তানিম আহমেদ, ঢাকা
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়ে গেছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সিটি নির্বাচন সর্বোচ্চ বিতর্কমুক্ত রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি চাইছে প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপর ভর করে সিটি নির্বাচনের বৈতরণি পার হতে। এর উদ্দেশ্য, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না দেওয়া।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাই সিটি নির্বাচনে বিতর্কিত কিছু হলে বিএনপি সুযোগ পাবে। সিটি নির্বাচন বিদেশিরাও পর্যবেক্ষণ করবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন সরকারের জন্য পরীক্ষা। এখানে কোনো বিতর্ক উঠলে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দেশ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চান তাঁরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে দেশের জন্য ক্ষতি, গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতি এবং আমাদের জন্যও ক্ষতি। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি, কোনো নির্বাচন নিয়ে যেন বিতর্ক সৃষ্টি না হয়।’ ভোট সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনও ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ৷ এরই মধ্যে এসব সিটির মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে গত রোববার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। গত তিন দিনে ৩৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ বুধবারও মনোনয়ন ফরম নেওয়া যাবে। ১৮ এপ্রিল মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে রাজশাহী ও খুলনায় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্তই বলা যায়। বরিশাল ও সিলেটেও মোটামুটি ঠিক। কিন্তু গাজীপুরে এখনো ঠিক হয়নি।
সূত্র বলেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘খায়রুজ্জামান লিটনকে সবুজ সংকেত দেওয়ার কথা শুনেছি। এ কারণে আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করিনি। কোনো বার্তা পেলে বুধবার মনোনয়ন ফরম নেব। স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোন্দল থাকলেও বিএনপির প্রার্থী না থাকলে বর্তমান মেয়র সহজে নির্বাচনী বৈতরণি পার হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনেও মেয়র পদে তালুকদার আবদুল খালেকের ওপরই আবারও আস্থা রাখবে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, খুলনা-২ আসনের এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল গত বছরই তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে নেতা-কর্মীদের কাজ করার অনুরোধ করেন। এতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা চূড়ান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া তালুকদার খালেক ছাড়া খুলনার মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী আলোচিত কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সক্রিয়। চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহও (খোকন সেরনিয়াবাত) মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সাদিক আবদুল্লাহ আবারও মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য। তিনি বলেন, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর যে প্রভাব এখনো রয়েছে, তা থেকে বের হয়ে আরেকজনকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, তাঁকে সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, সিলেটে দুই থেকে তিনজন শক্ত প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এগিয়ে আছেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট মহানগরবাসীর প্রত্যাশা এবং যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের মূল্যায়ন করবেন। যিনি দাবি করছেন, তাঁকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, দলে তাঁর কোনো ভিত্তি নেই।’
গাজীপুরে মেয়র প্রার্থী নির্ধারণে দল এখনো সমস্যায় আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারণী নেতা। তাঁরা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির কারণে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে দুর্নীতির তদন্তের কারণে মেয়র পদ থেকেও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দলের প্রভাবশালী এক নেতার কারণে আওয়ামী লীগ তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। তিনি আবার দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির করছেন। প্রভাবশালী ওই নেতাও তাঁর পক্ষে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে বলতে পারেন। তারপরও তিনি মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেখানে যেকোনো কারণেই হোক, জাহাঙ্গীর আলমের কিছুটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি অনেক টাকা খরচ করবেন। সেখানে দলীয় প্রার্থী চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন। তবে জাহাঙ্গীরকে ডেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাও দেওয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলটির তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যদিও তাঁদের বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুরেও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কয়েকজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁরা প্রার্থী হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ঘোমটা পরে আসতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, সিলেটের বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যান্য সিটিতেও ঘোমটা পরা বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা তাদের রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি।
পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হয়ে গেছে। জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সিটি নির্বাচন সর্বোচ্চ বিতর্কমুক্ত রাখতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দলটি চাইছে প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপর ভর করে সিটি নির্বাচনের বৈতরণি পার হতে। এর উদ্দেশ্য, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগ না দেওয়া।
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। তাই সিটি নির্বাচনে বিতর্কিত কিছু হলে বিএনপি সুযোগ পাবে। সিটি নির্বাচন বিদেশিরাও পর্যবেক্ষণ করবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাঁরা বলছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে সিটি নির্বাচন সরকারের জন্য পরীক্ষা। এখানে কোনো বিতর্ক উঠলে নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দেশ প্রশ্ন তোলার সুযোগ পাবে। তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই যেকোনো মূল্যে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চান তাঁরা।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে দেশের জন্য ক্ষতি, গণতন্ত্রের জন্য ক্ষতি এবং আমাদের জন্যও ক্ষতি। তাই আমরা সব সময় চেষ্টা করি, কোনো নির্বাচন নিয়ে যেন বিতর্ক সৃষ্টি না হয়।’ ভোট সুষ্ঠু হওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনও ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৫ মে গাজীপুর, ১২ জুন খুলনা ও বরিশাল এবং ২১ জুন রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হবে ৷ এরই মধ্যে এসব সিটির মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের কাছে গত রোববার থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করেছে আওয়ামী লীগ। গত তিন দিনে ৩৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। আজ বুধবারও মনোনয়ন ফরম নেওয়া যাবে। ১৮ এপ্রিল মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হবে।
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাঁচ সিটি করপোরেশনের মধ্যে রাজশাহী ও খুলনায় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্তই বলা যায়। বরিশাল ও সিলেটেও মোটামুটি ঠিক। কিন্তু গাজীপুরে এখনো ঠিক হয়নি।
সূত্র বলেছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। রাজশাহী আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘খায়রুজ্জামান লিটনকে সবুজ সংকেত দেওয়ার কথা শুনেছি। এ কারণে আমি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করিনি। কোনো বার্তা পেলে বুধবার মনোনয়ন ফরম নেব। স্থানীয় আওয়ামী লীগে কোন্দল থাকলেও বিএনপির প্রার্থী না থাকলে বর্তমান মেয়র সহজে নির্বাচনী বৈতরণি পার হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।’
জানা গেছে, খুলনা সিটি করপোরেশনেও মেয়র পদে তালুকদার আবদুল খালেকের ওপরই আবারও আস্থা রাখবে আওয়ামী লীগ। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, খুলনা-২ আসনের এমপি ও প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল গত বছরই তালুকদার আবদুল খালেকের পক্ষে নেতা-কর্মীদের কাজ করার অনুরোধ করেন। এতে তাঁর মনোনয়ন অনেকটা চূড়ান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এ ছাড়া তালুকদার খালেক ছাড়া খুলনার মেয়র পদে প্রার্থী হতে আগ্রহী আলোচিত কেউ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের বর্তমান মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি পক্ষ সক্রিয়। চাচা আবুল খায়ের আবদুল্লাহও (খোকন সেরনিয়াবাত) মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তবে বিশেষ বিবেচনায় শেষ পর্যন্ত সাদিক আবদুল্লাহ আবারও মনোনয়ন পাবেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও মনোনয়ন বোর্ডের এক সদস্য। তিনি বলেন, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর যে প্রভাব এখনো রয়েছে, তা থেকে বের হয়ে আরেকজনকে প্রার্থী করার সম্ভাবনা আপাতত দেখা যাচ্ছে না।
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বিভিন্ন গণমাধ্যমে বলেছেন, তাঁকে সিলেট সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়নের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে। তবে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, সিলেটে দুই থেকে তিনজন শক্ত প্রার্থী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী এগিয়ে আছেন।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের বিশ্বাস আছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেট মহানগরবাসীর প্রত্যাশা এবং যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাঁদের মূল্যায়ন করবেন। যিনি দাবি করছেন, তাঁকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে, দলে তাঁর কোনো ভিত্তি নেই।’
গাজীপুরে মেয়র প্রার্থী নির্ধারণে দল এখনো সমস্যায় আছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নীতিনির্ধারণী নেতা। তাঁরা বলছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের সংখ্যা নিয়ে কটূক্তির কারণে জাহাঙ্গীর আলমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। পরে দুর্নীতির তদন্তের কারণে মেয়র পদ থেকেও তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। দলের প্রভাবশালী এক নেতার কারণে আওয়ামী লীগ তাঁর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেছে। তিনি আবার দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর তদবির করছেন। প্রভাবশালী ওই নেতাও তাঁর পক্ষে দলীয় হাই কমান্ডের কাছে বলতে পারেন। তারপরও তিনি মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে মনোনয়নের দৌড়ে এগিয়ে থাকবেন গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেখানে যেকোনো কারণেই হোক, জাহাঙ্গীর আলমের কিছুটা জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনি অনেক টাকা খরচ করবেন। সেখানে দলীয় প্রার্থী চ্যালেঞ্জে পড়তে পারেন। তবে জাহাঙ্গীরকে ডেকে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাও দেওয়া হতে পারে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচনগুলো আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করব। মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং পছন্দের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।’
বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিলেও নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলটির তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। যদিও তাঁদের বহিষ্কার করেছে বিএনপি। সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও গাজীপুরেও সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কয়েকজন নেতার নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁরা প্রার্থী হলে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গত সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বলেন, সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ঘোমটা পরে আসতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার তিনি দাবি করেন, সিলেটের বর্তমান মেয়র ও বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরী নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যান্য সিটিতেও ঘোমটা পরা বিএনপির স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। এটা তাদের রাজনীতির আরেক ভণ্ডামি।
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৬ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৬ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে