ফারুক মেহেদী, ঢাকা
ডলার সাশ্রয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের সব মহল খরচের রাশ টেনে ডলারের মজুত বাড়াতে মরিয়া।
সর্বশেষ এনবিআর ১৩৫ ধরনের বিদেশি বিলাসী পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মাধ্যমে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত কিছুদিন ডলার সাশ্রয়ে সরকারের নেওয়া এসব ব্যবস্থার কারণে ডলারের মজুত বাড়তে শুরু করেছে। খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা কিছুটা কমেছে। ফলে দামও কমে আসছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এটা সাময়িক সময়ের জন্য ভালো পদক্ষেপ। তবে এর মাধ্যমে যাতে বিদেশে ভুল বার্তা না যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত কিছুদিন ধরে যেভাবে ডলার খরচ হয়ে যাচ্ছিল, তাতে সামনের দিনগুলোতে রিজার্ভ আরও কমে গেলে অর্থনীতির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কারণ, এরই মধ্যে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য বিপুল যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। সেগুলোর বিল ডলারে পরিশোধ করতে হবে। বিদেশি ঋণের সুদও ডলারে দিতে হবে। এসব কার্যক্রম যাতে স্বাভাবিক থাকে এবং অত্যাবশ্যক নিত্যপণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখা যায়, সে জন্যই সরকার এত সব পদক্ষেপ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়াতে চায়। যার ফলই হচ্ছে একের পর এক কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত। জানা যায়, ডলারের সংশ্লেষ আছে আবার ততটা জরুরি নয়–এমন উন্নয়ন প্রকল্প আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে কোন কোন প্রকল্প স্থগিত করা যায়, তার তালিকা চাওয়া হয়েছে।
১৩৫ ধরনের পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে গতকাল এনবিআর বলেছে, করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন, বিলাসবহুল পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা ও আমদানি কমানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য বিদেশি ফলমূল, ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় ১৩৫ ধরনের পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এসব পণ্যের কিছু কিছুতে আগে কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল না। কিছু কিছুর ওপরে ৩ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা ছিল।
নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা পণ্যের তালিকায় বিদেশি ফল, বিশেষ করে আপেল, আঙুর, আনারস, কলা, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম, তরমুজ, বাদাম ও বাদাম দিয়ে তৈরি মিশ্র খাবার রয়েছে। এ ছাড়া শুকনো বিদেশি ফলও রয়েছে তালিকায়। ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফুলেরও আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। নারীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন কসমেটিকস পণ্য, বিশেষ করে মেকআপ পণ্য, চুলের সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য, টুথপেস্ট, পুরুষের শেভিং ফোম/জেল, আফটার শেভ ও সুগন্ধি রয়েছে। এর বাইরে বিদেশি দামি ফার্নিচারেও ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শুল্ক বিশেষজ্ঞ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি, যেসব পণ্যে আগে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল না বা কম ছিল এখন ওই সব পণ্যেই তা বাড়ানো হয়েছে। আর গাড়ির ক্ষেত্রে এর আগেই বিপুল হারে শুল্ক বসানো আছে। চাইলেই শুল্ক বেশি বাড়ানো যায় না। এখানে বিশ্ব শুল্ক সংস্থাসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক বাণিজ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে ভারসাম্য রক্ষা করে শুল্কনীতি করতে হয়।
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ববাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা আছে। এখন সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে নেতিবাচক বার্তা যায়। ১৩৫ পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘ মেয়াদে ঠিক হবে না। সাময়িক হলে ভালো। গাড়িতে শুল্ক আরোপ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়িতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কড়াকড়ি আরোপ করেছে। গত এক সপ্তাহে গাড়ি আমদানির এলসি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। এভাবে সবকিছু সংকুচিত হলে তা প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জানা যায়, করোনার পর বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। এর ফলে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়েছে। একসঙ্গে বিপুল চাহিদার কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শিপমেন্ট বা পরিবহনের খরচ। ফলে পণ্যের বাড়তি দামের সঙ্গে পরিবহনের অতিরিক্ত খরচ দিয়ে বিদেশি পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আর আমদানির পুরো খরচ মেটাতে হয় মার্কিন ডলারে। ফলে ডলারের রিজার্ভ বা মজুতে টান পড়ে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। এনবিআরের সর্বশেষ জুলাই-এপ্রিলের