আশরাফুল আলম আপন, বদরগঞ্জ
রংপুরের বদরগঞ্জে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১১ জন বিসিআইসি ডিলার ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সারের কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন। এ ছাড়া দামোদরপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা কোনো সার পাচ্ছেন না।
কৃষকদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবেই তাঁরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস বলছে, সারের কোনো সংকট নেই আর যারা সার মজুত করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কৃষকদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবেই তাঁরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস বলছে, সারের কোনো সংকট নেই আর যারা সার মজুত করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১০ এবং একটি পৌরসভায় একজন বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলায় ২৪ জন বিএডিসি ডিলার এবং শতাধিক খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছেন। বিধি অনুযায়ী, বিএডিসি ডিলারদের ২০ টাকার কমে ইউরিয়া, এমওপি ও টিএসপি সার পাইকারি বিক্রির কথা।
অভিযোগ উঠেছে, ডিলারেরা বরাদ্দের কিছু সার ইউনিয়নে নিয়ে বেশির ভাগ তাঁদের পৌর শহরের গোডাউনে রেখে দিচ্ছেন। পরে কৃষি অফিসকে স্টক শেষ দেখিয়ে খুচরা বিক্রেতার কাছে গোপনে বেশি দামে বিক্রি করছেন সার।
গত ১৬ আগস্ট দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার রঞ্জিত কুমার দাস কৃষি অফিসকে ইউরিয়া ৩৯৫ বস্তা ও টিএসপি ১৫ বস্তা মজুত দেখান। ওইদিন বিকেল ৩টায় সরেজমিনে রঞ্জিতের দোকানে দেখা যায়, ৪৬৪ বস্তা ইউরিয়া ও ৩৬ বস্তা টিএসপি মজুত রয়েছে। অফিসকে মজুত কম দেখানোর কারণ জানতে চাইলে রঞ্জিতের ছেলে অনুপম বলেন, ‘কিছু সার বিক্রি হয়েছে, এখনও নিয়ে যায়নি; তাই অফিসকে সেগুলো দেখানো হয়নি।’
অভিযোগ রয়েছে, ‘রঞ্জিতের বেশির ভাগ সার রয়েছে পৌর শহরের কমিউনিটি সেন্টারের কাছে একটি গুদামে। সেগুলো তিনি বেশি দরে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন।’ একই পদ্ধতিতে উপজেলার অধিকাংশ ডিলার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।
দামোদরপুর ইউনিয়নের ডিলার নাজমুন্নাহার; কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ইউনিয়নে তিনি কোনো সার বিক্রি করেন না। সেখানে তাঁর কোনো দোকানও নেই।
ডিলারের দেবর মনু মিয়া গোপনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে সার বিক্রি করছেন। এ কারণে ওই ইউনিয়নের কৃষকেরা সার পাচ্ছেন না।
আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষক শাহাদৎ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগ থাকলেও সার পাই না। পৌর শহরে ৮০০ টাকার ইউরিয়া ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭৫০ টাকার পটাশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। ১ হাজার ১০০ টাকার টিএসপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।’
পৌর শহরের পাঁচজন খুচরা সার বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিলারেরা কোনো সার পাইকারি দামে দিচ্ছেন না। তাঁরা গোডাউনে সার মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন। তাঁরা যদি ইউরিয়া সার ১ হাজার ৮০ টাকা দরে আমাদের দিতেন তাহলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্যে সার পেতেন।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আমরা ডিলারদের নির্দেশ দিয়েছি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ২০ টাকার কমে সার বিক্রি করতে। তাঁরা যদি এটি না মানে তাহলে বিষয়টি দেখা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, ‘ইউরিয়া সারের কোনো সংকট নেই। তবে পটাশের কিছুটা সংকট আছে। ডিলারদের বরাদ্দের সার সরাসরি বিক্রির স্থানে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ গুদামে মজুত রাখেন তাহলে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘সারের কোনো সংকট নেই। সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে কেউ বেশি দরে সার বিক্রি করতে পারবে না। সম্প্রতি বেশি দরে সার বিক্রি করার অভিযোগে দুজন খুচরা সার বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে।’
রংপুরের বদরগঞ্জে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার ১১ জন বিসিআইসি ডিলার ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি সারের কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন। এ ছাড়া দামোদরপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা কোনো সার পাচ্ছেন না।
কৃষকদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবেই তাঁরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস বলছে, সারের কোনো সংকট নেই আর যারা সার মজুত করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কৃষকদের দাবি, প্রশাসনের তদারকির অভাবেই তাঁরা ন্যায্যমূল্যে সার পাচ্ছেন না। তবে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিস বলছে, সারের কোনো সংকট নেই আর যারা সার মজুত করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে, তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলার ১০ ইউনিয়নে ১০ এবং একটি পৌরসভায় একজন বিসিআইসি ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। উপজেলায় ২৪ জন বিএডিসি ডিলার এবং শতাধিক খুচরা সার বিক্রেতা রয়েছেন। বিধি অনুযায়ী, বিএডিসি ডিলারদের ২০ টাকার কমে ইউরিয়া, এমওপি ও টিএসপি সার পাইকারি বিক্রির কথা।
অভিযোগ উঠেছে, ডিলারেরা বরাদ্দের কিছু সার ইউনিয়নে নিয়ে বেশির ভাগ তাঁদের পৌর শহরের গোডাউনে রেখে দিচ্ছেন। পরে কৃষি অফিসকে স্টক শেষ দেখিয়ে খুচরা বিক্রেতার কাছে গোপনে বেশি দামে বিক্রি করছেন সার।
গত ১৬ আগস্ট দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিসিআইসি ডিলার রঞ্জিত কুমার দাস কৃষি অফিসকে ইউরিয়া ৩৯৫ বস্তা ও টিএসপি ১৫ বস্তা মজুত দেখান। ওইদিন বিকেল ৩টায় সরেজমিনে রঞ্জিতের দোকানে দেখা যায়, ৪৬৪ বস্তা ইউরিয়া ও ৩৬ বস্তা টিএসপি মজুত রয়েছে। অফিসকে মজুত কম দেখানোর কারণ জানতে চাইলে রঞ্জিতের ছেলে অনুপম বলেন, ‘কিছু সার বিক্রি হয়েছে, এখনও নিয়ে যায়নি; তাই অফিসকে সেগুলো দেখানো হয়নি।’
অভিযোগ রয়েছে, ‘রঞ্জিতের বেশির ভাগ সার রয়েছে পৌর শহরের কমিউনিটি সেন্টারের কাছে একটি গুদামে। সেগুলো তিনি বেশি দরে খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করছেন।’ একই পদ্ধতিতে উপজেলার অধিকাংশ ডিলার খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বেশি দামে সার বিক্রি করছেন।
দামোদরপুর ইউনিয়নের ডিলার নাজমুন্নাহার; কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, এই ইউনিয়নে তিনি কোনো সার বিক্রি করেন না। সেখানে তাঁর কোনো দোকানও নেই।
ডিলারের দেবর মনু মিয়া গোপনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে চড়া দামে সার বিক্রি করছেন। এ কারণে ওই ইউনিয়নের কৃষকেরা সার পাচ্ছেন না।
আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষক শাহাদৎ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমাদের ইউনিয়নে ডিলার নিয়োগ থাকলেও সার পাই না। পৌর শহরে ৮০০ টাকার ইউরিয়া ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৭৫০ টাকার পটাশ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭০০ টাকায়। ১ হাজার ১০০ টাকার টিএসপি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ টাকায়।’
পৌর শহরের পাঁচজন খুচরা সার বিক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘ডিলারেরা কোনো সার পাইকারি দামে দিচ্ছেন না। তাঁরা গোডাউনে সার মজুত রেখে কৃত্রিম সংকট দেখাচ্ছেন। তাঁরা যদি ইউরিয়া সার ১ হাজার ৮০ টাকা দরে আমাদের দিতেন তাহলে কৃষকেরা ন্যায্যমূল্যে সার পেতেন।’
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীর বলেন, ‘আমরা ডিলারদের নির্দেশ দিয়েছি খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ২০ টাকার কমে সার বিক্রি করতে। তাঁরা যদি এটি না মানে তাহলে বিষয়টি দেখা হবে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা মো. জোবাইদুর রহমান বলেন, ‘ইউরিয়া সারের কোনো সংকট নেই। তবে পটাশের কিছুটা সংকট আছে। ডিলারদের বরাদ্দের সার সরাসরি বিক্রির স্থানে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কেউ গুদামে মজুত রাখেন তাহলে অচিরেই অভিযান চালানো হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সাঈদ বলেন, ‘সারের কোনো সংকট নেই। সরকারের নির্ধারিত দরের চেয়ে কেউ বেশি দরে সার বিক্রি করতে পারবে না। সম্প্রতি বেশি দরে সার বিক্রি করার অভিযোগে দুজন খুচরা সার বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে।’
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
২ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৫ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৫ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
৯ দিন আগে