চারঘাট প্রতিনিধি
রাজশাহীর চারঘাটে ‘কারেন্ট পোকা’ নামে পরিচিত বাদামি ঘাস ফড়িংয়ের আক্রমণে ধান গাছ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এতে উপজেলার প্রায় ১৩০ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। পোকার আক্রমণে একের পর এক ধানখেত ধ্বংস হচ্ছে। পোকার হাত থেকে ধান গাছ বাঁচাতে কী করবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না তাঁরা।
চারঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এবার উপজেলায় নানা জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-৩৩, বিআর-২২, বিআর-২৩, ব্রিধান-৪৯, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, ব্রিধান-৮৭ ছাড়াও নানা ধরনের উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হয়েছে। কিন্তু কৃষকেরা ঘাসফড়িং ও ইঁদুরের আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, তিনি ছয় বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। তিন বিঘা জমিতে আগাম ধান ‘ধানি গোল’ এবং বাকি পাঁচ বিঘা জমিতে ‘সুমন স্বর্ণা’ জাতের ধান চাষ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ ধানখেতে পোকার আক্রমণে বিপাকে পড়েছেন। কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলার রাওথা এলাকার কৃষক শরীফুল ইসলাম বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে সুমন স্বর্ণা ও ধানি গোল জাতের ধানের চাষ করেছেন। এবার ফসলের সম্ভাবনা ভালো ছিল। কিন্তু খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর ২০ শতাংশ জমির ধান ফড়িং পোকায় খেয়ে ফেলেছে। ইঁদুরও কেটে ফেলছে তাঁর ধান গাছ। আশা করেছিলেন, বিঘায় ২৮ থেকে ৩০ মণ ধান পাবেন। কিন্তু এখন পড়ে গেছেন দুশ্চিন্তায়।
উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকেরা বলেন, পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু পুরোপুরি দমন করা যাচ্ছে না পোকা। প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুবার কীটনাশক ছিটাচ্ছেন তাঁরা। পোকার আক্রমণে ধানের আশানুরূপ ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, এবার ধানখেত দেখে কৃষকের পাশাপাশি তাঁরাও খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণে বেড়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় কৃষকদের চিন্তিত না হয়ে কীটনাশক দিয়ে ধানখেতের গোঁড়া ও ওপরে স্প্রে করতে বলা হয়েছে। কীটনাশক ছিটালে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দূর হবে বলে জানানো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচানোর লক্ষ্যে কৃষকদের মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘কারেন্ট পোকার আক্রমণ দূর করতে করণীয় সম্পর্কে জানাতে ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়ে কৃষকেরা ভালো ফলন পাবেন।’
রাজশাহীর চারঘাটে ‘কারেন্ট পোকা’ নামে পরিচিত বাদামি ঘাস ফড়িংয়ের আক্রমণে ধান গাছ শুকিয়ে বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। এতে উপজেলার প্রায় ১৩০ হেক্টর জমির আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কৃষকেরা বলছেন, কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। পোকার আক্রমণে একের পর এক ধানখেত ধ্বংস হচ্ছে। পোকার হাত থেকে ধান গাছ বাঁচাতে কী করবেন ভেবে কূল পাচ্ছেন না তাঁরা।
চারঘাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুয়ায়ী, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪ হাজার হেক্টর। আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ২১০ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। এবার উপজেলায় নানা জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে ব্রি ধান-৩৩, বিআর-২২, বিআর-২৩, ব্রিধান-৪৯, ব্রি ধান-৫১, ব্রি ধান-৫২, ব্রিধান-৮৭ ছাড়াও নানা ধরনের উচ্চ ফলনশীল ধানের চাষ হয়েছে। কিন্তু কৃষকেরা ঘাসফড়িং ও ইঁদুরের আক্রমণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, তিনি ছয় বিঘা জমিতে রোপা আমন ধানের চাষ করেছেন। তিন বিঘা জমিতে আগাম ধান ‘ধানি গোল’ এবং বাকি পাঁচ বিঘা জমিতে ‘সুমন স্বর্ণা’ জাতের ধান চাষ করেছেন। কিন্তু হঠাৎ ধানখেতে পোকার আক্রমণে বিপাকে পড়েছেন। কীটনাশক ছিটিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।
উপজেলার রাওথা এলাকার কৃষক শরীফুল ইসলাম বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে সুমন স্বর্ণা ও ধানি গোল জাতের ধানের চাষ করেছেন। এবার ফসলের সম্ভাবনা ভালো ছিল। কিন্তু খেতে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, তাঁর ২০ শতাংশ জমির ধান ফড়িং পোকায় খেয়ে ফেলেছে। ইঁদুরও কেটে ফেলছে তাঁর ধান গাছ। আশা করেছিলেন, বিঘায় ২৮ থেকে ৩০ মণ ধান পাবেন। কিন্তু এখন পড়ে গেছেন দুশ্চিন্তায়।
উপজেলার প্রায় সব ইউনিয়নে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। কৃষকেরা বলেন, পোকার আক্রমণ ঠেকাতে কীটনাশক ছিটানো হচ্ছে। কিন্তু পুরোপুরি দমন করা যাচ্ছে না পোকা। প্রতি সপ্তাহে এক থেকে দুবার কীটনাশক ছিটাচ্ছেন তাঁরা। পোকার আক্রমণে ধানের আশানুরূপ ফলন না পাওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
কৃষি বিভাগের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান, এবার ধানখেত দেখে কৃষকের পাশাপাশি তাঁরাও খুব খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ কারেন্ট পোকার আক্রমণে বেড়ে গেছে। এমন বাস্তবতায় কৃষকদের চিন্তিত না হয়ে কীটনাশক দিয়ে ধানখেতের গোঁড়া ও ওপরে স্প্রে করতে বলা হয়েছে। কীটনাশক ছিটালে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দূর হবে বলে জানানো হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মদ বলেন, পোকার আক্রমণ থেকে ফসল বাঁচানোর লক্ষ্যে কৃষকদের মাঠপর্যায়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘কারেন্ট পোকার আক্রমণ দূর করতে করণীয় সম্পর্কে জানাতে ইতিমধ্যে মাঠপর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কৃষকদের লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যে কারেন্ট পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়ে কৃষকেরা ভালো ফলন পাবেন।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১০ দিন আগে