জাহীদ রেজা নূর
গতকাল ভাসিলি শুকশিনের ৯৫তম জন্মদিন ছিল। সোভিয়েত লেখক তিনি। আমার এই লেখা ২৫ জুলাই ছাপা হতে পারত, কিন্তু মন্থর ইন্টারনেটের কারণে তাঁর ছবি পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। অথচ আমার মন চাইছিল, ছবিসহ তাঁকে নিয়ে একটা লেখা ছাপা হোক।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ল্যাপটপ খোলার পরই দেখলাম, ইন্টারনেটে ঢুকতে পারছি। ফলে লেখার আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যাচ্ছে।
জীবনের ১০টি বছর সোভিয়েত ইউনিয়নে (পরবর্তীকালে রাশিয়া) কাটানোর সময় শুকশিন নামটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত হয়েছিলাম। একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, একজন অভিনয়শিল্পী, একজন চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি বহুল পরিচিত হলেও আমি তাঁকে মূলত পেয়েছিলাম একজন গল্পকার হিসেবে। লাইব্রেরি থেকে একের পর এক শুকশিনের গল্পের বই এনে পড়েছি। মূলত সোভিয়েত গ্রামীণ জীবনের সারল্য ও জটিলতা যেভাবে উঠে এসেছিল তাঁর গল্পে, তাতে আমি সোভিয়েত ইউনিয়নকে যেন বেশি করে চিনতে পেরেছি।
সোভিয়েত ইউনিয়নে আমাদের পড়াশোনার সময়টা পিরিস্ত্রোইকা আর গ্লাসনোস্তের স্পন্দনে প্রকম্পিত হচ্ছিল। সোভিয়েত মানুষেরা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছিল। কমিউনিস্ট পার্টির ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমালোচনার সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। রাজনীতির মাঠে গরবাচেভ আর ইয়েলৎসিনের দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হচ্ছিল। তখন একজন খ্যাতিমান সোভিয়েত কবি কনস্তান্তিন সিমোনোভকে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক, ‘আপনি কী নিয়ে লিখছেন?’
সিমোনোভ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘পার্টি অফিসে যাচ্ছি। আমাকে যা লিখতে নির্দেশ দেওয়া হবে, তা-ই লিখব।’
এই উত্তরে আমরা খুব অবাক হয়েছিলাম। সাহিত্য পড়া মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারছিলাম না, কীভাবে একজন সাহিত্যিক কারও নির্দেশে লেখালেখি করবেন! তাহলে সৃজনশীলতা কোথায়? এ কথা মনে রেখেই ভাসিলি শুকশিনের কথা বলব।
সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদ নামে একটি আজব সাংস্কৃতিক দর্শন তৈরি করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই দর্শনের গূঢ় আলোচনা এখানে নয়। শুধু বলে রাখি, সর্বহারাকে জয়ী দেখানোতেই সাহিত্যের সাফল্য ফুটে উঠবে বলে নির্দেশ দেওয়া হতো পার্টি থেকে। কমসোমল সদস্য, সর্বহারা শ্রমিকেরাই হবে শিল্পজগতের নায়ক।
মাত্র ৪৫ বছর আয়ু পাওয়া ভাসিলি শুকশিনকে খুবই ভয় পেতেন পার্টির আমলারা। তিনি পার্টির দেখানো সরল সমাধানের পথ ধরে চলতেন না। তর্ক করতেন। এবং খুবই অবাক কাণ্ড, তাঁর সঙ্গে এই আমলারা পেরে উঠতেন না। সেই বিশাল কাহিনি তো এই স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তাই এখানে শুধু দুটো বিষয়ে কথা বলে ভাসিলি শুকশিনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করব।
সাহসী ছিলেন শুকশিন। লেখালেখিতেও ছিলেন ঘাড়ত্যাড়া। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি পার্টিকে সাহায্য করতে চাই, পার্টির কাছে সত্যটাই তুলে ধরতে চাই। একজন শিল্পী হিসেবে, একজন কমিউনিস্ট হিসেবে আমি আমার দেশের জনগণকে মিথ্যে সবক দিয়ে বলতে চাই না যে আমাদের জীবন খুব সুখে কাটছে। সত্য কঠিন হয়। আমি যদি সত্য লুকাতে চাই, তাহলে তা দিয়ে পার্টিকে ডোবানো হবে। যেখানে জনগণ ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে, এক হয়ে তাদের শক্তি সঞ্চয় করবে, নিজেদের দুর্বলতাকে জয় করবে, সেখানে যদি তারা আমার মিথ্যেকথনকে বিশ্বাস করে ফেলে, তাহলে তা খুবই বিপদের কথা।’
রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে যায়, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালো বাসিলাম।’ শুকশিন কঠিন বাস্তবকে এড়িয়ে যেতে মানা করেছেন। মিথ্যে সবক দিয়ে সত্যকে আড়াল করতে মানা করেছেন।
ভাসিলি শুকশিন নির্মিত একটি সিনেমার নাম ‘কালিনা ক্রাসনায়া’। এই সিনেমার নায়ক একজন চোর। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজের অপরাধীদের নায়ক করে সিনেমা নির্মিত হবে—এ কথা কস্মিনকালেও কেউ ভাবতে পারেনি। সে সময় তো সিনেমার নায়ক হলো গ্রামের যৌথ খামারের অগ্রগামী তরুণ, কমসোমলের নেতা কিংবা শ্রমিক। এর মধ্যে সিনেমায় নায়ক চোরকে আমদানি করলেন শুকশিন! ভাবা যায়!
পার্টির আমলাতন্ত্র একযোগে চিৎকার করে উঠল, ‘এ হতে পারে না।’ শুকশিন বললেন, ‘আমি একজন চোরকে নায়ক করছি এ কারণে যে, সে তার ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে আসে সামাজিক জীবনে। এখানে চোর নায়ক নয়, নায়ক হলো নৈতিকতা।’
কিন্তু কে শোনে কার কথা! এই ছবি সিনেমা হলে মুক্তি না দেওয়ার পক্ষে নোট দিল পার্টির সংস্কৃতি বিভাগের আমলাতন্ত্র। তখন পার্টির একচ্ছত্র অধিপতি লিওনিদ ব্রেঝনেভকে দেখানো হলো ছবিটি। তাঁর অবশ্য পছন্দ হলো। পার্টির সেক্রেটারি এই ছবি পছন্দ করেছেন, তখন কি আর আমলাতন্ত্র মুখ খুলতে পারে? সিনেমা হলে দর্শক গিয়ে ছবিটা দেখল।
কী হতো, যদি ব্রেঝনেভ বলতেন, ‘এ তো সোভিয়েত-বিরোধী প্রচারণা। ধরো শুকশিনকে!’ তাহলে শুকশিনও হারিয়ে যেতেন বিস্মৃতির অতলে, যেমন বহু সোভিয়েত সাহিত্যিককে নির্বাসন দিয়ে কিংবা কাজ করতে না দিয়ে ‘মৃত সৈনিক’ করে দেওয়া হয়েছিল!
টীকা: তবে সিনেমাটি ১৯৭৪ সালে যখন মুক্তি পায়, সাড়ে বাষট্টি মিলিয়ন সোভিয়েত দর্শক যখন ছবিটি প্রাণভরে উপভোগ করে, তখন কিন্তু ভাসিলি শুকশিন আর বেঁচে নেই। সে বছরের ২ অক্টোবর তিনি মারা যান।
লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
গতকাল ভাসিলি শুকশিনের ৯৫তম জন্মদিন ছিল। সোভিয়েত লেখক তিনি। আমার এই লেখা ২৫ জুলাই ছাপা হতে পারত, কিন্তু মন্থর ইন্টারনেটের কারণে তাঁর ছবি পাওয়া অসম্ভব হয়ে উঠেছিল। অথচ আমার মন চাইছিল, ছবিসহ তাঁকে নিয়ে একটা লেখা ছাপা হোক।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ল্যাপটপ খোলার পরই দেখলাম, ইন্টারনেটে ঢুকতে পারছি। ফলে লেখার আগ্রহকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যাচ্ছে।
জীবনের ১০টি বছর সোভিয়েত ইউনিয়নে (পরবর্তীকালে রাশিয়া) কাটানোর সময় শুকশিন নামটির সঙ্গে নিবিড়ভাবে পরিচিত হয়েছিলাম। একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, একজন অভিনয়শিল্পী, একজন চিত্রনাট্যকার হিসেবে তিনি বহুল পরিচিত হলেও আমি তাঁকে মূলত পেয়েছিলাম একজন গল্পকার হিসেবে। লাইব্রেরি থেকে একের পর এক শুকশিনের গল্পের বই এনে পড়েছি। মূলত সোভিয়েত গ্রামীণ জীবনের সারল্য ও জটিলতা যেভাবে উঠে এসেছিল তাঁর গল্পে, তাতে আমি সোভিয়েত ইউনিয়নকে যেন বেশি করে চিনতে পেরেছি।
সোভিয়েত ইউনিয়নে আমাদের পড়াশোনার সময়টা পিরিস্ত্রোইকা আর গ্লাসনোস্তের স্পন্দনে প্রকম্পিত হচ্ছিল। সোভিয়েত মানুষেরা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছিল। কমিউনিস্ট পার্টির ব্যাপারে প্রকাশ্যে সমালোচনার সুযোগ তৈরি হচ্ছিল। রাজনীতির মাঠে গরবাচেভ আর ইয়েলৎসিনের দ্বন্দ্ব দৃশ্যমান হচ্ছিল। তখন একজন খ্যাতিমান সোভিয়েত কবি কনস্তান্তিন সিমোনোভকে প্রশ্ন করেছিলেন এক সাংবাদিক, ‘আপনি কী নিয়ে লিখছেন?’
সিমোনোভ উত্তর দিয়েছিলেন, ‘পার্টি অফিসে যাচ্ছি। আমাকে যা লিখতে নির্দেশ দেওয়া হবে, তা-ই লিখব।’
এই উত্তরে আমরা খুব অবাক হয়েছিলাম। সাহিত্য পড়া মনকে কিছুতেই বোঝাতে পারছিলাম না, কীভাবে একজন সাহিত্যিক কারও নির্দেশে লেখালেখি করবেন! তাহলে সৃজনশীলতা কোথায়? এ কথা মনে রেখেই ভাসিলি শুকশিনের কথা বলব।
সমাজতান্ত্রিক বাস্তববাদ নামে একটি আজব সাংস্কৃতিক দর্শন তৈরি করেছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। সেই দর্শনের গূঢ় আলোচনা এখানে নয়। শুধু বলে রাখি, সর্বহারাকে জয়ী দেখানোতেই সাহিত্যের সাফল্য ফুটে উঠবে বলে নির্দেশ দেওয়া হতো পার্টি থেকে। কমসোমল সদস্য, সর্বহারা শ্রমিকেরাই হবে শিল্পজগতের নায়ক।
মাত্র ৪৫ বছর আয়ু পাওয়া ভাসিলি শুকশিনকে খুবই ভয় পেতেন পার্টির আমলারা। তিনি পার্টির দেখানো সরল সমাধানের পথ ধরে চলতেন না। তর্ক করতেন। এবং খুবই অবাক কাণ্ড, তাঁর সঙ্গে এই আমলারা পেরে উঠতেন না। সেই বিশাল কাহিনি তো এই স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা সম্ভব নয়। তাই এখানে শুধু দুটো বিষয়ে কথা বলে ভাসিলি শুকশিনের প্রতি আমার শ্রদ্ধা নিবেদন করব।
সাহসী ছিলেন শুকশিন। লেখালেখিতেও ছিলেন ঘাড়ত্যাড়া। তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি পার্টিকে সাহায্য করতে চাই, পার্টির কাছে সত্যটাই তুলে ধরতে চাই। একজন শিল্পী হিসেবে, একজন কমিউনিস্ট হিসেবে আমি আমার দেশের জনগণকে মিথ্যে সবক দিয়ে বলতে চাই না যে আমাদের জীবন খুব সুখে কাটছে। সত্য কঠিন হয়। আমি যদি সত্য লুকাতে চাই, তাহলে তা দিয়ে পার্টিকে ডোবানো হবে। যেখানে জনগণ ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে, এক হয়ে তাদের শক্তি সঞ্চয় করবে, নিজেদের দুর্বলতাকে জয় করবে, সেখানে যদি তারা আমার মিথ্যেকথনকে বিশ্বাস করে ফেলে, তাহলে তা খুবই বিপদের কথা।’
রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পড়ে যায়, ‘সত্য যে কঠিন, কঠিনেরে ভালো বাসিলাম।’ শুকশিন কঠিন বাস্তবকে এড়িয়ে যেতে মানা করেছেন। মিথ্যে সবক দিয়ে সত্যকে আড়াল করতে মানা করেছেন।
ভাসিলি শুকশিন নির্মিত একটি সিনেমার নাম ‘কালিনা ক্রাসনায়া’। এই সিনেমার নায়ক একজন চোর। সোভিয়েত ইউনিয়নে সমাজের অপরাধীদের নায়ক করে সিনেমা নির্মিত হবে—এ কথা কস্মিনকালেও কেউ ভাবতে পারেনি। সে সময় তো সিনেমার নায়ক হলো গ্রামের যৌথ খামারের অগ্রগামী তরুণ, কমসোমলের নেতা কিংবা শ্রমিক। এর মধ্যে সিনেমায় নায়ক চোরকে আমদানি করলেন শুকশিন! ভাবা যায়!
পার্টির আমলাতন্ত্র একযোগে চিৎকার করে উঠল, ‘এ হতে পারে না।’ শুকশিন বললেন, ‘আমি একজন চোরকে নায়ক করছি এ কারণে যে, সে তার ভুল বুঝতে পেরে আবার ফিরে আসে সামাজিক জীবনে। এখানে চোর নায়ক নয়, নায়ক হলো নৈতিকতা।’
কিন্তু কে শোনে কার কথা! এই ছবি সিনেমা হলে মুক্তি না দেওয়ার পক্ষে নোট দিল পার্টির সংস্কৃতি বিভাগের আমলাতন্ত্র। তখন পার্টির একচ্ছত্র অধিপতি লিওনিদ ব্রেঝনেভকে দেখানো হলো ছবিটি। তাঁর অবশ্য পছন্দ হলো। পার্টির সেক্রেটারি এই ছবি পছন্দ করেছেন, তখন কি আর আমলাতন্ত্র মুখ খুলতে পারে? সিনেমা হলে দর্শক গিয়ে ছবিটা দেখল।
কী হতো, যদি ব্রেঝনেভ বলতেন, ‘এ তো সোভিয়েত-বিরোধী প্রচারণা। ধরো শুকশিনকে!’ তাহলে শুকশিনও হারিয়ে যেতেন বিস্মৃতির অতলে, যেমন বহু সোভিয়েত সাহিত্যিককে নির্বাসন দিয়ে কিংবা কাজ করতে না দিয়ে ‘মৃত সৈনিক’ করে দেওয়া হয়েছিল!
টীকা: তবে সিনেমাটি ১৯৭৪ সালে যখন মুক্তি পায়, সাড়ে বাষট্টি মিলিয়ন সোভিয়েত দর্শক যখন ছবিটি প্রাণভরে উপভোগ করে, তখন কিন্তু ভাসিলি শুকশিন আর বেঁচে নেই। সে বছরের ২ অক্টোবর তিনি মারা যান।
লেখক: উপসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে