শাহীন রহমান, পাবনা
‘করোনার কারণেই শেষ হয়ে গেছি। নিজের অল্প যে পুঁজি ছিল সেটাও ভেঙে খেয়েছি। স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রী কম তাই ঠিকমতো বিক্রি হয় না। মানুষের মাঝে চলি তাই মানুষ মনে করে ভালো আছি। আসলে ভেতরের খবর কেউ রাখে না। আমার দিনগুলো খুব কষ্টে কাটছে। কেউ কোনো সহযোগিতাও করে না।’
কথাগুলো বলছিলেন মাগুরার মহম্মদপুরের শেখ হাসিনা সেতুর ওপর ঘটি গরম বিক্রেতা মো. সানি আহম্মেদ। জীবন-জীবিকার তাগিদে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন তিনি।
অভাব অনটনে এই ঝালমুড়ি বিক্রিই একমাত্র ভরসা। রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ঘটি গরম বিক্রি করেন তিনি।
গায়ে গেঞ্জি। কিন্তু পরনে কয়েক রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি পায়জামা। বাম কাঁধে ঝুলছে ঝুড়ি। ডান হাতে বাঁশি আর পেছনে একটি ব্যাগ। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন বেশভূষা। প্রতিদিন বিকেলে শেখ হাসিনা সেতুর ওপর দেখা মেলে সানির। ক্রেতাদের নজর কাড়তে বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ দিয়ে থাকেন। বাঁশির সুরে-সুরে চানাচুর বিক্রি করেই চলে তাঁর সংসার। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে ১৫ বছর ধরে এ পেশায় তিনি।
সানি আহম্মেদ এখন ঘটি গরম বা বাঁশিওয়ালা নামেই পরিচিত। বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামে। এক সময় ঢাকায় বেকারিতে কাজ করতেন।
বাঁশির সুর তুলতেই ক্রেতারা হাজির হন সানির ভ্রাম্যমাণ দোকানে। বাঁশির সুরের টানে কাছে এসে ১০-২০ টাকার চানাচুর ক্রয় করেন কেউ কেউ।
শেখ হাসিনা সেতুতে বিকেলে ঘুরতে আসা রজব আলী, হাবিবুল, নাসিম খান, সৈয়দ আলী, শাওন হাসনাতসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সময় পেলে প্রায়ই তাঁরা সেতুতে ঘুরতে আসেন। সানি ভাইয়ের বাঁশির সুর আর চানাচুর ভাজা এখানে বেশ জমজমাট। সবাই তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, বাঁশিতে বিভিন্ন গানের সুর শুনতে ভালো লাগে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত শত শত মানুষের মিলনমেলা ঘটে শেখ হাসিনা সেতু এলাকায়। আর এই সেতুর ওপর দোকান ঘাড়ে করে ছুটে চলে সানি। সেতুর এপাশ থেকে ওপাশে।
সানির স্ত্রী প্রিয়া খাতুন বলেন, বাড়িতে ভাজা তৈরির কাজে সহযোগিতা করি। চানাচুর ভাজা বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। এ টাকা দিয়েই পাঁচ সদস্যের সংসারের ভরণপোষণ চলে। বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে, মেজো ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং দুই বছর বয়সের এক ছেলে আছে।
সানি বলেন, ‘১৫ বছর থেকে বিভিন্ন এলাকায় চানাচুর বিক্রি করে সংসার চালাই। মানুষ জীবনের গল্প শোনে, বাঁশির সুর শোনে কিন্তু দুঃখের কথা শুনে কেউ পাশে দাঁড়ান না। মেয়ে বড় হয়েছে, তার এখন বিয়ে দেওয়া দরকার। কিন্তু আমার হাতে কোনো পুঁজি নেই।’
‘করোনার কারণেই শেষ হয়ে গেছি। নিজের অল্প যে পুঁজি ছিল সেটাও ভেঙে খেয়েছি। স্কুল-কলেজে ছাত্রছাত্রী কম তাই ঠিকমতো বিক্রি হয় না। মানুষের মাঝে চলি তাই মানুষ মনে করে ভালো আছি। আসলে ভেতরের খবর কেউ রাখে না। আমার দিনগুলো খুব কষ্টে কাটছে। কেউ কোনো সহযোগিতাও করে না।’
কথাগুলো বলছিলেন মাগুরার মহম্মদপুরের শেখ হাসিনা সেতুর ওপর ঘটি গরম বিক্রেতা মো. সানি আহম্মেদ। জীবন-জীবিকার তাগিদে ঝালমুড়ি বিক্রি করেন তিনি।
অভাব অনটনে এই ঝালমুড়ি বিক্রিই একমাত্র ভরসা। রাস্তায় হেঁটে হেঁটে ঘটি গরম বিক্রি করেন তিনি।
গায়ে গেঞ্জি। কিন্তু পরনে কয়েক রঙের কাপড় দিয়ে তৈরি পায়জামা। বাম কাঁধে ঝুলছে ঝুড়ি। ডান হাতে বাঁশি আর পেছনে একটি ব্যাগ। ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এমন বেশভূষা। প্রতিদিন বিকেলে শেখ হাসিনা সেতুর ওপর দেখা মেলে সানির। ক্রেতাদের নজর কাড়তে বাঁশি বাজিয়ে আনন্দ দিয়ে থাকেন। বাঁশির সুরে-সুরে চানাচুর বিক্রি করেই চলে তাঁর সংসার। নদীভাঙনে ভিটেমাটি হারিয়ে ১৫ বছর ধরে এ পেশায় তিনি।
সানি আহম্মেদ এখন ঘটি গরম বা বাঁশিওয়ালা নামেই পরিচিত। বাড়ি মহম্মদপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামে। এক সময় ঢাকায় বেকারিতে কাজ করতেন।
বাঁশির সুর তুলতেই ক্রেতারা হাজির হন সানির ভ্রাম্যমাণ দোকানে। বাঁশির সুরের টানে কাছে এসে ১০-২০ টাকার চানাচুর ক্রয় করেন কেউ কেউ।
শেখ হাসিনা সেতুতে বিকেলে ঘুরতে আসা রজব আলী, হাবিবুল, নাসিম খান, সৈয়দ আলী, শাওন হাসনাতসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, সময় পেলে প্রায়ই তাঁরা সেতুতে ঘুরতে আসেন। সানি ভাইয়ের বাঁশির সুর আর চানাচুর ভাজা এখানে বেশ জমজমাট। সবাই তাঁর বাঁশির সুরে মুগ্ধ।
স্থানীয়রা জানান, বাঁশিতে বিভিন্ন গানের সুর শুনতে ভালো লাগে। প্রতিদিন দুপুরের পর থেকে রাত পর্যন্ত শত শত মানুষের মিলনমেলা ঘটে শেখ হাসিনা সেতু এলাকায়। আর এই সেতুর ওপর দোকান ঘাড়ে করে ছুটে চলে সানি। সেতুর এপাশ থেকে ওপাশে।
সানির স্ত্রী প্রিয়া খাতুন বলেন, বাড়িতে ভাজা তৈরির কাজে সহযোগিতা করি। চানাচুর ভাজা বিক্রি করে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা লাভ হয়। এ টাকা দিয়েই পাঁচ সদস্যের সংসারের ভরণপোষণ চলে। বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে, মেজো ছেলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে এবং দুই বছর বয়সের এক ছেলে আছে।
সানি বলেন, ‘১৫ বছর থেকে বিভিন্ন এলাকায় চানাচুর বিক্রি করে সংসার চালাই। মানুষ জীবনের গল্প শোনে, বাঁশির সুর শোনে কিন্তু দুঃখের কথা শুনে কেউ পাশে দাঁড়ান না। মেয়ে বড় হয়েছে, তার এখন বিয়ে দেওয়া দরকার। কিন্তু আমার হাতে কোনো পুঁজি নেই।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৪ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে