পাবনার ঈশ্বরদীতে ঘরে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে নিহত গৃহবধূ শারমিন শিলার ছোট ভাই জুয়েল রানা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে শহরে গৃহবধূর দাফন শেষ করে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এজাহার জমা দেওয়া হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক সেটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে। মামলায় প্রধান ও একমাত্র আসামি করা হয়েছে হত্যায় অভিযুক্ত দাশুড়িয়ার সরাইকান্দি গ্রামের সুমন হোসেনকে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করা হয়েছে থানার উপপরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাককে।

সুমন বর্তমানে গ্রেপ্তার ও পুলিশ হেফাজতে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। একই সঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি আছেন গৃহবধূর স্বামী আহত রানা উর রহমান। মঙ্গলবার বিকেলে দুজনকেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঈশ্বরদী থানার পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি পুরো স্পষ্ট হয়নি। তবে সুমন পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, তিনি একসময় রানার বাড়িতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। কাজ করার সময় রানার সঙ্গে তাঁর বিরোধ হয়। রানা তাঁকে গালমন্দ করে বাড়ির কাজ থেকে বাদ দেন। এমনকি রানার পরিচিত অনেকের কাছে সুমনকে কাজে নিতে নিষেধ করেন। এতে তাঁর কাজ বন্ধ হয়। এ অবস্থায় রানার প্রতি তাঁর ক্ষোভ জন্মে। এ থেকে সুমন হত্যার পরিকল্পনা করেন। সুমন মঙ্গলবার সকালে রানাকে খুন করার উদ্দেশ্যে রামদা নিয়ে তাঁর বাড়িতে যান। এ সময় রানার স্ত্রী এগিয়ে এলে তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সুমনকেও তিনি কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন। কিন্তু ছাদ থেকে পড়ে যাওয়ায় তাঁকে হত্যা করতে পারেননি।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, এ ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে তাঁরা খোঁজখবর নিচ্ছেন যে কেন তিনি খুন করলেন। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকালে উপজেলার দাশুড়িয়ার মুনসিদপুর গ্রামে ব্যবসায়ীরা রানা উর রহমানের স্ত্রী শারমিন শিলাকে রান্নাঘরে রামদা দিয়ে কুপিয়ে খুন করেন সুমন।