মুফতি মুহাম্মদ তাকি উসমানি
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার তত্ত্বাবধানে মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কথা জানা যায়। অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে চান না, এ সম্পর্কে প্রান্তিক চিন্তার প্রকাশ ঘটান, যা একজন নবীপ্রেমিক মুমিনের জন্য শোভা পায় না। রাসুল (সা.) নিজেই তাঁর পবিত্র চুল সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিতরণ করেছেন—এ কথা অনেক সহিহ হাদিস থেকে প্রমাণিত।
হাদিস থেকে আরও জানা যায়, সাহাবায়ে কেরামও এসব সংরক্ষণ করেছেন এবং তা থেকে বরকত লাভের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন।
মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্নের মর্যাদা
এ বিষয়ক অনেক হাদিস পাওয়া যায়। বিশেষ করে মহানবী (সা.)-এর সেবক হজরত আনাস (রা.) একাধিক হাদিস বর্ণনা করেন। এখানে কয়েকটি হাদিস তুলে
ধরা হলো—
১. হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, বিদায় হজের সময় যখন নবী (সা.) মাথা মুণ্ডন করেন, তখন প্রথমে মাথার ডান দিকের চুল মুণ্ডন করেন এবং এক-দুটি করে চুল সাহাবিদের মধ্যে বিতরণ করেন। এরপর বাম দিকের চুল মুণ্ডন করেন এবং হজরত আবু তালহা (রা.)-কে চুলগুলো দিয়ে বলেন, ‘মানুষের মধ্যে চুলগুলো বিতরণ করে দাও।’ (মুসলিম, হজ অধ্যায়: ১/ ৪২১)
২. আনাস (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে এ অবস্থায় দেখেছি যে নাপিত তাঁর পবিত্র মাথা মুণ্ডন করছিল, আর সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চারপাশে সমবেত ছিলেন। তাঁরা চাইছিলেন যে রাসুল (সা.)-এর কোনো চুল পড়তেই তা যেন তাঁদের কারও হাতে পৌঁছায়। (মুসলিম, ফাজায়েল অধ্যায়: ২/ ৩৯)
৩. বিশিষ্ট তাবিয়ি মুহাম্মদ ইবনে সিরিন (রহ.) বলেন, আমি হজরত ওবায়দা সালমানি (রহ.)-কে বললাম, ‘আমার কাছে নবী (সা.)-এর পবিত্র চুল আছে। আমি হজরত আনাস (রা.) থেকে এগুলো পেয়েছি।’ ওবায়দা বললেন, ‘আমার কাছে যদি তা থেকে একটি চুলও থাকে, তবে আমার জন্য তা দুনিয়া ও তার মধ্যে থাকা সবকিছু থেকে উত্তম।’ (বুখারি, অজু অধ্যায়: ১ / ২৯)
৪. ওসমান ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহিব বলেন, আমার পরিবারের লোকজন আমাকে একটি পেয়ালা দিয়ে হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর কাছে পাঠান। উম্মে সালামা (রা.)-এর কাছে নবী (সা.)-এর কিছু চুল ছিল। তিনি একটি শিশির মধ্যে সেগুলো রেখেছিলেন। কোনো মানুষের বদনজর লাগলে বা অন্য কোনো রোগ হলে একটি পাত্রে পানি ভরে হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর কাছে পাঠানো হতো। ওসমান ইবনে আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ওই শিশির মধ্যে উঁকি দিয়ে দেখলাম, তার মধ্যে লাল রঙের চুল আছে।’ (বুখারি, পোশাক অধ্যায়: ২/ ৮৭৫)
৫. হজরত আনাস (রা.)-এর মা হজরত উম্মে সুলাইম (রা.) রাসুল (সা.)-এর জন্য বিছানা বিছিয়ে দিতেন। রাসুল (সা.) সেখানে বিশ্রাম নিতেন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে হজরত উম্মে সুলাইম (রা.) একটি শিশির মধ্যে তাঁর পবিত্র ঘাম ও চুল সংগ্রহ করতেন এবং তার মধ্যে সুগন্ধি ভরে রাখতেন। হজরত আনাস (রা.)-এর ইন্তেকালের সময় ঘনিয়ে এলে তিনি অসিয়ত করেন যে তাঁর কাফনের সুগন্ধির মধ্যে যেন এ সুগন্ধি মিশিয়ে দেওয়া হয়। (বুখারি, অনুমতি প্রার্থনা অধ্যায়: ২/ ৯২৯) মুসলিমের বর্ণনায় আরও বলা হয়, নবী (সা.) জেগে উঠে উম্মে সুলাইমকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কী করছ?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি শিশুদের জন্য এগুলোর বরকতের আশা রাখি।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি ঠিক করেছ।’
মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন জিয়ারতের বিধান
এসব হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, রাসুল (সা.)-এর পবিত্র চুল ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত নেওয়া শুধু বৈধই নয়, বরং বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। সাহাবায়ে কেরাম বিষয়টিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন এবং রাসুল (সা.) নিজেও তা সঠিক সাব্যস্ত করেছেন। তবে এ বিষয়ে দুটি কথা মনে রাখতে হবে—
ক. শিরক করা যাবে না
প্রথম কথা হলো, বরকতের জন্য রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করা এবং সেগুলোর আদব রক্ষা করা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ এবং সাহাবিদের আমল থেকে প্রমাণিত। তবে এমন কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করা, যেখানে শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করে, যেমন সেই স্মৃতিচিহ্নের সামনে রুকু-সিজদা করা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। কারণ রাসুল (সা.) শিরক ও এর সঙ্গে তুল্য বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন।
খ. বিশ্বস্ততার প্রশ্ন থেকে যায়
দ্বিতীয় কথা হলো, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিয়িদের যুগে বিভিন্নজনের কাছে যেসব পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত ছিল, সেগুলো সম্পর্কে তাঁদের নিশ্চিতভাবে জানা ছিল যে এগুলো আসলেই রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন। পক্ষান্তরে বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে যেসব স্মৃতিচিহ্নের কথা বলা হয়, সেগুলো সম্পর্কে নিশ্চয়তা লাভের কোনো উপায় নেই। তবে সেগুলো বাস্তবিকই রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে। কিছু ক্ষেত্রে এ ধারণা শক্তিশালী, কিছু ক্ষেত্রে দুর্বল।
নবীপ্রেমিকদের জন্য সম্ভাবনাই যথেষ্ট
এ কথা স্পষ্ট যে সাহাবি ও তাবিয়িগণ রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন, তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তাঁদের পরবর্তী বংশধরগণও একইভাবে গুরুত্ব দিয়ে তা সংরক্ষণ করেছেন। তাই যেখানে বংশপরম্পরায় কোনো স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত হয়ে আসছে, সেখানে জনশ্রুতি ও প্রসিদ্ধির ভিত্তিতে এই সম্ভাবনা প্রবল। আর যেখানে এমন জনশ্রুতি নেই, সেখানে এই সম্ভাবনা দুর্বল।
তবে রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা লালনকারী মুমিনের জন্য এটুকু সম্ভাবনাও যথেষ্ট। সে যে স্মৃতিচিহ্নের জিয়ারত করছে, তা বাস্তবিকই রাসুল (সা.)-এর পবিত্র চুল এবং তাঁর পবিত্র দেহের সঙ্গে লেগে থাকার মর্যাদা লাভ করেছে। এটুকু সম্ভাবনার ভিত্তিতেও যদি তার জিয়ারত করা হয়, তবে তা শুধু বৈধই নয়, বরং ভালোবাসার দাবিও বটে। তবে প্রত্যেক বস্তুকে যথাস্থানে রাখা জরুরি। যেখানে নিশ্চয়তা লাভের কোনো উপায় নেই, সেখানে নিশ্চিত করে বলাও উচিত হবে না।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার রচিত তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৩য় খণ্ডের ৩২৩ পৃষ্ঠা দেখুন।
সূত্র: পৃথিবীর দেশে দেশে, মাকতাবাতুল আশরাফ, ঢাকা
লেখক: বিশ্বখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত ও ইসলামি আইনবিদ
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ব্যক্তি বা সংস্থার তত্ত্বাবধানে মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের কথা জানা যায়। অনেকেই বিষয়টি বিশ্বাস করতে চান না, এ সম্পর্কে প্রান্তিক চিন্তার প্রকাশ ঘটান, যা একজন নবীপ্রেমিক মুমিনের জন্য শোভা পায় না। রাসুল (সা.) নিজেই তাঁর পবিত্র চুল সাহাবায়ে কেরামের মধ্যে বিতরণ করেছেন—এ কথা অনেক সহিহ হাদিস থেকে প্রমাণিত।
হাদিস থেকে আরও জানা যায়, সাহাবায়ে কেরামও এসব সংরক্ষণ করেছেন এবং তা থেকে বরকত লাভের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন।
মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্নের মর্যাদা
এ বিষয়ক অনেক হাদিস পাওয়া যায়। বিশেষ করে মহানবী (সা.)-এর সেবক হজরত আনাস (রা.) একাধিক হাদিস বর্ণনা করেন। এখানে কয়েকটি হাদিস তুলে
ধরা হলো—
১. হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বলেন, বিদায় হজের সময় যখন নবী (সা.) মাথা মুণ্ডন করেন, তখন প্রথমে মাথার ডান দিকের চুল মুণ্ডন করেন এবং এক-দুটি করে চুল সাহাবিদের মধ্যে বিতরণ করেন। এরপর বাম দিকের চুল মুণ্ডন করেন এবং হজরত আবু তালহা (রা.)-কে চুলগুলো দিয়ে বলেন, ‘মানুষের মধ্যে চুলগুলো বিতরণ করে দাও।’ (মুসলিম, হজ অধ্যায়: ১/ ৪২১)
২. আনাস (রা.) বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে এ অবস্থায় দেখেছি যে নাপিত তাঁর পবিত্র মাথা মুণ্ডন করছিল, আর সাহাবায়ে কেরাম তাঁর চারপাশে সমবেত ছিলেন। তাঁরা চাইছিলেন যে রাসুল (সা.)-এর কোনো চুল পড়তেই তা যেন তাঁদের কারও হাতে পৌঁছায়। (মুসলিম, ফাজায়েল অধ্যায়: ২/ ৩৯)
৩. বিশিষ্ট তাবিয়ি মুহাম্মদ ইবনে সিরিন (রহ.) বলেন, আমি হজরত ওবায়দা সালমানি (রহ.)-কে বললাম, ‘আমার কাছে নবী (সা.)-এর পবিত্র চুল আছে। আমি হজরত আনাস (রা.) থেকে এগুলো পেয়েছি।’ ওবায়দা বললেন, ‘আমার কাছে যদি তা থেকে একটি চুলও থাকে, তবে আমার জন্য তা দুনিয়া ও তার মধ্যে থাকা সবকিছু থেকে উত্তম।’ (বুখারি, অজু অধ্যায়: ১ / ২৯)
৪. ওসমান ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে মুহিব বলেন, আমার পরিবারের লোকজন আমাকে একটি পেয়ালা দিয়ে হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর কাছে পাঠান। উম্মে সালামা (রা.)-এর কাছে নবী (সা.)-এর কিছু চুল ছিল। তিনি একটি শিশির মধ্যে সেগুলো রেখেছিলেন। কোনো মানুষের বদনজর লাগলে বা অন্য কোনো রোগ হলে একটি পাত্রে পানি ভরে হজরত উম্মে সালামা (রা.)-এর কাছে পাঠানো হতো। ওসমান ইবনে আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমি ওই শিশির মধ্যে উঁকি দিয়ে দেখলাম, তার মধ্যে লাল রঙের চুল আছে।’ (বুখারি, পোশাক অধ্যায়: ২/ ৮৭৫)
৫. হজরত আনাস (রা.)-এর মা হজরত উম্মে সুলাইম (রা.) রাসুল (সা.)-এর জন্য বিছানা বিছিয়ে দিতেন। রাসুল (সা.) সেখানে বিশ্রাম নিতেন। তিনি ঘুমিয়ে পড়লে হজরত উম্মে সুলাইম (রা.) একটি শিশির মধ্যে তাঁর পবিত্র ঘাম ও চুল সংগ্রহ করতেন এবং তার মধ্যে সুগন্ধি ভরে রাখতেন। হজরত আনাস (রা.)-এর ইন্তেকালের সময় ঘনিয়ে এলে তিনি অসিয়ত করেন যে তাঁর কাফনের সুগন্ধির মধ্যে যেন এ সুগন্ধি মিশিয়ে দেওয়া হয়। (বুখারি, অনুমতি প্রার্থনা অধ্যায়: ২/ ৯২৯) মুসলিমের বর্ণনায় আরও বলা হয়, নবী (সা.) জেগে উঠে উম্মে সুলাইমকে জিজ্ঞেস করেন, ‘তুমি কী করছ?’ তিনি জবাব দেন, ‘আমি শিশুদের জন্য এগুলোর বরকতের আশা রাখি।’ তখন রাসুল (সা.) বললেন, ‘তুমি ঠিক করেছ।’
মহানবী (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন জিয়ারতের বিধান
এসব হাদিস থেকে প্রমাণিত হয়, রাসুল (সা.)-এর পবিত্র চুল ও অন্যান্য স্মৃতিচিহ্ন থেকে বরকত নেওয়া শুধু বৈধই নয়, বরং বিরাট সৌভাগ্যের বিষয়। সাহাবায়ে কেরাম বিষয়টিতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছেন এবং রাসুল (সা.) নিজেও তা সঠিক সাব্যস্ত করেছেন। তবে এ বিষয়ে দুটি কথা মনে রাখতে হবে—
ক. শিরক করা যাবে না
প্রথম কথা হলো, বরকতের জন্য রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণ করা এবং সেগুলোর আদব রক্ষা করা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ এবং সাহাবিদের আমল থেকে প্রমাণিত। তবে এমন কোনো পদ্ধতি অবলম্বন করা, যেখানে শিরকের অনুপ্রবেশ ঘটতে শুরু করে, যেমন সেই স্মৃতিচিহ্নের সামনে রুকু-সিজদা করা ইসলামের দৃষ্টিতে বৈধ নয়। কারণ রাসুল (সা.) শিরক ও এর সঙ্গে তুল্য বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন।
খ. বিশ্বস্ততার প্রশ্ন থেকে যায়
দ্বিতীয় কথা হলো, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিয়িদের যুগে বিভিন্নজনের কাছে যেসব পবিত্র স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত ছিল, সেগুলো সম্পর্কে তাঁদের নিশ্চিতভাবে জানা ছিল যে এগুলো আসলেই রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন। পক্ষান্তরে বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ও অঞ্চলে যেসব স্মৃতিচিহ্নের কথা বলা হয়, সেগুলো সম্পর্কে নিশ্চয়তা লাভের কোনো উপায় নেই। তবে সেগুলো বাস্তবিকই রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্ন হওয়ার সম্ভাবনা অবশ্যই আছে। কিছু ক্ষেত্রে এ ধারণা শক্তিশালী, কিছু ক্ষেত্রে দুর্বল।
নবীপ্রেমিকদের জন্য সম্ভাবনাই যথেষ্ট
এ কথা স্পষ্ট যে সাহাবি ও তাবিয়িগণ রাসুল (সা.)-এর স্মৃতিচিহ্নগুলো গুরুত্ব দিয়ে সংরক্ষণ করেছেন, তাই নিশ্চিতভাবে বলা যায়, তাঁদের পরবর্তী বংশধরগণও একইভাবে গুরুত্ব দিয়ে তা সংরক্ষণ করেছেন। তাই যেখানে বংশপরম্পরায় কোনো স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষিত হয়ে আসছে, সেখানে জনশ্রুতি ও প্রসিদ্ধির ভিত্তিতে এই সম্ভাবনা প্রবল। আর যেখানে এমন জনশ্রুতি নেই, সেখানে এই সম্ভাবনা দুর্বল।
তবে রাসুল (সা.)-এর ভালোবাসা লালনকারী মুমিনের জন্য এটুকু সম্ভাবনাও যথেষ্ট। সে যে স্মৃতিচিহ্নের জিয়ারত করছে, তা বাস্তবিকই রাসুল (সা.)-এর পবিত্র চুল এবং তাঁর পবিত্র দেহের সঙ্গে লেগে থাকার মর্যাদা লাভ করেছে। এটুকু সম্ভাবনার ভিত্তিতেও যদি তার জিয়ারত করা হয়, তবে তা শুধু বৈধই নয়, বরং ভালোবাসার দাবিও বটে। তবে প্রত্যেক বস্তুকে যথাস্থানে রাখা জরুরি। যেখানে নিশ্চয়তা লাভের কোনো উপায় নেই, সেখানে নিশ্চিত করে বলাও উচিত হবে না।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আমার রচিত তাকমিলাতু ফাতহিল মুলহিম ৩য় খণ্ডের ৩২৩ পৃষ্ঠা দেখুন।
সূত্র: পৃথিবীর দেশে দেশে, মাকতাবাতুল আশরাফ, ঢাকা
লেখক: বিশ্বখ্যাত মুসলিম পণ্ডিত ও ইসলামি আইনবিদ
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে