নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়নি বরিশাল আ.লীগে

খান রফিক, বরিশাল
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ১১: ৫০

সম্মেলন হয়েছে ১০ বছর আগে। এর মধ্যে চারটি জাতীয় সম্মেলন শেষ হচ্ছে। কিন্তু বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়নি আজও। যদিও বিভাগের অপর পাঁচ জেলায় ঘটা করে সম্মেলন হয়েছে।

এদিকে বরিশাল নগর আওয়ামী লীগ মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও সেখানে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্ব গঠনের কোনো উদ্যোগ নেই।

বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এ দুই কমিটির নিয়ন্ত্রক আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি এবং ছেলে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি না হওয়ায় বরিশালে আওয়ামী লীগে চাপা অসন্তোষ বিরাজ করছে।

২০১২ সালে আওয়ামী লীগের ১৯তম জাতীয় সম্মেলনের দুই দিন আগে ২৭ ডিসেম্বর বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলন হয়। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ২২তম সম্মেলন হবে কাল শনিবার। কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগে তিন বছর মেয়াদ মানার নিয়ম থাকলেও ব্যত্যয় হচ্ছে বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগে। ১০ বছর আগে সম্পন্ন হওয়া সম্মেলন দিয়েই তারা কেন্দ্রীয় তিনটি সম্মেলনের বৈতরণি পার করল।

একই সময়ের মধ্যে ২০১৯ সালের ৮ ডিসেম্বর মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। তার আগে নগরের ৩০টি ওয়ার্ডে পৃথক সম্মেলন করে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের নাম ঘোষণা করা হয়। এর পর থেকে শুধু সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দিয়েই ৩০টি ওয়ার্ড কমিটির তিন বছরের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, বরিশালের আওয়ামী লীগ হচ্ছে আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ পরিবার-নির্ভর। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এমপি এবং তাঁর বড় ছেলে সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তাঁদের ইশারায়ই এখানকার দল চলে।

এদিকে জাতীয় সম্মেলনের এক দিন আগে গতকাল বরিশালে আকস্মিকই মহড়া দিয়েছেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপির সমর্থকেরা। তাঁরা জাতীয় সম্মেলন সফল করার লক্ষ্যে শোভাযাত্রা করেন। প্রতিমন্ত্রী সমর্থক যুবলীগ নেতা মাহমুদুর রহমান খান মামুন জাতীয় সম্মেলনকে সামনে রেখে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এমপির হাতকে আরও শক্তিশালী করার মাধ্যমে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহতাব হোসেন সুরুজ বলেন, সদরের তিনটি ইউনিয়নের কমিটি হয়নি। তাই সদরের সম্মেলন হয়নি। এই তিনটি করে সদরের সম্মেলন শেষে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হবে। ১০ বছর পেরোলেও কেন জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়নি এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছে ২০১৬ সালে।’ তিনি জানান, কেন প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা শোডাউন দিয়েছেন তাঁরাই বলতে পারবেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস জানান, সদর উপজেলার সম্মেলনই শেষ করতে পারছেন না। চেষ্টা করছেন সদর শেষ করে জেলার সম্মেলন করার।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ বাবু জানান, ৮ ডিসেম্বর তাঁদের কমিটির তিন বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। প্যান্ডামিকের কারণে ৩০টি ওয়ার্ড কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা যায়নি। পরবর্তীকালে তাঁরা সম্মেলন করে নেবেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আনোয়ার হোসাইন বলেন, নানা সীমাবদ্ধতার কারণে ৩০টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয়নি। অচিরেই তা করা হবে। তিনি দাবি করেন ২০২২ সালে তাঁদের কমিটি অনুমোদন হয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

যানজটে গুলি করে ফেঁসে গেলেন জাপার সাবেক এমপি, অস্ত্রসহ আটক

শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরীমনি, কী ঘটেছিল সেখানে

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত