কাজল সরকার, হবিগঞ্জ
আয়কর প্রদানে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপরও হবিগঞ্জে করদাতাদের মধ্যে কর দিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এমনকি করের পরিমাণ কমিয়েও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও জেলায় রিটার্ন আদায় হয়েছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ।
হবিগঞ্জ উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলাকে মোট ৩টি কর অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। এখানে মোট করদাতার সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৮৬ জন। অথচ চলতি বছর কর প্রদানের মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত রিটার্ন জমা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ২৩৯টি।
জেলায় চলতি বছর ৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কর আদায় হয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪০৩ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন গুণ কম।
উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪১ হাজার ৩২ টাকা। রিটার্ন জমা হয়েছিল ১২ হাজার ৮৪৭টি।
এদিকে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি কর আদায় হয়েছে সদর সার্কেলে। এখানে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া মাধবপুর সার্কেলে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং নবীগঞ্জ সার্কেলে ২০ লাখ ৪ হাজার ৬৬৬ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।
কর কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সদর সার্কেলে ব্যবসায়ী ও সরকারি চাকরিজীবী বেশি থাকায় এখান থেকে কর আদায় হয় বেশি। তবে সব কটি সার্কেলে শতভাগ কর আদায়ের লক্ষ্যে গত বছরের তুলনায় এবার লক্ষ্যমাত্রা কম নির্ধারণ করা হয়। গত অর্থবছরে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪০৩ টাকা। এ বছর তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায়।
প্রতিবছর কর আদায়ের জন্য ‘কর মেলার’ আয়োজন করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর ধরে ‘কর মেলা’ হচ্ছে না। যদিও জেলা উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ে ‘মেলার পরিবেশে রিটার্ন গ্রহণ ২০২১’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে মাসব্যাপী।
এদিকে নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন আদায়ের সময়সীমা থাকলেও মাত্র এক-চতুর্থাংশ আদায় হওয়ায় হতাশ কর্মকর্তারা। তবে তাঁরা বলছেন, প্রতিবছরই শেষের দিকে বেশি কর আদায় হয়। অনেক করদাতা মনে করেন নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে। যে কারণে এখনো তেমন সাড়া মিলছে না।
সিলেট জোন (সদর সার্কেল) সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘একজন ব্যক্তি সর্বনিম্ন তিন হাজার টাকা কর দিতে হয়। আয়ের ওপর নির্ভর করে কর নির্ধারণ করা হয়। আমরা শতভাগ কর আদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু এরপরও তেমন সাড়া মিলছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাহত হচ্ছি না। প্রতিবছরই দেখেছি, শেষের দিকে ব্যাপক রিটার্ন জমা পড়ে। এ বছরও শেষের দিকে ব্যাপক রিটার্ন জমা পড়বে বলে আমরা মনে করি। তবে নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছি।’
আয়কর প্রদানে করদাতাদের উদ্বুদ্ধ করতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এরপরও হবিগঞ্জে করদাতাদের মধ্যে কর দিতে অনীহা দেখা যাচ্ছে। এমনকি করের পরিমাণ কমিয়েও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও জেলায় রিটার্ন আদায় হয়েছে মাত্র এক-চতুর্থাংশ।
হবিগঞ্জ উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ জেলাকে মোট ৩টি কর অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়েছে। এখানে মোট করদাতার সংখ্যা ৩৩ হাজার ২৮৬ জন। অথচ চলতি বছর কর প্রদানের মেয়াদ শেষ হয়ে এলেও এখন পর্যন্ত রিটার্ন জমা হয়েছে মাত্র ৩ হাজার ২৩৯টি।
জেলায় চলতি বছর ৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকা আয়কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কর আদায় হয়েছে ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪০৩ টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে তিন গুণ কম।
উপ-কর কমিশনারের কার্যালয় সূত্র আরও জানায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরে কর আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৮০ কোটি ৪৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে আদায় হয়েছে ৭৬ কোটি ৯৮ লাখ ৪১ হাজার ৩২ টাকা। রিটার্ন জমা হয়েছিল ১২ হাজার ৮৪৭টি।
এদিকে চলতি বছর সবচেয়ে বেশি কর আদায় হয়েছে সদর সার্কেলে। এখানে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত আদায় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। এ ছাড়া মাধবপুর সার্কেলে ১২ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৫ টাকা এবং নবীগঞ্জ সার্কেলে ২০ লাখ ৪ হাজার ৬৬৬ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।
কর কমিশনারের কার্যালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সদর সার্কেলে ব্যবসায়ী ও সরকারি চাকরিজীবী বেশি থাকায় এখান থেকে কর আদায় হয় বেশি। তবে সব কটি সার্কেলে শতভাগ কর আদায়ের লক্ষ্যে গত বছরের তুলনায় এবার লক্ষ্যমাত্রা কম নির্ধারণ করা হয়। গত অর্থবছরে জেলায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৮ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪০৩ টাকা। এ বছর তা কমিয়ে আনা হয়েছে ৭৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায়।
প্রতিবছর কর আদায়ের জন্য ‘কর মেলার’ আয়োজন করা হয়। তবে করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই বছর ধরে ‘কর মেলা’ হচ্ছে না। যদিও জেলা উপ-কর কমিশনারের কার্যালয়ে ‘মেলার পরিবেশে রিটার্ন গ্রহণ ২০২১’ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে মাসব্যাপী।
এদিকে নভেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন আদায়ের সময়সীমা থাকলেও মাত্র এক-চতুর্থাংশ আদায় হওয়ায় হতাশ কর্মকর্তারা। তবে তাঁরা বলছেন, প্রতিবছরই শেষের দিকে বেশি কর আদায় হয়। অনেক করদাতা মনে করেন নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হবে। যে কারণে এখনো তেমন সাড়া মিলছে না।
সিলেট জোন (সদর সার্কেল) সহকারী কর কমিশনার মোহাম্মাদ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘একজন ব্যক্তি সর্বনিম্ন তিন হাজার টাকা কর দিতে হয়। আয়ের ওপর নির্ভর করে কর নির্ধারণ করা হয়। আমরা শতভাগ কর আদায়ের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু এরপরও তেমন সাড়া মিলছে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশাহত হচ্ছি না। প্রতিবছরই দেখেছি, শেষের দিকে ব্যাপক রিটার্ন জমা পড়ে। এ বছরও শেষের দিকে ব্যাপক রিটার্ন জমা পড়বে বলে আমরা মনে করি। তবে নভেম্বর পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও আমরা ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর চিন্তা করছি।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে