বিয়ে করেছিলেন মাত্র ছয় মাস আগে। স্ত্রীকে নিয়ে খালার বাসায় দাওয়াত খেয়ে মোটরসাইকেলে চেপে বাড়িতে ফিরছিলেন পারভেজ। তাঁদের সঙ্গে ছিল এক ভাগনিও। পথিমধ্যে রাজশাহী নগরীর আলীগঞ্জ এলাকায় একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই পারভেজ নিহত হন। গত শনিবার সন্ধ্যার পরের এ ঘটনায় গতকাল রোববার দুপুরে প্রায় তিন ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী।

এদিকে, গোদাগাড়ী উপজেলার বিজয়নগর মোড়ে গত শনিবার রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে বাবা-ছেলে। তাঁরা দুজন হলেন উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের গোলাই গ্রামের আবদুস সালাম (৬০) ও তাঁর ছেলে মো. ইব্রাহিম (৩৫)।

আলীগঞ্জে নিহত ব্যক্তির পুরো নাম মো. পারভেজ (২৪)। আলীগঞ্জ বাগানপাড়ায় তাঁর বাড়ি। বাবার নাম আবদুল বাবু। পেশায় ইন্টারনেট ব্যবসায়ী। এলাকায় ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় সুনাম রয়েছে তাঁর।

পারভেজের মৃত্যুর প্রতিবাদে গতকাল রোববার সকাল ১০টার দিকে স্থানীয়রা আলীগঞ্জে সড়ক অবরোধ করে। তাঁরা ট্রাকের চালক ও চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। সড়কে বসে তাঁরা স্লোগান দিতে থাকে। পরে রাজপাড়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম গিয়ে বিক্ষুব্ধ মানুষকে সড়ক থেকে সরিয়ে দেন।

নগরীর রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কাজল কুমার নন্দী জানান, গত শনিবার সন্ধ্যার পর পারভেজ তাঁর মোটরসাইকেলে স্ত্রী সুবর্ণা খাতুন (১৮) ও ভাগনি রাইসা খাতুনকে (৭) নিয়ে রওনা করেন। আলীগঞ্জ এলাকায় একটি ট্রাক তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। আহত বাকী দুজনকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁরা চিকিৎসাধীন আছেন।

ওসি জানান, এ ঘটনায় রাজপাড়া থানায় একটি মামলা হয়েছে। ট্রাকচালক ও চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হবে। তাঁর এমন আশ্বাসে এলাকাবাসী সড়ক থেকে উঠে আসেন।

আর গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, গত শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন ইব্রাহিম ও তাঁর বাবা। বিজয়নগরে কোনো একটি গাড়ি তাঁদের চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সালাম নিহত হন। ছেলে ইব্রাহিমকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তির পর রাত ২টা ৪৫ মিনিটে মারা যান। এ নিয়ে থানায় একটি মামলা হবে বলেও জানান ওসি।