নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
কাল বাদে পরশু রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কেন্দ্রে ভোটার আনতে চলছে নানামুখী তৎপরতা। ভোটারের মন জয়ে প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মীরা ঘাম ছুটিয়েছেন প্রচারে। বিএনপিবিহীন নির্বাচনেও অধিকাংশ আসনে লড়াই জমিয়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত ৮৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে বলে জানা গেছে। নৌকা ও লাঙ্গলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান তৈরি করা এই প্রার্থীরা আওয়ামী লীগেরই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতে তাঁরা ও তাঁদের কর্মীরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে তৎপর।
আজকের পত্রিকার সারা দেশের প্রতিনিধিরা নির্বাচনী এলাকাগুলো ঘুরে এবং ভোটার, প্রার্থী ও তাঁদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যেসব প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, তাতে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৮১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা (নৌকা প্রতীক) ভালো অবস্থানে আছেন। অর্থাৎ মোট আসনের ৬০ দশমিক ৩৩ শতাংশ আসনে ভালো অবস্থান ক্ষমতাসীন দলের।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতেছিল ২৫৭টি আসনে। অর্থাৎ এবার ভালো অবস্থানে থাকা আসনের চেয়ে ৭৬টি বেশি আসনে গতবার জয় পেয়েছিল দলটি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবার ৮৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের অবস্থান উজ্জ্বল। এসব আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া ২৬টির মধ্যে ১৬টি আসন এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া ছয়টি আসনের কয়েকটিও রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এমন ৭৮ জনকে আওয়ামী লীগ এবার মনোনয়ন দেয়নি। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন লড়াইয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
বেশ কিছু আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর করতে দল থেকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে দলীয় নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমূহ সম্ভাবনা বা আভাস আমরা দেখতে পাচ্ছি। এতে এক অর্থে আমরা সফল হয়েছি বলা যেতে পারে।’
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের সংগ্রহ করা তথ্য প্রসঙ্গে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘পর্যবেক্ষণটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়ে থাকলে আমাদের জন্য ভাববার বিষয় আছে।’
জাপার সম্ভাবনা ১০ আসনে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) ভালো অবস্থানে রয়েছে মাত্র ১০টি আসনে, যা মোট আসনের ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দলটি ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। বাকি ১৬টিতে ভালো অবস্থান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের; যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতা। ওই ২৬ আসনের বাইরে দলটির আরও ২৩৯ প্রার্থী লড়ছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে।
অবশ্য জাপার কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, জাতীয় পার্টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে আছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁর নিজের আসনসহ সারা দেশে দলের ভবিষ্যৎ ভালো।
অন্যান্য দলের ১৭টি
নির্বাচনে আসা অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সব মিলে ১৭টি আসনে জয়লাভের সম্ভাবনার আভাস পাওয়া গেছে। বাকি সাতটি আসনের চলমান পরিস্থিতি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কোনো সুস্পষ্ট আভাস দিতে পারেননি প্রতিনিধিরা।
নির্বাচন কমিশন থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবার ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে ২৮টি দলের মোট প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬৬ ও জাপা ২৬৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ৪৩৬ জন।
কোন বিভাগে কী হাল
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মোট ৭০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৪টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ১৮টি, জাপা ৩টি এবং অন্যান্য দলের ৩টিতে জয়ের সম্ভাবনা জোরালো। এ বিভাগের দুটি আসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ৫৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ১৪টি, জাতীয় পার্টি ১টি, অন্যান্য দলের ৫টি আসনের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
রাজশাহী বিভাগে মোট ৩৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪টি, দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ১১টি আসনে শক্ত অবস্থানে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিভাগে জাপার কোনো আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
খুলনা বিভাগে মোট ৩৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ৯টি, জাপার ১টিতে জয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অপর দুটি আসন নিয়ে সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।
রংপুর বিভাগে মোট ৩৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৩টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ১৪টি, জাপার ৩টি আসনে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি আসনে জয়ের সম্ভাবনা ভারী অন্য তিন দলের প্রার্থীর।
ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ২৪টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৫টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থীদের ৭টি আসনে জয়ের মজবুত অবস্থান রয়েছে। বাকি দুটি আসনের আভাস পরিষ্কার নয়।
বরিশাল বিভাগে মোট ২১টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০টি, দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭টিতে, জাপা ২টি, অন্যান্য দলের ২টি আসনে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
সিলেট বিভাগে মোট ১৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৩টি, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৫টি আসনে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। একটির আসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।
মাঠের চিত্রই শেষ কথা নয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটা আদতে এবার হচ্ছে না। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে দিয়েছে। অনেক আসনে ক্ষমতাসীন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাপট দেখাচ্ছেন।
কিন্তু মাঠের চিত্রই শেষ কথা নয় বলে মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, মাঠের আভাসের তুলনায় ভিন্ন চিত্র দেখা যেতে পারে ফলাফল ঘোষণায়। নামডাকে বড় নেতা হলেও মাঠে অবস্থান ভালো নয়, তাঁরা ভোটে হেরে যাবেন অনেকটাই নিশ্চিত। কিন্তু বাস্তবতার প্রয়োজনের তাগিদে তাঁদের অনেককে বিজয়ী ঘোষণা করা হতে পারে।
কাল বাদে পরশু রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কেন্দ্রে ভোটার আনতে চলছে নানামুখী তৎপরতা। ভোটারের মন জয়ে প্রার্থী এবং তাঁদের কর্মীরা ঘাম ছুটিয়েছেন প্রচারে। বিএনপিবিহীন নির্বাচনেও অধিকাংশ আসনে লড়াই জমিয়ে তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। অন্তত ৮৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা শক্ত অবস্থানে বলে জানা গেছে। নৌকা ও লাঙ্গলের বিরুদ্ধে এমন অবস্থান তৈরি করা এই প্রার্থীরা আওয়ামী লীগেরই বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল করতে তাঁরা ও তাঁদের কর্মীরা ভোটারদের কেন্দ্রে নিতে তৎপর।
আজকের পত্রিকার সারা দেশের প্রতিনিধিরা নির্বাচনী এলাকাগুলো ঘুরে এবং ভোটার, প্রার্থী ও তাঁদের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে যেসব প্রতিবেদন পাঠিয়েছেন, তাতে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ১৮১টিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা (নৌকা প্রতীক) ভালো অবস্থানে আছেন। অর্থাৎ মোট আসনের ৬০ দশমিক ৩৩ শতাংশ আসনে ভালো অবস্থান ক্ষমতাসীন দলের।
২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জিতেছিল ২৫৭টি আসনে। অর্থাৎ এবার ভালো অবস্থানে থাকা আসনের চেয়ে ৭৬টি বেশি আসনে গতবার জয় পেয়েছিল দলটি।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এবার ৮৫টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়া আওয়ামী লীগের নেতাদের অবস্থান উজ্জ্বল। এসব আসনের মধ্যে জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া ২৬টির মধ্যে ১৬টি আসন এবং ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের ছাড় দেওয়া ছয়টি আসনের কয়েকটিও রয়েছে।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে বিজয়ী এমন ৭৮ জনকে আওয়ামী লীগ এবার মনোনয়ন দেয়নি। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন লড়াইয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে।
বেশ কিছু আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের সঙ্গে দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়ার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের একাধিক প্রভাবশালী নেতা। গতকাল বৃহস্পতিবার দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নির্বাচনকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং উৎসবমুখর করতে দল থেকেই ছাড় দেওয়া হয়েছে। এ সুযোগে দলীয় নেতারা স্বতন্ত্র নির্বাচন করছেন। তিনি বলেন, ‘স্বতন্ত্র ও দলীয় প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতার সমূহ সম্ভাবনা বা আভাস আমরা দেখতে পাচ্ছি। এতে এক অর্থে আমরা সফল হয়েছি বলা যেতে পারে।’
আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিদের সংগ্রহ করা তথ্য প্রসঙ্গে এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, ‘পর্যবেক্ষণটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়ে থাকলে আমাদের জন্য ভাববার বিষয় আছে।’
জাপার সম্ভাবনা ১০ আসনে নানা জল্পনা-কল্পনার জন্ম দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির (জাপা) ভালো অবস্থানে রয়েছে মাত্র ১০টি আসনে, যা মোট আসনের ৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দলটি ২৬টি আসনে ছাড় পেয়েছে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে। বাকি ১৬টিতে ভালো অবস্থান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থীদের; যাঁরা আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত নেতা। ওই ২৬ আসনের বাইরে দলটির আরও ২৩৯ প্রার্থী লড়ছেন লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে।
অবশ্য জাপার কো-চেয়ারম্যান রুহুল আমিন হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেছেন, জাতীয় পার্টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে আছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তাঁর নিজের আসনসহ সারা দেশে দলের ভবিষ্যৎ ভালো।
অন্যান্য দলের ১৭টি
নির্বাচনে আসা অন্য দলগুলোর প্রার্থীদের সব মিলে ১৭টি আসনে জয়লাভের সম্ভাবনার আভাস পাওয়া গেছে। বাকি সাতটি আসনের চলমান পরিস্থিতি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে কোনো সুস্পষ্ট আভাস দিতে পারেননি প্রতিনিধিরা।
নির্বাচন কমিশন থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এবার ১ হাজার ৯৭০ জন প্রার্থী ভোটের লড়াইয়ে আছেন। তাঁদের মধ্যে ২৮টি দলের মোট প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৬৬ ও জাপা ২৬৫ আসনে প্রার্থী দিয়েছে। স্বতন্ত্র হিসেবে লড়ছেন ৪৩৬ জন।
কোন বিভাগে কী হাল
তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে মোট ৭০টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৪৪টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ১৮টি, জাপা ৩টি এবং অন্যান্য দলের ৩টিতে জয়ের সম্ভাবনা জোরালো। এ বিভাগের দুটি আসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম বিভাগে মোট ৫৮টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৩৮টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ১৪টি, জাতীয় পার্টি ১টি, অন্যান্য দলের ৫টি আসনের জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
রাজশাহী বিভাগে মোট ৩৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪টি, দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ১১টি আসনে শক্ত অবস্থানে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ বিভাগে জাপার কোনো আসন পাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।
খুলনা বিভাগে মোট ৩৬টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৪টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ৯টি, জাপার ১টিতে জয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। অপর দুটি আসন নিয়ে সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।
রংপুর বিভাগে মোট ৩৩টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৩টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) ১৪টি, জাপার ৩টি আসনে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তিনটি আসনে জয়ের সম্ভাবনা ভারী অন্য তিন দলের প্রার্থীর।
ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ২৪টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৫টি, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগ) প্রার্থীদের ৭টি আসনে জয়ের মজবুত অবস্থান রয়েছে। বাকি দুটি আসনের আভাস পরিষ্কার নয়।
বরিশাল বিভাগে মোট ২১টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১০টি, দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭টিতে, জাপা ২টি, অন্যান্য দলের ২টি আসনে জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল।
সিলেট বিভাগে মোট ১৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৩টি, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ৫টি আসনে জয়ের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। একটির আসনের বিষয়ে সুস্পষ্ট আভাস পাওয়া যায়নি।
মাঠের চিত্রই শেষ কথা নয়
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক মো. শামছুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে যা বোঝায়, সেটা আদতে এবার হচ্ছে না। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ‘প্যান্ডোরার বাক্স’ খুলে দিয়েছে। অনেক আসনে ক্ষমতাসীন দলের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা দাপট দেখাচ্ছেন।
কিন্তু মাঠের চিত্রই শেষ কথা নয় বলে মনে করেন এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক। তিনি বলেন, মাঠের আভাসের তুলনায় ভিন্ন চিত্র দেখা যেতে পারে ফলাফল ঘোষণায়। নামডাকে বড় নেতা হলেও মাঠে অবস্থান ভালো নয়, তাঁরা ভোটে হেরে যাবেন অনেকটাই নিশ্চিত। কিন্তু বাস্তবতার প্রয়োজনের তাগিদে তাঁদের অনেককে বিজয়ী ঘোষণা করা হতে পারে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে