগুড়ি দেয় ও হাঁটে। এরা বুকের দুধ ভালোমতো টেনে খেতে পারে না। কথা বলে দেরিতে। এদের বুদ্ধিও থাকে কম।
এই শিশুদের জন্মগত হৃদ্রোগ দেখা যায়। কানে শোনে না। তাই কথাও বলতে পারে না। লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি। চোখে কম দেখে, চোখে ছানি পড়া, গ্লোকোমায় আক্রান্ত হয়। বুদ্ধি কম থাকে বলে এরা স্বাভাবিক কাজ করতে পারে না। এরা অন্যের ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল হয়।
৩০ বছর বয়সী মায়েদের মধ্যে এমন শিশু জন্মের হার প্রতি ১ হাজারে ১ জন, ৩৫ বছরে প্রতি ৪০০ জনে ১ জন ও ৪০ বছরে প্রতি ১০০ জনে ১ জন।
যা করা যায়
প্রতিরোধব্যবস্থা
বেশি বয়সে সন্তান না নেওয়া ভালো উপায়। গর্ভ ধারণের ১০ থেকে ১৪ সপ্তাহে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বোঝা যায় গর্ভস্থ শিশুটি ডাউন কি না। তবে শতকরা ৫ ভাগ ক্ষেত্রে আশঙ্কা ভুল হতে পারে।
রক্তের পরীক্ষা-নিরীক্ষা
এগুলো করতে হয় প্রথম ছয় মাসের মধ্যে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত চেকআপের মাধ্যমে এমন শিশুর জন্মের হার কমানো সম্ভব।
লেখক: কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ঢাকা
বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষকে প্রভাবিত করে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন। হৃদরোগ, স্ট্রোক, কিডনির ক্ষতি এবং দৃষ্টি শক্তিসহ বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার প্রধান ঝুঁকির কারণ এটি। এই ধরনের ঝুঁকি কমানোর জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা ও বিভিন্ন ধরনের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ
১ দিন আগেডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১ হাজার ৩৮৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরে আজ রোববার পর্যন্ত এ রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলো ৭৯ হাজার ৯৮৪ জন। মারা গেছে আরও আটজন।
২ দিন আগেএমন সময়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হলো, যখন ইংল্যান্ডে একটি লক্ষ্যভিত্তিক ফুসফুস স্বাস্থ্য পরীক্ষা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এই কর্মসূচির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মার্চের মধ্যে সম্ভাব্য ৪০ শতাংশ ব্যক্তিকে স্ক্রিনিং করা এবং ২০৩০ সালের মধ্যে সবাইকে এর আওতায় আনা।
৩ দিন আগেসারা বিশ্বে হাম ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। গত বছর বিশ্বে ১০ লাখের বেশি মানুষ হামে আক্রান্ত হয়েছে। এই সংখ্যাটি ২০২২ সালের চেয়ে ২০ শতাংশ বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংখ্যা (ডব্লিউএইচও) এবং ইউএস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর যৌথ গবেষণায় এই তথ্য জানা গেছে। হামের টিকা প্রদা
৩ দিন আগে