সম্পাদকীয়
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সবার আস্থাভাজন হয়ে উঠবে বলে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, তা বিভিন্ন ঘটনায় ম্লান হতে বসেছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কমিশন একদিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনায় বসে তারা যে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম, সেটা জানান দিতে চেয়েছে।
অন্যদিকে তাদের কিছু কিছু পদক্ষেপ, কোনো কোনো সদস্যের বক্তব্য নিয়ে আবার বিতর্কও উঠেছে। কমিশন নিজেদের কাজের ব্যাপারে কতটা আন্তরিক, সেটা প্রশ্ন হয়েই রয়েছে।
শুরুর দিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে গোঁ ধরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল কমিশন। ইভিএমে ভোট করার জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় ব্যালটে ভোট করতে রাজি হতে হয়েছে।
এরপর নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন একেবারেই লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে। নিবন্ধন পাওয়ার জন্য শ খানেক দল আবেদন করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দুটি দলকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে।
এ ব্যাপারে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কেউ কোনো আপত্তি জানালে তা নিষ্পত্তি করে ২৬ জুলাইয়ের পর চূড়ান্ত করা হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, মাঠপর্যায়ে অফিস-কমিটির কার্যকারিতা, প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিল যাচাই, তদন্ত শেষে এই দুটি দল নির্বাচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পাওয়া দল দুটির নাম সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, রাজনৈতিক নেতারাও আগে শুনেছেন বলে মনে হয় না। আগে বরং গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ অধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় ছিল। এমন খবরও ছড়িয়েছিল যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কৌশলের খেলার অংশ হিসেবে সাবেক জামায়াতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টিকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে হয়তো সরকারেরও আশীর্বাদ থাকবে।
অথচ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন এমন দুটি দলকে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে, যাদের অস্তিত্বের কথা আর কারও জানা নেই। এমন কথাও বলা হচ্ছে যে মাঠপর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে নয়, নেপথ্য কোনো শক্তির কলকাঠি নাড়ার কারণেই ভুঁইফোড় দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুক্রবারের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারীর বিরুদ্ধে খানকা শরিফ দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় বানানোর অভিযোগ করেছেন তাঁর ছোট ভাই ও দুই বোন। তাঁরা এ বিষয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। বিএসপিকে নিবন্ধন না দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীসহ নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এরপরও এই দলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে নির্বাচন কমিশনকে কি মানুষ বাহবা দেবে?
কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন সবার আস্থাভাজন হয়ে উঠবে বলে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, তা বিভিন্ন ঘটনায় ম্লান হতে বসেছে। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে কমিশন একদিকে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে আলোচনায় বসে তারা যে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানে সক্ষম, সেটা জানান দিতে চেয়েছে।
অন্যদিকে তাদের কিছু কিছু পদক্ষেপ, কোনো কোনো সদস্যের বক্তব্য নিয়ে আবার বিতর্কও উঠেছে। কমিশন নিজেদের কাজের ব্যাপারে কতটা আন্তরিক, সেটা প্রশ্ন হয়েই রয়েছে।
শুরুর দিকে ইভিএমে ভোট গ্রহণের ব্যাপারে গোঁ ধরে সমালোচনার মুখে পড়েছিল কমিশন। ইভিএমে ভোট করার জন্য বিপুল অর্থ বরাদ্দের প্রস্তাব করে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায় ব্যালটে ভোট করতে রাজি হতে হয়েছে।
এরপর নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে গিয়ে নির্বাচন কমিশন একেবারেই লেজেগোবরে অবস্থায় পড়েছে। নিবন্ধন পাওয়ার জন্য শ খানেক দল আবেদন করলেও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) নামের দুটি দলকে নিবন্ধন দিতে নির্বাচন কমিশন প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত করেছে বলে গণমাধ্যমে খবর বের হয়েছে।
এ ব্যাপারে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। কেউ কোনো আপত্তি জানালে তা নিষ্পত্তি করে ২৬ জুলাইয়ের পর চূড়ান্ত করা হবে। কেন্দ্রীয় কার্যালয়, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, মাঠপর্যায়ে অফিস-কমিটির কার্যকারিতা, প্রয়োজনীয় তথ্য ও দলিল যাচাই, তদন্ত শেষে এই দুটি দল নির্বাচিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের সচিব।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক যাচাই-বাছাইয়ের পর প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পাওয়া দল দুটির নাম সাধারণ মানুষ তো দূরের কথা, রাজনৈতিক নেতারাও আগে শুনেছেন বলে মনে হয় না। আগে বরং গণতন্ত্র মঞ্চ, গণ অধিকার পরিষদ, আমার বাংলাদেশ পার্টিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নাম রাজনৈতিক মহলে আলোচনায় ছিল। এমন খবরও ছড়িয়েছিল যে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে কৌশলের খেলার অংশ হিসেবে সাবেক জামায়াতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত আমার বাংলাদেশ পার্টি বা এবি পার্টিকে অনুমোদন দেওয়ার ব্যাপারে হয়তো সরকারেরও আশীর্বাদ থাকবে।
অথচ সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নির্বাচন কমিশন এমন দুটি দলকে প্রাথমিকভাবে অনুমোদন দিয়েছে, যাদের অস্তিত্বের কথা আর কারও জানা নেই। এমন কথাও বলা হচ্ছে যে মাঠপর্যায়ের তথ্যের ভিত্তিতে নয়, নেপথ্য কোনো শক্তির কলকাঠি নাড়ার কারণেই ভুঁইফোড় দল দুটিকে নিবন্ধন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
শুক্রবারের আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুদ্দিন আহমদ মাইজভান্ডারীর বিরুদ্ধে খানকা শরিফ দখল করে রাজনৈতিক কার্যালয় বানানোর অভিযোগ করেছেন তাঁর ছোট ভাই ও দুই বোন। তাঁরা এ বিষয়ে আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। বিএসপিকে নিবন্ধন না দেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের পারিবারিক সম্পত্তি ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীসহ নির্বাচন কমিশনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। এরপরও এই দলকে চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে নির্বাচন কমিশনকে কি মানুষ বাহবা দেবে?
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৭ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২০ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে