সদর দক্ষিণ প্রতিনিধি
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ। ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল, শুক্রবার। মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মুসল্লিরা। পথে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন উত্তর রামপুর (মিস্ত্রি পুকুর পাড়)। পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেন মাত্র দুজন। কিন্তু অন্য নয়জনের খোঁজ আজও মেলেনি। স্বজনদের ধারণা, তাঁরা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের লাশ কী করেছে, তা আজও তাঁরা জানতে পারেননি। বিজয়ের ৫০ বছরেও, শহীদদের নামের তালিকায় তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাঁদের নামে নেই কোনো স্মৃতিস্তম্ভ।
সেই নয়জন হলেন আলী মিয়া মজুমদার, গণি মিয়া মজুমদার, আহমদ আলী, আছমত আলী, সুলতান আহমদ আর্মি, মফিজ উদ্দিন, আব্দুল গফুর, আব্দুল খালেক ও অজ্ঞাতনামা একজন।
বেঁচে ফেরা দুজন হলেন মো. সায়েদ আলী ও মো. আব্দুল মজিদ। উত্তর রামপুরের সায়েদ আলী আজও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমাকে আটক করে প্রথমে কুমিল্লা এয়ারপোর্টে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বাছাই করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে একদিন এক রাত আমার হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে আমার ওপর ভয়ংকর নির্যাতন চালায়। জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম।’
উত্তর রামপুর মধ্যমপাড়া শহীদ আলী মিয়া মজুমদারের ছেলে ফরিদ আহমদ মজুমদার বলেন, ‘সেদিন জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা আলী মিয়া মজুমদার, তাঁর সহোদর গণি মিয়া মজুমদারসহ মোট ১১ জনকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। ভাগ্যক্রমে দুজন ফিরে আসতে পারলেও, বাকি নয়জনকে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বহু সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ওই ৯ শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো সরকারের পক্ষে এ পর্যন্ত উত্তর রামপুর এলাকার শহীদ পরিবারগুলোর কোনো খোঁজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই চাওয়া, উত্তর রামপুরের শহীদদের স্মরণে যেন মিস্ত্রি পুকুরপাড় এলাকায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম এই শহীদদের স্মরণ রাখতে পারবে।’
শহীদ আহমেদ আলীর নাতি রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, ‘আমার দাদা আহমদ আলী শহীদ হন। আমার এক চাচা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। এ জন্য পর পর তিনবার আমাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদারেরা। একজন শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। আর্থিক সহযোগিতা নয়, শহীদ হিসেবে সরকারের তালিকায় যেন তাঁদের নাম তোলা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।’
শহীদ আছমত আলীর ছেলে হাজী সেলিম মিয়া জানান, শহীদ পরিবারের সদস্য হয়েও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্বীকৃতি কিংবা সুযোগ-সুবিধা পাইনি। এটা খুবই দুঃখজনক।
কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল বলেন, শহীদদের নাম তালিকাভুক্ত না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। শহীদ পরিবারকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, তালিকাভুক্ত শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ। ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল, শুক্রবার। মসজিদে জুমার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন মুসল্লিরা। পথে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড সংলগ্ন উত্তর রামপুর (মিস্ত্রি পুকুর পাড়)। পাকিস্তানি সেনাদের হাতে ধরা পড়েন ১১ জন। তাঁদের মধ্যে ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হয়েও প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেন মাত্র দুজন। কিন্তু অন্য নয়জনের খোঁজ আজও মেলেনি। স্বজনদের ধারণা, তাঁরা শহীদ হয়েছেন। কিন্তু পাকিস্তানি সেনারা তাঁদের লাশ কী করেছে, তা আজও তাঁরা জানতে পারেননি। বিজয়ের ৫০ বছরেও, শহীদদের নামের তালিকায় তাঁদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তাঁদের নামে নেই কোনো স্মৃতিস্তম্ভ।
সেই নয়জন হলেন আলী মিয়া মজুমদার, গণি মিয়া মজুমদার, আহমদ আলী, আছমত আলী, সুলতান আহমদ আর্মি, মফিজ উদ্দিন, আব্দুল গফুর, আব্দুল খালেক ও অজ্ঞাতনামা একজন।
বেঁচে ফেরা দুজন হলেন মো. সায়েদ আলী ও মো. আব্দুল মজিদ। উত্তর রামপুরের সায়েদ আলী আজও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সেই নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা দিতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানিরা আমাকে আটক করে প্রথমে কুমিল্লা এয়ারপোর্টে নিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে বাছাই করে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে একদিন এক রাত আমার হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে আমার ওপর ভয়ংকর নির্যাতন চালায়। জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম।’
উত্তর রামপুর মধ্যমপাড়া শহীদ আলী মিয়া মজুমদারের ছেলে ফরিদ আহমদ মজুমদার বলেন, ‘সেদিন জুম্মার নামাজ শেষে মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা আলী মিয়া মজুমদার, তাঁর সহোদর গণি মিয়া মজুমদারসহ মোট ১১ জনকে ধরে নিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। ভাগ্যক্রমে দুজন ফিরে আসতে পারলেও, বাকি নয়জনকে জীবন বিলিয়ে দিতে হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বহু সরকার ক্ষমতায় এসেছে। কিন্তু ওই ৯ শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। এমনকি কোনো সরকারের পক্ষে এ পর্যন্ত উত্তর রামপুর এলাকার শহীদ পরিবারগুলোর কোনো খোঁজ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিজয়ের ৫০ বছরপূর্তিতে এসে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটাই চাওয়া, উত্তর রামপুরের শহীদদের স্মরণে যেন মিস্ত্রি পুকুরপাড় এলাকায় একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হয়। তাহলে পরবর্তী প্রজন্ম এই শহীদদের স্মরণ রাখতে পারবে।’
শহীদ আহমেদ আলীর নাতি রুহুল আমিন মজুমদার বলেন, ‘আমার দাদা আহমদ আলী শহীদ হন। আমার এক চাচা মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। এ জন্য পর পর তিনবার আমাদের বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছিল পাকিস্তানি হানাদারেরা। একজন শহীদ পরিবারের সন্তান হিসেবে স্বীকৃতি না পাওয়াটা খুবই দুঃখজনক। আর্থিক সহযোগিতা নয়, শহীদ হিসেবে সরকারের তালিকায় যেন তাঁদের নাম তোলা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।’
শহীদ আছমত আলীর ছেলে হাজী সেলিম মিয়া জানান, শহীদ পরিবারের সদস্য হয়েও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে এসেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো স্বীকৃতি কিংবা সুযোগ-সুবিধা পাইনি। এটা খুবই দুঃখজনক।
কুমিল্লা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সফিউল আহমেদ বাবুল বলেন, শহীদদের নাম তালিকাভুক্ত না হওয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। শহীদ পরিবারকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বরাবর আবেদন করার জন্য পরামর্শ দেন তিনি।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও শুভাশিস ঘোষ বলেন, তালিকাভুক্ত শহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হচ্ছে।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে