অবশেষে অটোমেশনের আওতায় এসেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স সেবা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর আন্দরকিল্লার পুরোনো নগর ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন করেছেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

এখন থেকে অনলাইনেই এই সেবা নিতে পারবেন নগরীর বাসিন্দারা। ‘ই-রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট’ নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই সেবা পাবেন তাঁরা।

চসিকের তত্ত্বাবধানে এটিএন অ্যান্ড আরকে সফটওয়্যার লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ওয়েবসাইটটি তৈরি করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

এর আগে আ জ ম নাছির উদ্দীন মেয়র থাকার সময় এই সেবা চালু করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সেটি চালু করতে পারেননি। যে কারণে ২০১৭ সালে পঞ্চবার্ষিক কর পুনর্মূল্যায়ন বন্ধ করে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

চসিক সূত্রে জানা গেছে, ই-রেভিনিউ ম্যানেজমেন্ট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নতুন ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু ও নবায়ন করা যাবে। পাশাপাশি গৃহকর দিতে পারবেন নাগরিকেরা। এর জন্য প্রথমে ওয়েবসাইটটিতে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরপর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি অনলাইনে জমা দিলে মিলবে একটি ট্র‍্যাকিং নম্বর। এর মাধ্যমে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানা যাবে। রাজস্ব বিভাগের অনুমোদনের পর সেটি এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে দেওয়া হবে। এরপর ওয়েবসাইটে ঢুকলেই মিলবে কাঙ্ক্ষিত ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স সনদের ই-কপি।

এর মাধ্যমে গৃহ কর নিয়ে আদায়কারীদের বিরুদ্ধে যেসব অনিয়মের অভিযোগ আছে তা দূর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মেয়র রেজাউল করিম। তিনি বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতি থেকে অনলাইনের আওতায় গৃহকর ও ট্রেড লাইসেন্স ফি জমা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়ন করতে ঘরে বসেই নগরবাসী উন্নত সেবা নিতে পারবেন। এতে একদিকে প্রতিষ্ঠানের দীর্ঘদিনের অনিয়ম দূর হবে এবং কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে।

গৃহকর বাড়ানোর বিষয়ে মেয়র বলেন, কোনো ধরনের গৃহকর বাড়ানো হবে না। শুধুমাত্র এর আওতা বাড়ানো হবে। শুধু ভবনের বর্ধিত অংশের নতুন কর নেওয়া হবে। এ নিয়ে নগরবাসীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটন, অর্থ স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মো. ইসমাইল, কাউন্সিলর গাজী মো. শফিউল আজিম প্রমুখ।