হালনাগাদ আমদানি তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম পণ্য আমদানি করেও আগের চেয়ে অনেক বেশি ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফলে বিপুল আমদানি খরচ, করোনা-পরবর্তী সাধারণ মানুষের বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশে চিকিৎসা খরচ, শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার খরচসহ নানা কারণে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এভাবে আশঙ্কাজনক হারে ডলার খরচ বেড়ে যাওয়া এবং শ্রীলঙ্কার নাজুক পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশকে মেলানোর প্রেক্ষাপটে সরকার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে। অর্থ মন্ত্রণালয় ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকও তাদের কর্মকর্তাসহ ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণও স্থগিত করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম দফায় কম দরকারি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এলসি মার্জিন ২৫ শতাংশ করে। এরপরের ধাপে গাড়ি, ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিনসহ সব ধরনের বিলাসী পণ্য আমদানিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত এলসি মার্জিন রাখার নির্দেশ দেয় ব্যাংকগুলোকে। সরকার এর পাশাপাশি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার এক নির্দেশনায় বিদেশ থেকে প্রবাসীদের টাকা পাঠানো আরও শিথিল করে। বলা হয়, এখন থেকে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের অর্থ পাঠাতে আর কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না। অর্থাৎ তাঁরা যত ইচ্ছা ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবেন। এর আগে ৫ হাজার ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে হলে তাঁকে ওই অর্থের উৎস জানাতে হতো। এতে নানা হয়রানির আশঙ্কায় রেমিট্যান্স পাঠানো বাধাগ্রস্ত হতো।
বিশ্লেষকেরা জানান, নতুন এ নির্দেশনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। ডলারের মজুতও বাড়বে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরে ডলারের মজুত বাড়াতে বিদেশ থেকে কালোটাকা দেশে আনলে তার জন্য কোনো প্রশ্ন না করা এবং তা সহজ শর্তে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এ ধরনের একটি ঘোষণা আসছে বাজেটে থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
ডলার সাশ্রয়ে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করেছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) সরকারের সব মহল খরচের রাশ টেনে ডলারের মজুত বাড়াতে মরিয়া।
সর্বশেষ এনবিআর ১৩৫ ধরনের বিদেশি বিলাসী পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের মাধ্যমে আমদানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ নিয়েছে। পাশাপাশি আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদনে বিশেষ ছাড় দেওয়া হচ্ছে। গত কিছুদিন ডলার সাশ্রয়ে সরকারের নেওয়া এসব ব্যবস্থার কারণে ডলারের মজুত বাড়তে শুরু করেছে। খোলাবাজারে ডলারের চাহিদা কিছুটা কমেছে। ফলে দামও কমে আসছে। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, এটা সাময়িক সময়ের জন্য ভালো পদক্ষেপ। তবে এর মাধ্যমে যাতে বিদেশে ভুল বার্তা না যায়, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত কিছুদিন ধরে যেভাবে ডলার খরচ হয়ে যাচ্ছিল, তাতে সামনের দিনগুলোতে রিজার্ভ আরও কমে গেলে অর্থনীতির জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। কারণ, এরই মধ্যে অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পের জন্য বিপুল যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও যন্ত্রাংশ আমদানি করতে হয়। সেগুলোর বিল ডলারে পরিশোধ করতে হবে। বিদেশি ঋণের সুদও ডলারে দিতে হবে। এসব কার্যক্রম যাতে স্বাভাবিক থাকে এবং অত্যাবশ্যক নিত্যপণ্য আমদানি স্বাভাবিক রাখা যায়, সে জন্যই সরকার এত সব পদক্ষেপ নিয়ে বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বাড়াতে চায়। যার ফলই হচ্ছে একের পর এক কড়াকড়ি সিদ্ধান্ত। জানা যায়, ডলারের সংশ্লেষ আছে আবার ততটা জরুরি নয়–এমন উন্নয়ন প্রকল্প আপাতত স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসতে পারে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়গুলোকে কোন কোন প্রকল্প স্থগিত করা যায়, তার তালিকা চাওয়া হয়েছে।
১৩৫ ধরনের পণ্য আমদানির ওপর শুল্ক বাড়িয়ে গতকাল এনবিআর বলেছে, করোনা-পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন, বিলাসবহুল পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা ও আমদানি কমানো এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য বিদেশি ফলমূল, ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় ১৩৫ ধরনের পণ্যের আমদানি পর্যায়ে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এসব পণ্যের কিছু কিছুতে আগে কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল না। কিছু কিছুর ওপরে ৩ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা ছিল।
নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা পণ্যের তালিকায় বিদেশি ফল, বিশেষ করে আপেল, আঙুর, আনারস, কলা, অ্যাভোকাডো, পেয়ারা, আম, তরমুজ, বাদাম ও বাদাম দিয়ে তৈরি মিশ্র খাবার রয়েছে। এ ছাড়া শুকনো বিদেশি ফলও রয়েছে তালিকায়। ফলের পাশাপাশি বিদেশি ফুলেরও আমদানিতে ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। নারীদের ব্যবহৃত বিভিন্ন কসমেটিকস পণ্য, বিশেষ করে মেকআপ পণ্য, চুলের সৌন্দর্যবর্ধক পণ্য, টুথপেস্ট, পুরুষের শেভিং ফোম/জেল, আফটার শেভ ও সুগন্ধি রয়েছে। এর বাইরে বিদেশি দামি ফার্নিচারেও ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে শুল্ক বিশেষজ্ঞ ও এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দেখছি, যেসব পণ্যে আগে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল না বা কম ছিল এখন ওই সব পণ্যেই তা বাড়ানো হয়েছে। আর গাড়ির ক্ষেত্রে এর আগেই বিপুল হারে শুল্ক বসানো আছে। চাইলেই শুল্ক বেশি বাড়ানো যায় না। এখানে বিশ্ব শুল্ক সংস্থাসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক বাণিজ্য সংস্থার গাইডলাইন মেনে ভারসাম্য রক্ষা করে শুল্কনীতি করতে হয়।
সরকারের পদক্ষেপ প্রসঙ্গে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার সাবেক সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন বলেন, বাংলাদেশ সম্পর্কে বিশ্ববাজারে বিনিয়োগকারীদের কাছে ইতিবাচক বার্তা আছে। এখন সরকার এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে নেতিবাচক বার্তা যায়। ১৩৫ পণ্যে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা দীর্ঘ মেয়াদে ঠিক হবে না। সাময়িক হলে ভালো। গাড়িতে শুল্ক আরোপ না করার বিষয়ে তিনি বলেন, গাড়িতে এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক কড়াকড়ি আরোপ করেছে। গত এক সপ্তাহে গাড়ি আমদানির এলসি প্রায় শূন্যে নেমে এসেছে। এভাবে সবকিছু সংকুচিত হলে তা প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
জানা যায়, করোনার পর বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়েছে। এর ফলে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়েছে। একসঙ্গে বিপুল চাহিদার কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে। এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ে শিপমেন্ট বা পরিবহনের খরচ। ফলে পণ্যের বাড়তি দামের সঙ্গে পরিবহনের অতিরিক্ত খরচ দিয়ে বিদেশি পণ্য আমদানি করতে হচ্ছে। আর আমদানির পুরো খরচ মেটাতে হয় মার্কিন ডলারে। ফলে ডলারের রিজার্ভ বা মজুতে টান পড়ে।
চলতি অর্থবছরের ৯ মাসে আমদানি খরচ বেড়ে গেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ। এনবিআরের সর্বশেষ জুলাই-এপ্রিলের হালনাগাদ আমদানি তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় কম পণ্য আমদানি করেও আগের চেয়ে অনেক বেশি ডলার খরচ করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ফলে বিপুল আমদানি খরচ, করোনা-পরবর্তী সাধারণ মানুষের বিদেশ ভ্রমণ, বিদেশে চিকিৎসা খরচ, শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার খরচসহ নানা কারণে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।
এভাবে আশঙ্কাজনক হারে ডলার খরচ বেড়ে যাওয়া এবং শ্রীলঙ্কার নাজুক পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশকে মেলানোর প্রেক্ষাপটে সরকার আগাম সতর্কতা অবলম্বন করে। অর্থ মন্ত্রণালয় ত্বরিত সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ বাতিল করে। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকও তাদের কর্মকর্তাসহ ব্যাংকারদের বিদেশ ভ্রমণও স্থগিত করে। পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংক প্রথম দফায় কম দরকারি পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করতে এলসি মার্জিন ২৫ শতাংশ করে। এরপরের ধাপে গাড়ি, ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াশিং মেশিনসহ সব ধরনের বিলাসী পণ্য আমদানিতে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত এলসি মার্জিন রাখার নির্দেশ দেয় ব্যাংকগুলোকে। সরকার এর পাশাপাশি আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংক গত সোমবার এক নির্দেশনায় বিদেশ থেকে প্রবাসীদের টাকা পাঠানো আরও শিথিল করে। বলা হয়, এখন থেকে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের অর্থ পাঠাতে আর কোনো প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে না। অর্থাৎ তাঁরা যত ইচ্ছা ডলার বা বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাতে পারবেন। এর আগে ৫ হাজার ডলারের বেশি রেমিট্যান্স পাঠাতে হলে তাঁকে ওই অর্থের উৎস জানাতে হতো। এতে নানা হয়রানির আশঙ্কায় রেমিট্যান্স পাঠানো বাধাগ্রস্ত হতো।
বিশ্লেষকেরা জানান, নতুন এ নির্দেশনায় রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে। ডলারের মজুতও বাড়বে। এনবিআর সূত্রে জানা যায়, আগামী অর্থবছরে ডলারের মজুত বাড়াতে বিদেশ থেকে কালোটাকা দেশে আনলে তার জন্য কোনো প্রশ্ন না করা এবং তা সহজ শর্তে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এ ধরনের একটি ঘোষণা আসছে বাজেটে থাকতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে