মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্নে এলাকা র সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১০ চাকার নিষিদ্ধ ডাম্প ট্রাক। সেই সঙ্গে আছে নছিমন, করিমন, পটাংসহ বিভিন্ন নামের নিষিদ্ধ অনেক যানবাহন। এসব গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ৯ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনে ছয়টি পৃথক দুর্ঘটনায় ডাম্প ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ ১২ জন।
নিষিদ্ধ যান তো আছেই, সেই সঙ্গে জেলার অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক বেহাল। বেহাল এসব সড়কে দ্রুতগতিতে চলার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অসংখ্য মানুষ। এসব নিষিদ্ধ যানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও এগুলো বন্ধে যেমন নেই কোনো উদ্যোগ, তেমনি বেহাল সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথাব্যথা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা জেলার বিভিন্ন সড়কে বালুবাহী নিষিদ্ধ ডাম্প ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে চলা তাঁদের চিন্তায় ফেলেছে। বালু না ঢেকে নেওয়ায় এসব ট্রাক চলার সময় বালু উড়ে পথচারীদের চোখেমুখে যায়। অধিকাংশ চালকের নেই বৈধ কাগজপত্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব গাড়ি চালানো হয় হেলপার দিয়ে। দিনের বেলা শহরের মধ্য দিয়ে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে দিয়েই দিনদুপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এসব যান।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু কুষ্টিয়া-ঈশ্বরী মহাসড়কের কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা অংশে এক বছরে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪৫ জনের। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ট্রাকচাপায়।
৯ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কৈপাল এলাকায়ে একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি বেপরোয়া গতির ডাম্প ট্রাক। এতে করে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই মোটরসাইকেল আরোহী। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিকে আটক করে জ্বালিয়ে দেন। ট্রাকমালিকের টাকা এবং ক্ষমতার প্রভাবে কোনো মামলা ছাড়াই ঘটনাটি দুই দিনের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, হেলপার দিয়ে চালানো হচ্ছিল ওই ট্রাক। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরপর দিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়ায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে আরেকটি বালুবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হন তিন নারীসহ চার শ্রমিকের। ওই ঘটনায় চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ।
গত শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাহিনী বটতলা শাহপাড়া এলাকায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় অনিক (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে মিরপুরের পৃথক স্থানে ট্রাকচাপায় মারা যান আরও দুই মোটরসাইকেল আরোহী। সর্বশেষ শনিবার কুষ্টিয়ার উজানগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন দুই ভ্যানচালক।
৮ জানুয়ারি দৌলতপুর থেকে মিরপুর সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার সময় মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্জয়কে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত চালিত একটি নছিমন। এতে তাশরিক গুরুতর আহত হন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চালকের অজ্ঞতার কারণে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে গাড়িটি চাপা দেয়।’
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ কুষ্টিয়ার সভাপতি রফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘এসব নিষিদ্ধ গাড়ির কারণে সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে। বিশেষ করে ডাম্প ট্রাকের কারণে। এ গাড়ি যখন বালু বোঝাই করে সড়কে চলাচল করে তখন এর পাশ দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।’ এগুলো বন্ধে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন টুকু।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কারশেদ আলম বলেন, ‘গত কয়েক দিনে সড়কে যে প্রাণ ঝরেছে, তা শুধু নিষিদ্ধ গাড়ি এবং অদক্ষ চালকের কারণে। এক্ষুনি এসব গাড়ি চলাচল বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক ইদ্রিস আলী জানান, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব ডাম্প টাকের মালিক এবং চালকদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের গতি এবং লোডের বিষয়ে সাবধান করে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরও নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বোঝাই এবং বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্নে এলাকা র সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ১০ চাকার নিষিদ্ধ ডাম্প ট্রাক। সেই সঙ্গে আছে নছিমন, করিমন, পটাংসহ বিভিন্ন নামের নিষিদ্ধ অনেক যানবাহন। এসব গাড়ি বেপরোয়া গতিতে চলার কারণে প্রায় দিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। ৯ থেকে ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭ দিনে ছয়টি পৃথক দুর্ঘটনায় ডাম্প ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে মারা গেছেন নারী ও শিশুসহ ১২ জন।
নিষিদ্ধ যান তো আছেই, সেই সঙ্গে জেলার অধিকাংশ সড়ক-মহাসড়ক বেহাল। বেহাল এসব সড়কে দ্রুতগতিতে চলার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। এসব দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন অসংখ্য মানুষ। এসব নিষিদ্ধ যানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়লেও এগুলো বন্ধে যেমন নেই কোনো উদ্যোগ, তেমনি বেহাল সড়ক সংস্কারের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের নেই কোনো মাথাব্যথা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, খানাখন্দে ভরা জেলার বিভিন্ন সড়কে বালুবাহী নিষিদ্ধ ডাম্প ট্রাকের বেপরোয়া গতিতে চলা তাঁদের চিন্তায় ফেলেছে। বালু না ঢেকে নেওয়ায় এসব ট্রাক চলার সময় বালু উড়ে পথচারীদের চোখেমুখে যায়। অধিকাংশ চালকের নেই বৈধ কাগজপত্র। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এসব গাড়ি চালানো হয় হেলপার দিয়ে। দিনের বেলা শহরের মধ্য দিয়ে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামনে দিয়েই দিনদুপুরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নিষিদ্ধ এসব যান।
জেলা পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, শুধু কুষ্টিয়া-ঈশ্বরী মহাসড়কের কুষ্টিয়া-ভেড়ামারা অংশে এক বছরে দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৪৫ জনের। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ট্রাকচাপায়।
৯ জানুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে কৈপাল এলাকায়ে একটি মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে চাপা দেয় একটি বেপরোয়া গতির ডাম্প ট্রাক। এতে করে ঘটনাস্থলেই মারা যান দুই মোটরসাইকেল আরোহী। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা ট্রাকটিকে আটক করে জ্বালিয়ে দেন। ট্রাকমালিকের টাকা এবং ক্ষমতার প্রভাবে কোনো মামলা ছাড়াই ঘটনাটি দুই দিনের মধ্যে মীমাংসা হয়ে যায়। অভিযোগ আছে, হেলপার দিয়ে চালানো হচ্ছিল ওই ট্রাক। এ ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এরপর দিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ভাদালিয়ায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ সড়কে আরেকটি বালুবাহী ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হন তিন নারীসহ চার শ্রমিকের। ওই ঘটনায় চালক পালিয়ে গেলেও ট্রাকটিকে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ।
গত শুক্রবার বিকেলে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের লাহিনী বটতলা শাহপাড়া এলাকায় ডাম্প ট্রাকের ধাক্কায় অনিক (৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। এর আগে মিরপুরের পৃথক স্থানে ট্রাকচাপায় মারা যান আরও দুই মোটরসাইকেল আরোহী। সর্বশেষ শনিবার কুষ্টিয়ার উজানগ্রামে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত হন দুই ভ্যানচালক।
৮ জানুয়ারি দৌলতপুর থেকে মিরপুর সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার সময় মাছরাঙা টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি তাশরিক সঞ্জয়কে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত চালিত একটি নছিমন। এতে তাশরিক গুরুতর আহত হন। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চালকের অজ্ঞতার কারণে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমাকে গাড়িটি চাপা দেয়।’
এ বিষয়ে সচেতন নাগরিক সমাজ কুষ্টিয়ার সভাপতি রফিকুল ইসলাম টুকু বলেন, ‘এসব নিষিদ্ধ গাড়ির কারণে সড়কে মৃত্যুর মিছিল চলছে। বিশেষ করে ডাম্প ট্রাকের কারণে। এ গাড়ি যখন বালু বোঝাই করে সড়কে চলাচল করে তখন এর পাশ দিয়ে চলাচল করা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়ায়।’ এগুলো বন্ধে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন টুকু।
সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কারশেদ আলম বলেন, ‘গত কয়েক দিনে সড়কে যে প্রাণ ঝরেছে, তা শুধু নিষিদ্ধ গাড়ি এবং অদক্ষ চালকের কারণে। এক্ষুনি এসব গাড়ি চলাচল বন্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
কুষ্টিয়া হাইওয়ে পুলিশের পরিদর্শক ইদ্রিস আলী জানান, হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে এসব ডাম্প টাকের মালিক এবং চালকদের নিয়ে কয়েক দফায় বৈঠক করা হয়েছে। এ সময় তাঁদের গতি এবং লোডের বিষয়ে সাবধান করে দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপরও নিয়মিত নজরদারি করা হচ্ছে। অতিরিক্ত বোঝাই এবং বেপরোয়া গতিতে ট্রাক চালালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে