নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকার কর্মীদের বিরুদ্ধে গাড়ি মহড়ার মাধ্যমে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল বুধবার বিকেলে জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন জুটন চন্দ্র দত্ত নামের এক স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। ২৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজী ও আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জুটন চন্দ্র দত্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে আখ্যা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজী।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর কর্মীরা ১৯ ডিসেম্বর থেকে ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে প্রচারণার নামে আচরণবিধি লঙ্ঘন ও গাড়ি মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন। তাঁরা প্রতি রাতে প্রচারণার নামে ২টি প্রাইভেট কার, কালো গ্লাসের ২-৩টি গাড়ি ও ৪০ থেকে ৫০টি মোটরসাইকেল নিয়ে মহড়া দিচ্ছেন। এতে হিন্দু-অধ্যুষিত জিনারদী ইউনিয়নের সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টির পাশাপাশি অবাধ ও সুষ্ঠু ভোট হওয়া নিয়ে শঙ্কা তৈরি হচ্ছে। এ ছাড়া নৌকা প্রতীকের কয়েকজন চিহ্নিত কর্মী সাদাপোশাকধারী কয়েকজন লোককে সঙ্গে নিয়ে শত শত কর্মীর বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজাখুঁজির নামে হয়রানি করছে। এ সময় তাঁরা কর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করতে মামলা, বাড়িঘর পোড়ানো ও পরিবারের সদস্যদের নির্যাতন করার ভয় দেখাচ্ছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থী জুটন চন্দ্র দত্ত বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর লোকজনের আচরণবিধি লঙ্ঘন ও গাড়ি মহড়া অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পরিবেশ নষ্ট করছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ভোট গ্রহণের জন্য সব অন্তরায় দূর করতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পদক্ষেপ কামনা করছি।’

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজী বলেন, ‘এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। সুন্দর পরিবেশে নির্বাচন করছি। একে অপরের লোকজনকে কেন ভয়ভীতি দেখাতে যাব?’

এ বিষয়ে জেলার সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মেছবাহ উদ্দিন বলেন, ‘এখনো আমার হাতে এমন অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’