রাজশাহীর পুঠিয়ায় বরাদ্দের অর্থ শেষ দেখিয়ে প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে ১১ কিলোমিটার আঞ্চলিক সড়কের নির্মাণকাজ। সড়কজুড়ে ইটের খোয়া পড়ে আছে। এর ফলে দুর্ভোগে পড়ছে সাধারণ পথচারীরা।

উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ বলছে, সড়কের বরাদ্দের অর্থে সড়কের অন্য কোনো অবকাঠামোর কাজ করা হয়েছে। নতুন করে বরাদ্দের আবেদন সম্প্রতি মঞ্জুর হয়েছে। অল্পদিনের মধ্যে কাজ শুরু করা হবে।

উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে পুঠিয়ার কান্দ্রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বানেশ্বর বাজার পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্তকরণ ও পুনর্নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) ও রুরাল কানেকটিভিটি ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের (আরসিআইপি) অধীন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজটি বাস্তবায়ন করছে। এতে ব্যয় ধরা হয় ১১ কোটি ৮ লাখ ৮ হাজার ২৪০ টাকা। প্রাক্কলিত অর্থ ব্যয়ে নির্মাণকাজটি করছে রাজশাহীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কামাল অ্যাসোসিয়েট ও হোসেন এন্টারপ্রাইজ।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সড়কটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০২০ সালের শুরুতে। ওই সালের জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সড়কে ইটের খোয়া ফেলে আর কাজ এগোয়নি। এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ। ফলে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ভাঙন শুরু হয়।

কান্দ্রা গ্রামের বাসিন্দা জালাল হোসেন বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে সড়কের কাজ শুরু হয়। নানা জটিলতা দেখিয়ে এখনো সে কাজ শেষ হয়নি। প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে কয়েক হাজার লোক যাতায়াত করে। জনদুর্ভোগের বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে অবহিত করেও লাভ হয়নি।

ভ্যানচালক আরমান আলী বলেন, এলাকায় অর্ধশতাধিক ভ্যানচালক রয়েছেন। তাঁরা এই সড়কে যাত্রী পরিবহন করে যা আয় করেন, তা দিয়ে পরিবার চালান। কাজ থেমে থাকায় ভাঙাচোরা সড়কে ভ্যান চলাচল কমে গেছে। এতে চালকদের আয়-রোজগার কমে গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক কামাল হোসেন বলেন, ‘ওই বরাদ্দে ওয়ার্ক অর্ডারের বাইরে কিছু ঢালাই ও বাঁধ নির্মাণের কাজ করা হয়। ফলে সড়কের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তবে প্রকৌশলীর অফিস নতুন বরাদ্দের প্রক্রিয়া করেছে। বরাদ্দ এলেই কাজ শুরু করা হবে।’

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী আফরিন রহমান বলেন, ‘ওই সড়কের কাজটি আমি আসার আগে শুরু হয়েছিল। তবে এখন কাগজপত্র না দেখে বিস্তারিত জানানো সম্ভব নয়। যত দূর জানি, ওই সড়কে নতুন বরাদ্দ অনুমোদন হয়েছে। তাই শিগগিরই পুরো কাজ শেষ করা হবে।’