জুয়েল আহমদ, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়কের সংস্কারকাজ দীর্ঘদিন ধরে শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে তিন উপজেলার বাসিন্দারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় চলছে এ সংস্কারকাজ। এদিকে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি তাঁদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার ভবেরবাজার-নয়াবন্দর-গোয়ালাবাজার সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের সংস্কারকাজ সাত বছরেও শেষ হয়নি। ফলে সিলেটের ওসমানীনগর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এ দুই উপজেলার লাখো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন সংস্কারকাজ বন্ধ থাকার পর আবারও কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনো ধীরগতিতে চলছে সংস্কারকাজ। একইভাবে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের সংস্কারকাজ চলছে পাঁচ বছর ধরে। এতে জগন্নাথপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের কাজ শুরু হয়। সুনামগঞ্জের সজিব রঞ্জন রায়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু অংশে কাজ করে বন্ধ করে দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ বাতিল করলে ঠিকাদার আইনের আশ্রয় নেন। ২০১৮ সালে আইনি লড়াই শেষ হলে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দরপত্রের মাধ্যমে সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা কনস্ট্রাকশন। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও আংশিক কাজ করে চলে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হলে আবার দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দে কাজ পায় টেক অ্যান্ড পে জেপি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছে ধীরগতিতে।
অন্যদিকে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের ২৬ কিলোমিটার অংশে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ২০১৭ সালে একযোগে কাজ শুরু হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা অংশের ১৩ কিলোমিটারের কাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়। তবে বিশ্বনাথ অংশের কাজ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি। শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে কাজ চালাচ্ছে। ফলে জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ দুই উপজেলার লাখো মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার দুই উপজেলার সংযুক্ত সড়ক।
জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম বলেন, ‘একাধিকবার সড়কগুলো সংস্কারের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেলেও কাজের গতি বাড়েনি।’ নিজামুল করিম আরও বলেন, ‘গত ছয়-সাত বছরে ওই তিন সড়কে আমাদের কমপক্ষে শতাধিক গাড়ি নষ্ট হয়েছে। অনেক মালিক ও শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার শ্রমিক নেতা ফজর আলী জানান, জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের বিশ্বনাথ অংশে ধীরগতিতে কাজ চলছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন, সড়ক দুটি উপজেলাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের সংস্কারকাজ চলছে ধীরগতিতে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এ দুটি সড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে দুর্ভোগের কথা শুনেছি। চেষ্টা করছি ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কাজ শেষ করতে।’
বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সাইদ বলেন, ‘সড়কের অধিকাংশ জায়গার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে চেষ্টা চলছে।’
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সড়কের সংস্কারকাজ দীর্ঘদিন ধরে শেষ না হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে তিন উপজেলার বাসিন্দারা। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় চলছে এ সংস্কারকাজ। এদিকে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে সড়কের কাজ শেষ হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। সড়কের সংস্কারকাজ দ্রুত শেষ করার দাবি তাঁদের।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার ভবেরবাজার-নয়াবন্দর-গোয়ালাবাজার সড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের সংস্কারকাজ সাত বছরেও শেষ হয়নি। ফলে সিলেটের ওসমানীনগর ও সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর এ দুই উপজেলার লাখো মানুষকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এর মধ্যে দীর্ঘদিন সংস্কারকাজ বন্ধ থাকার পর আবারও কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনো ধীরগতিতে চলছে সংস্কারকাজ। একইভাবে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের সংস্কারকাজ চলছে পাঁচ বছর ধরে। এতে জগন্নাথপুর ও সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলাবাসী বিপাকে পড়েছেন।
এলাকাবাসী ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালে সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে জগন্নাথপুর ও ওসমানীনগর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ১২ কিলোমিটার অংশের কাজ শুরু হয়। সুনামগঞ্জের সজিব রঞ্জন রায়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কিছু অংশে কাজ করে বন্ধ করে দেয়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ না করায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কাজ বাতিল করলে ঠিকাদার আইনের আশ্রয় নেন। ২০১৮ সালে আইনি লড়াই শেষ হলে ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে দ্বিতীয় দরপত্রের মাধ্যমে সাড়ে চার কোটি টাকা বরাদ্দে কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পদ্মা কনস্ট্রাকশন। ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানও আংশিক কাজ করে চলে যায়। নির্ধারিত সময় শেষ হলে আবার দরপত্র আহ্বান করা হলে ৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বরাদ্দে কাজ পায় টেক অ্যান্ড পে জেপি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে ওই প্রতিষ্ঠানের কাজ চলছে ধীরগতিতে।
অন্যদিকে জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের ২৬ কিলোমিটার অংশে ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দে ২০১৭ সালে একযোগে কাজ শুরু হয়। জগন্নাথপুর উপজেলা অংশের ১৩ কিলোমিটারের কাজ ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়। তবে বিশ্বনাথ অংশের কাজ নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি। শাওন এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ধীরগতিতে কাজ চালাচ্ছে। ফলে জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ দুই উপজেলার লাখো মানুষকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সড়কটি বিভাগীয় শহর সিলেট ও রাজধানী ঢাকায় যাওয়ার দুই উপজেলার সংযুক্ত সড়ক।
জগন্নাথপুর মিনিবাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নিজামুল করিম বলেন, ‘একাধিকবার সড়কগুলো সংস্কারের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘট ও মানববন্ধন করেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস পেলেও কাজের গতি বাড়েনি।’ নিজামুল করিম আরও বলেন, ‘গত ছয়-সাত বছরে ওই তিন সড়কে আমাদের কমপক্ষে শতাধিক গাড়ি নষ্ট হয়েছে। অনেক মালিক ও শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার শ্রমিক নেতা ফজর আলী জানান, জগন্নাথপুর-বিশ্বনাথ-রশিদপুর সড়কের বিশ্বনাথ অংশে ধীরগতিতে কাজ চলছে। এতে দুর্ভোগ বেড়েছে দ্বিগুণ।
জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব বলেন, সড়ক দুটি উপজেলাবাসীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সড়কের সংস্কারকাজ চলছে ধীরগতিতে। এর মধ্যে বৃষ্টি হওয়ায় এলাকাবাসীকে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে।
জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন বলেন, ‘আমি এ উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এ দুটি সড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে দুর্ভোগের কথা শুনেছি। চেষ্টা করছি ঠিকাদারদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত কাজ শেষ করতে।’
বিশ্বনাথ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবু সাইদ বলেন, ‘সড়কের অধিকাংশ জায়গার কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজ দ্রুত শেষ করতে চেষ্টা চলছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে