মীরা মেহেরুন
একদা সৌরজগতে পৃথিবী নামের একটি গ্ৰহ ছিল। সেখানে আনুমানিক সাত শ একাত্তর কোটি ছেচল্লিশ লাখের কমবেশি জনসংখ্যার বসতি ছিল। তারা এই গ্ৰহে কীভাবে এসেছিল, কেন এসেছিল (সৃষ্টিরহস্য), তা নিয়ে মতভেদের কোনো শেষ ছিল না এবং এই মতভেদকে কেন্দ্র করে গ্ৰুপভিত্তিক মারামারি-কাটাকাটি হতো। যখন তারা অসভ্য ছিল, তখন বর্শা-তির-ধনুক-বল্লম-পাথর-তরবারি এসব ব্যবহার করে একে অপরকে হত্যা করত। পরবর্তী সময়ে পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংসলীলায় মত্ত ছিল। তারা মূলত অযথাই কলহপ্রবণ, লোভী, দাম্ভিক, স্বার্থপরতাসহ বহু দোষে দুষ্ট ছিল।
মানব জাতির পাশাপাশি সেখানে নানা অনুষঙ্গও ছিল, যা পশুপাখি ও প্রকৃতি নামে পরিচিত। একটি অসভ্য প্রাণী হিসেবে পৃথিবীতে তারা আবির্ভূত হয় এবং প্রকৃতি থেকে নানা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত ও সভ্য হলেও শেষ পর্যন্ত তারা অসভ্যই থেকে গেছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে একদল উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ, যারা মানবজাতির কল্যাণে তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ক্রমান্বয়ে সভ্যতার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে।
এখানে দুই ধরনের দুষ্ট গ্ৰুপ ছিল—১. যুদ্ধবাজ (জ্ঞান-বিজ্ঞানকে স্বজাতি ধ্বংসে ব্যবহারকারী), ২. কল্পনাবাজ (যাদের জ্ঞানের স্তর পশুপাখির তুলনায় নিম্নস্তরের)।
তারা অস্থির ও অসহনশীল জাতি। তাদের মধ্যে কল্পনাবাজেরা সৃষ্টির রহস্য নিয়ে নানা রকমের কাল্পনিক চিন্তা প্রকাশ করে কলহ করত এবং অসংলগ্ন কল্পনাকে পুঁজি করে পৃথিবীর সম্পদ আহরণে মরণপণ মরিয়া হয়ে ওঠে। অপরপক্ষে যুদ্ধবাজেরা যুদ্ধ করে পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরা লড়াইয়ে মত্ত ছিল। এই দুটো গ্রুপ এতটাই নির্বোধ যে তারা এখানে চিরস্থায়ী নয়, তা ভুলে গিয়েছিল। ক্ষমতা এবং সম্পদের লালসায় এভাবে লড়াই করতে করতে একসময় তারা বিলুপ্ত হয়।
আগ্ৰাসী এই জাতি একে অপরকে ধ্বংস করতে করতে যখন প্রায় নিঃশেষ; তবু তাদের রক্ষা করতে আসে না সৌরজগতের কোনো শক্তি।না কল্পনা শক্তি, না বৈজ্ঞানিক শক্তি। তারা বিলুপ্ত হলো পারমাণবিক যুদ্ধে, জীবাণু যুদ্ধে আর সঙ্গে যোগ হলো জীবন রক্ষাকারী খাদ্য এবং ওষুধে ভেজাল।
পৃথিবী নামের গ্ৰহে যেভাবে, যে উদ্দেশ্যে তারা আসুক না কেন, সম্পূর্ণ আয়োজনটাই ছিল নিরর্থক; তা প্রমাণিত হয়েছে তাদের কর্ম এবং কর্মফল দ্বারা।
হয়তো আগামী কোনো একসময়ে অন্য কোনো গ্ৰহের অতি বুদ্ধিমান প্রাণীরা পৃথিবীর মানব সম্প্রদায় নিয়ে এ রকম গবেষণা করবে—পৃথিবীতে মানুষের তৈরি এই অবকাঠামো, বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, মানুষের কল্যাণে-অকল্যাণে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যবহার, তাদের ফসিল ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংগ্ৰহ করে এ ধরনের গবেষণাভিত্তিক নতুন কোনো উন্নত প্রাণী সৃষ্টি করবে, যারা তাদের মস্তিষ্কের অপব্যবহার করে আত্মবিধ্বংসী প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকবে।
লেখক: মানবাধিকারকর্মী
একদা সৌরজগতে পৃথিবী নামের একটি গ্ৰহ ছিল। সেখানে আনুমানিক সাত শ একাত্তর কোটি ছেচল্লিশ লাখের কমবেশি জনসংখ্যার বসতি ছিল। তারা এই গ্ৰহে কীভাবে এসেছিল, কেন এসেছিল (সৃষ্টিরহস্য), তা নিয়ে মতভেদের কোনো শেষ ছিল না এবং এই মতভেদকে কেন্দ্র করে গ্ৰুপভিত্তিক মারামারি-কাটাকাটি হতো। যখন তারা অসভ্য ছিল, তখন বর্শা-তির-ধনুক-বল্লম-পাথর-তরবারি এসব ব্যবহার করে একে অপরকে হত্যা করত। পরবর্তী সময়ে পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করে ধ্বংসলীলায় মত্ত ছিল। তারা মূলত অযথাই কলহপ্রবণ, লোভী, দাম্ভিক, স্বার্থপরতাসহ বহু দোষে দুষ্ট ছিল।
মানব জাতির পাশাপাশি সেখানে নানা অনুষঙ্গও ছিল, যা পশুপাখি ও প্রকৃতি নামে পরিচিত। একটি অসভ্য প্রাণী হিসেবে পৃথিবীতে তারা আবির্ভূত হয় এবং প্রকৃতি থেকে নানা জ্ঞান-বিজ্ঞানে উন্নত ও সভ্য হলেও শেষ পর্যন্ত তারা অসভ্যই থেকে গেছে। প্রাথমিকভাবে সেখানে একদল উন্নত বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন মানুষ, যারা মানবজাতির কল্যাণে তাদের জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ক্রমান্বয়ে সভ্যতার বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে।
এখানে দুই ধরনের দুষ্ট গ্ৰুপ ছিল—১. যুদ্ধবাজ (জ্ঞান-বিজ্ঞানকে স্বজাতি ধ্বংসে ব্যবহারকারী), ২. কল্পনাবাজ (যাদের জ্ঞানের স্তর পশুপাখির তুলনায় নিম্নস্তরের)।
তারা অস্থির ও অসহনশীল জাতি। তাদের মধ্যে কল্পনাবাজেরা সৃষ্টির রহস্য নিয়ে নানা রকমের কাল্পনিক চিন্তা প্রকাশ করে কলহ করত এবং অসংলগ্ন কল্পনাকে পুঁজি করে পৃথিবীর সম্পদ আহরণে মরণপণ মরিয়া হয়ে ওঠে। অপরপক্ষে যুদ্ধবাজেরা যুদ্ধ করে পৃথিবীর যাবতীয় সম্পদ কুক্ষিগত করার জন্য নিজেদের বিরুদ্ধে নিজেরা লড়াইয়ে মত্ত ছিল। এই দুটো গ্রুপ এতটাই নির্বোধ যে তারা এখানে চিরস্থায়ী নয়, তা ভুলে গিয়েছিল। ক্ষমতা এবং সম্পদের লালসায় এভাবে লড়াই করতে করতে একসময় তারা বিলুপ্ত হয়।
আগ্ৰাসী এই জাতি একে অপরকে ধ্বংস করতে করতে যখন প্রায় নিঃশেষ; তবু তাদের রক্ষা করতে আসে না সৌরজগতের কোনো শক্তি।না কল্পনা শক্তি, না বৈজ্ঞানিক শক্তি। তারা বিলুপ্ত হলো পারমাণবিক যুদ্ধে, জীবাণু যুদ্ধে আর সঙ্গে যোগ হলো জীবন রক্ষাকারী খাদ্য এবং ওষুধে ভেজাল।
পৃথিবী নামের গ্ৰহে যেভাবে, যে উদ্দেশ্যে তারা আসুক না কেন, সম্পূর্ণ আয়োজনটাই ছিল নিরর্থক; তা প্রমাণিত হয়েছে তাদের কর্ম এবং কর্মফল দ্বারা।
হয়তো আগামী কোনো একসময়ে অন্য কোনো গ্ৰহের অতি বুদ্ধিমান প্রাণীরা পৃথিবীর মানব সম্প্রদায় নিয়ে এ রকম গবেষণা করবে—পৃথিবীতে মানুষের তৈরি এই অবকাঠামো, বৈজ্ঞানিক গবেষণাগার, মানুষের কল্যাণে-অকল্যাণে জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যবহার, তাদের ফসিল ও ব্যবহৃত জিনিসপত্র সংগ্ৰহ করে এ ধরনের গবেষণাভিত্তিক নতুন কোনো উন্নত প্রাণী সৃষ্টি করবে, যারা তাদের মস্তিষ্কের অপব্যবহার করে আত্মবিধ্বংসী প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকবে।
লেখক: মানবাধিকারকর্মী
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১ দিন আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
১ দিন আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে