সম্পাদকীয়
বঙ্গবন্ধু শব্দটি নিয়ে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কোনো আপত্তি ছিল না। তিনি শব্দটিকে যে অর্থ দিয়ে বুঝতেন, তা হলো—শেখ মুজিব একটি প্রতীক ছিলেন এবং তা প্রত্যক্ষ অর্থেই। এই এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা হয়েই দেখা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মধ্যে এই এলাকার মানুষ নিজের আশাকে মূর্ত হিসেবে দেখত। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব বাংলাদেশের এক হাজার মাইলের মধ্যেও ছিলেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিসচেতন মানুষ তাঁর কথা ভেবেই অনুপ্রাণিত হতো। শারীরিকভাবে শেখ মুজিব উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু সবকিছুর কেন্দ্রে ছিলেন তিনি এবং একমাত্র তিনি।
আর জাতির পিতা? অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক জাতির পিতা ধারণাটি কীভাবে দেখেন? হ্যাঁ, এখানেও ধারণাটি দিয়ে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বোঝানো হয়। জর্জ ওয়াশিংটনকে যখন বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা, গান্ধীকে ভারতের, জিন্নাহকে পাকিস্তানের, তখন এ কথাই বোঝানো হয় যে এই মানুষেরা নিজেদের স্বাধীনতা লাভের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। সেই অর্থে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।
শেখ মুজিবকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হলো কেন? আব্দুর রাজ্জাকের কাছে এ প্রশ্নের জবাবও তৈরি। কেউ যখন নিহত হন, তখন বুঝতে হবে তিনি কোনো না কোনো উপায়ে বিশেষ কারও বিরাগভাজন হয়েছেন। তার মানে তিনি কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছেন। আব্রাহাম লিঙ্কন, গান্ধী কিংবা শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড এটাই প্রমাণ করে যে তাঁরা একটা দলকে শত্রুতে পরিণত করেছেন। এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে না যে ওই ব্যক্তিরা খারাপভাবে দেশ শাসন করছিলেন কিংবা তাঁরা খুব বেশি ভুল করেছেন। শেখ মুজিবের ক্ষেত্রেও একই কথা বলতে হয়।
এরপর আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘এটা ঠিক যে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ—রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসীরা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় একটু বেশি সোজাভাবে দাঁড়াত, একটু বেশি শক্তিশালী বোধ করত।’
সূত্র: হুমায়ুন আজাদ, সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা ২১-২২
বঙ্গবন্ধু শব্দটি নিয়ে জাতীয় অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের কোনো আপত্তি ছিল না। তিনি শব্দটিকে যে অর্থ দিয়ে বুঝতেন, তা হলো—শেখ মুজিব একটি প্রতীক ছিলেন এবং তা প্রত্যক্ষ অর্থেই। এই এলাকার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা হয়েই দেখা দিয়েছিলেন তিনি। তাঁর মধ্যে এই এলাকার মানুষ নিজের আশাকে মূর্ত হিসেবে দেখত। মুক্তিযুদ্ধের সময় শেখ মুজিব বাংলাদেশের এক হাজার মাইলের মধ্যেও ছিলেন না। কিন্তু সাধারণ মানুষ এবং রাজনীতিসচেতন মানুষ তাঁর কথা ভেবেই অনুপ্রাণিত হতো। শারীরিকভাবে শেখ মুজিব উপস্থিত ছিলেন না, কিন্তু সবকিছুর কেন্দ্রে ছিলেন তিনি এবং একমাত্র তিনি।
আর জাতির পিতা? অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক জাতির পিতা ধারণাটি কীভাবে দেখেন? হ্যাঁ, এখানেও ধারণাটি দিয়ে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে বোঝানো হয়। জর্জ ওয়াশিংটনকে যখন বলা হয় যুক্তরাষ্ট্রের জাতির পিতা, গান্ধীকে ভারতের, জিন্নাহকে পাকিস্তানের, তখন এ কথাই বোঝানো হয় যে এই মানুষেরা নিজেদের স্বাধীনতা লাভের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন। সেই অর্থে শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ছিলেন।
শেখ মুজিবকে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হলো কেন? আব্দুর রাজ্জাকের কাছে এ প্রশ্নের জবাবও তৈরি। কেউ যখন নিহত হন, তখন বুঝতে হবে তিনি কোনো না কোনো উপায়ে বিশেষ কারও বিরাগভাজন হয়েছেন। তার মানে তিনি কারও স্বার্থ ক্ষুণ্ন করেছেন। আব্রাহাম লিঙ্কন, গান্ধী কিংবা শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ড এটাই প্রমাণ করে যে তাঁরা একটা দলকে শত্রুতে পরিণত করেছেন। এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে না যে ওই ব্যক্তিরা খারাপভাবে দেশ শাসন করছিলেন কিংবা তাঁরা খুব বেশি ভুল করেছেন। শেখ মুজিবের ক্ষেত্রেও একই কথা বলতে হয়।
এরপর আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘এটা ঠিক যে আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ—রিকশাওয়ালা, বস্তিবাসীরা শেখ মুজিবুর রহমানের সময় একটু বেশি সোজাভাবে দাঁড়াত, একটু বেশি শক্তিশালী বোধ করত।’
সূত্র: হুমায়ুন আজাদ, সাক্ষাৎকার, পৃষ্ঠা ২১-২২
প্রবৃদ্ধির শীর্ষে থেকেও বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের দৌড়ে পিছিয়ে রয়েছে। ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৫০ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়েছে
১৯ ঘণ্টা আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
২১ ঘণ্টা আগেজমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৫ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৮ দিন আগে